পাকিস্তানে বৃষ্টি ও বন্যায় একই পরিবারের ১৩ জনসহ ৪৬ জনের মৃত্যু
Published: 1st, July 2025 GMT
পাকিস্তানে প্রায় এক সপ্তাহের ভারী বৃষ্টিপাত ও আকস্মিক বন্যায় অন্তত ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। গতকাল সোমবার সরকারিভাবে প্রাণহানি ও আহতের এ সংখ্যা প্রকাশ করা হয়েছে।
সরকারি ঘোষণায় বলা হয়েছে, স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি বৃষ্টিপাতের কারণে এসব প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে।
জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (এনডিএমএ) ও প্রাদেশিক জরুরি বিভাগ বলেছে, ৪৬ জনের মধ্যে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশে ২২ জন, পূর্বাঞ্চলের পাঞ্জাবে ১৩ জন, দক্ষিণাঞ্চলের সিন্ধুতে সাতজন ও দক্ষিণ-পশ্চিমের বেলুচিস্তানে চারজনের মৃত্যু হয়েছে।
পাকিস্তানের আবহাওয়া বিভাগের উপপরিচালক ইরফান ভার্ক বার্তা সংস্থা এপিকে বলেন, চলতি বর্ষা মৌসুমে দেশটিতে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টি হতে পারে। এরই মধ্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে।
ইরফান ভার্ক আরও বলেন, ২০২২ সালে যেভাবে ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছিল, একই রকম আবহাওয়া আবারও দেখা দেওয়ার আশঙ্কা একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। ওই সময় পাকিস্তানের এক-তৃতীয়াংশ এলাকা পানিতে তলিয়ে গিয়েছিল। প্রাণ হারিয়েছিলেন ১ হাজার ৭৩৭ জন।
ভারী বৃষ্টিপাত ও বন্যাকে কেন্দ্র করে গত সপ্তাহে প্রাণ হারানোদের মধ্যে একই পরিবারের ১৩ জন সদস্যও আছেন। ওই পরিবারের ১৭ জন সদস্য ভ্রমণে গিয়েছিলেন। গত শুক্রবার তাঁরা খাইবার পাখতুনখাওয়ার সোয়াত নদীতে স্রোতে ভেসে যান। তাঁদের মধ্যে চারজনকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
প্রাদেশিক জরুরি পরিষেবা বিভাগের মুখপাত্র বিলাল ফয়জির বলেন, পরিবারটির ১২ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজ একজনকে খুঁজতে ডুবুরিরা গতকাল সোমবারও অভিযান চালিয়েছেন।
এ ঘটনার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জরুরি পরিষেবা বিভাগের প্রতি ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায়। অনেকে অভিযোগ করেছেন, এ বিভাগ ধীরগতিতে কাজ করেছে।
এর আগে রোববার জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ সম্ভাব্য বিপদের আভাস দিয়েছিল। মানুষকে নদী ও ঝরনা পার না হওয়ার পরামর্শ দেয় তারা।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
পাকিস্তানে বৃষ্টি ও বন্যায় একই পরিবারের ১৩ জনসহ ৪৬ জনের মৃত্যু
পাকিস্তানে প্রায় এক সপ্তাহের ভারী বৃষ্টিপাত ও আকস্মিক বন্যায় অন্তত ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। গতকাল সোমবার সরকারিভাবে প্রাণহানি ও আহতের এ সংখ্যা প্রকাশ করা হয়েছে।
সরকারি ঘোষণায় বলা হয়েছে, স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি বৃষ্টিপাতের কারণে এসব প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে।
জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (এনডিএমএ) ও প্রাদেশিক জরুরি বিভাগ বলেছে, ৪৬ জনের মধ্যে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশে ২২ জন, পূর্বাঞ্চলের পাঞ্জাবে ১৩ জন, দক্ষিণাঞ্চলের সিন্ধুতে সাতজন ও দক্ষিণ-পশ্চিমের বেলুচিস্তানে চারজনের মৃত্যু হয়েছে।
পাকিস্তানের আবহাওয়া বিভাগের উপপরিচালক ইরফান ভার্ক বার্তা সংস্থা এপিকে বলেন, চলতি বর্ষা মৌসুমে দেশটিতে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টি হতে পারে। এরই মধ্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে।
ইরফান ভার্ক আরও বলেন, ২০২২ সালে যেভাবে ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছিল, একই রকম আবহাওয়া আবারও দেখা দেওয়ার আশঙ্কা একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। ওই সময় পাকিস্তানের এক-তৃতীয়াংশ এলাকা পানিতে তলিয়ে গিয়েছিল। প্রাণ হারিয়েছিলেন ১ হাজার ৭৩৭ জন।
ভারী বৃষ্টিপাত ও বন্যাকে কেন্দ্র করে গত সপ্তাহে প্রাণ হারানোদের মধ্যে একই পরিবারের ১৩ জন সদস্যও আছেন। ওই পরিবারের ১৭ জন সদস্য ভ্রমণে গিয়েছিলেন। গত শুক্রবার তাঁরা খাইবার পাখতুনখাওয়ার সোয়াত নদীতে স্রোতে ভেসে যান। তাঁদের মধ্যে চারজনকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
প্রাদেশিক জরুরি পরিষেবা বিভাগের মুখপাত্র বিলাল ফয়জির বলেন, পরিবারটির ১২ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজ একজনকে খুঁজতে ডুবুরিরা গতকাল সোমবারও অভিযান চালিয়েছেন।
এ ঘটনার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জরুরি পরিষেবা বিভাগের প্রতি ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায়। অনেকে অভিযোগ করেছেন, এ বিভাগ ধীরগতিতে কাজ করেছে।
এর আগে রোববার জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ সম্ভাব্য বিপদের আভাস দিয়েছিল। মানুষকে নদী ও ঝরনা পার না হওয়ার পরামর্শ দেয় তারা।