ওয়ানডে ও টি২০ সিরিজ খেলতে আগস্টে বাংলাদেশে আসার কথা ছিল ভারতের। বিসিসিআইর অনুমোদন নিয়ে সূচিও ঘোষণা করেছিল বিসিবি। বাস্তবতা হলো নির্ধারিত সময়ে সে সিরিজ হচ্ছে না।
দ্বিপক্ষীয় এ সিরিজ পিছিয়ে দেওয়ার অনুরোধ করেছে ভারত। সিরিজটি নিয়ে দুটি বিকল্প সময়ের কথা শোনা যাচ্ছে– নভেম্বর বা আগামী বছরের কোনো এক সময়।
বাংলাদেশের বর্তমান বাস্তবতায় চলতি বছর ভারত ক্রিকেট দলের বাংলাদেশ সফরের সম্ভাবনা কম। বিসিবি পরিচালনা পর্ষদের গতকালের সভায় এ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে কথা বলে নতুন সূচি ঠিক করতে।
১৮ থেকে ৩১ আগস্ট ঢাকা ও চট্টগ্রামে ছিল তিনটি ওয়ানডে ও তিনটি টি২০ ম্যাচ। গুঞ্জন আছে নিরাপত্তাহীনতার কারণে আগস্টের সফর বাতিল করা হয়। যদিও এ ব্যাপারে বিসিবি থেকে আনুষ্ঠানিক কিছু বলা হয়নি।
বোর্ড সভা শেষে বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল বলেন, ‘বিসিসিআই-এর সঙ্গে আমাদের ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে। তারা সিরিজের বিষয়ে সরকারের থেকে ছাড়পত্রের অপেক্ষায় আছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা ভারতের বিপক্ষে আগস্ট বা সেপ্টেম্বরে সিরিজ আয়োজন করবো এমন নয়। বরং আমরা আলোচনা করেছি, সিরিজটা কীভাবে আয়োজন করতে পারি। আমরা এখন সিরিজটি আয়োজন করতে না পারলে অন্য কোন সময়ে করবো।’
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
গণ–অভ্যুত্থানের জন–আকাঙ্ক্ষা আজও বাস্তবায়িত হয়নি: সিপিবি
গণ–অভ্যুত্থানের এক বছর পেরিয়ে গেলেও জন–আকাঙ্ক্ষা আজও বাস্তবায়িত হয়নি, বরং স্বাধীনতাবিরোধী প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠী মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু ও রাষ্ট্রের চার মূলনীতি লক্ষ্য করে লাগাতার আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) নেতারা এ কথাগুলো বলেছেন।
শুক্রবার বিকেলে পুরানা পল্টনের মুক্তি ভবনের মৈত্রী মিলনায়তনে আয়োজিত ওই আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. শাহ আলম। এতে সিপিবির কেন্দ্রীয় কমিটির সহকারী সাধারণ সম্পাদক মিহির ঘোষ, সম্পাদক আনোয়ার হোসেন রেজা, রাগীব আহসান মুন্না, হাসান তারিক চৌধুরী সোহেল, সদস্য জাহিদ হোসেন খান, ডক্টরস ফর হেলথ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টের সভাপতি অধ্যাপক ডা. শফিকুল ইসলাম এবং বাংলাদেশ যুব ইউনিয়নের সভাপতি খান আসাদুজ্জামান মাসুম সভায় বক্তব্য দেন।
সভায় নেতারা বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ছিল একটি রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড, যার মধ্য দিয়ে দেশে প্রতিক্রিয়াশীল শক্তির উত্থান ঘটে। তাঁরা অভিযোগ করেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার পর দীর্ঘ সময় রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকা দলগুলো, বিশেষ করে আওয়ামী লীগ বঙ্গবন্ধুর নীতি থেকে সরে গিয়ে মোশতাক-জিয়া-এরশাদের অনুসৃত পথে হেঁটেছে।
সিপিবির নেতারা বলেন, ‘ক্ষমতায় যাওয়ার ও টিকে থাকার জন্য তারা বারবার স্বাধীনতাবিরোধী সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর সঙ্গে আপস করেছে। তারা ভোটাধিকার ও গণতন্ত্রকে নির্বাসনে পাঠিয়েছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির লাগাম না টেনে বরং লুটেরা ধনিক শ্রেণিকে রক্ষা করতে সিন্ডিকেটকে প্রশ্রয় দিয়েছে।’ তাঁরা বলেন, এসব কারণেই ২০২৪ সালের জুলাইয়ে ছাত্র-শ্রমিক-জনতার গণ–অভ্যুত্থানের মাধ্যমে শেখ হাসিনার পতন ঘটে এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়। তবে দুঃখজনকভাবে এক বছর পার হলেও সেই অভ্যুত্থানের মূল দাবি ও লক্ষ্য পূরণ হয়নি।
আলোচনায় নেতারা আরও বলেন, আজকের বাংলাদেশে প্রয়োজন একটি শক্তিশালী বাম গণতান্ত্রিক বিকল্প শক্তির সমাবেশ। তাঁদের ভাষায়, ‘ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ নয়, মুক্তিযুদ্ধের ধারায় বাংলাদেশকে ফিরিয়ে আনাই হবে বঙ্গবন্ধুর প্রতি প্রকৃত শ্রদ্ধা।’