নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার বুড়ির চর ইউনিয়নের দুর্গম এলাকায় অভিযান চালিয়ে ডাকাতির ঘটনায় জড়িত তিন ব্যক্তি ও একজন স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে আটক করেছে কোস্টগার্ড ও পুলিশের যৌথবাহিনী। গতকাল সোমবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে হাতিয়ার বুড়ির চরে এই অভিযান চালানো হয়। এ সময় আটক ব্যক্তিদের কাছ থেকে ৫টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ২০ ভরি সোনার গয়নাও উদ্ধার করা হয়।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে কোস্টগার্ডের পক্ষ থেকে অভিযানের বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানানো হয়। কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোনের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার হারুন অর রশিদ বলেন, সোমবার গভীর রাতে হাতিয়ার বুড়ির চরে পুলিশ ও কোস্টগার্ড সদস্যরা এক বিশেষ অভিযান পরিচালনা করেন।‌ অভিযানে এলাকার ডাকাত দল শামীম বাহিনীর ৩ সদস্য সোহেল উদ্দিন (২৩), সুমন উদ্দিন ( ৩০) ও পারুল বেগমকে (৩২)  আটক করা হয়।

হারুন অর রশিদ বলেন, অভিযানে আটক ব্যক্তিদের কাছ থেকে পাঁচটি দেশে তৈরি আগ্নেয়াস্ত্র, অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম, ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত সরঞ্জাম, ২ বোতল চেতনানাশক ওষুধ, ২ ভরি ১২ আনা ওজনের তামার ওপর স্বর্ণের প্রলেপ দেওয়া চুড়ি এবং ১০ ভরি ১০ আনা রূপা উদ্ধার করা হয়। পরে তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী সোনাদিয়া ইউনিয়নের মাইজদী বাজারের প্রিয়া জুয়েলার্স থেকে ২০ ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয়। এ সময় চোরাই মালামাল মজুত রাখার অভিযোগে ওই জুয়েলার্সের মালিক উজ্জ্বল বণিককে (৪২) আটক করা হয়।

কোস্টগার্ড সূত্র জানায়,আটক তিন ডাকাতের বাড়ি হাতিয়া উপজেলার বুড়ির চর ইউনিয়নে। আর স্বর্ণ ব্যবসায়ীর বাড়ি হাতিয়া পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ওছখালী বাজার এলাকায়।আসামিদের আজ বিকেলে আইনি প্রক্রিয়া শেষ করে হাতিয়া থানার পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হবে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: স বর ণ

এছাড়াও পড়ুন:

বন্দরে শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ধর্ষক

নারায়ণগঞ্জের বন্দরে ষষ্ঠ শ্রেনীর এক ছাত্রী (১৩)কে ধর্ষণের ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর বড় ভাই রিপন বাদী হয়ে মঙ্গলবার (১ জুলাই) সকালে বন্দর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে এ মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং- ২(৭)২৫।


পুলিশ ধর্ষক সিয়াম (১৮)কে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারকৃত সিয়াম বন্দর থানার ২২ নং ওয়ার্ডের এস এম শাহ রোডস্থ বীর মুক্তিযোদ্ধা নাছির কাজীর বাড়ীর ভাড়াটিয়া ও উক্ত এলাকার শুক্কুর মিয়ার ছেলে। তাকে মঙ্গলবার দুপুরে আদালতে প্রেরণ করেছে পুলিশ। এর আগে গত শনিবার (২৮ জুন) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায়  বন্দর থানার বন্দর বাজার  এস এস শাহা রোড সংলগ্ন বীর মুক্তিযোদ্ধা নাছির কাজীর বাড়ীর ফাঁকা টিনসেড রুমে ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ ভিকটিমকে উদ্ধার করে মঙ্গলবার সকালে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে  ডাক্তারী পরিক্ষার পর ওই দিন দুপুরে আদালতে প্রেরণ করেছে।


মামলার তথ্যমতে, বাদী রিপন তার পরিবার সহ দীর্ঘ ১০ বছর ধরে  বন্দর থানার এস এস শাহা রোডস্থ বীর মুক্তিযোদ্ধা নাছির কাজীর বাড়ীতে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করে  আসছে। সিয়ামসহ  তার পরিবার একই বাড়ীতে  দীর্ঘ ৩ বছর যাবৎ ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করে। স্কুল শিক্ষার্থী ভিকটিম শনিবার (২৮ জুন) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় তার বড়  ভাই রিপনের যাওয়ার সময় সিয়াম  পূর্ব পরিকল্পনা শিক্ষার্থীর মুখ চেপে ধরে জোরপূর্বক  বন্দর বাজারস্থ এস এস শাহা রোড সংলগ্ন বীর মুক্তিযোদ্ধা নাছির কাজীর বাড়ীর ফাঁকা টিনসেড রুমে নিয়ে যায়। ওই সময় স্কুল ছাত্রী চিৎকার ও চেচামেচি করলে ওই সময় সিয়াম স্কুল ছাত্রী ব্যবহৃত ওড়না দিয়ে মুখ বেধে  ধর্ষণ করে। পরে বিভিন্ন ধরণের ভয়ভীতি দেখিয়ে কৌশলে  পালিয়ে যায় সিয়াম। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ