আইপিএলের সময় ভিআইপি গ্যালারিতে কাব্য মারান চুপচাপ বসে আছেন, এমন দৃশ্য আপনি কমই দেখবেন। তাঁর দল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ভালো করলে বা জিতলে তিনি হাসেন, লাগাতার দিতে থাকেন করতালি। উইকেট পড়লে বা দল হেরে গেলে হতাশাও প্রকাশ করতে দেখা যায়। এ ধরনের দৃশ্য হায়দরাবাদের প্রতি ম্যাচেই ক্যামেরায় ধরা পড়ে।

সে কারণেই কাব্য মারান ক্রিকেট বা বলিউড তারকাদের মতোই আলোচিত। দলের প্রতি নিজের এই আবেগ নিয়ে সংবাদমাধ্যমে কথা বলেছেন কাব্য। জানিয়েছেন, ক্যামেরাম্যানই তাঁকে খুঁজে বের করেন।

ইনসাইড স্পোর্টসে কাব্য বলেছেন, ‘আপনি যে আবেগ দেখছেন, সেটা একেবারে কাঁচা আবেগ। আমার কাজটাই এমন যে আমাকে সামনে আসতে হয়, চাই বা না চাই। হায়দরাবাদে তো কিছুই করার থাকে না—ওখানেই বসে থাকতে হয়। আহমেদাবাদ বা চেন্নাইতেও যখন অনেক দূরে কোনো বক্সে বসে থাকি, তখনো ক্যামেরাম্যান ঠিকই আমাকে খুঁজে বের করে। বুঝতে পারি, সেখান থেকেই মিম বানানো শুরু হয়।’

কাব্য মারান.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

জাতীয় পার্টির বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলুন: আখতার

জাতীয় পার্টিকে ‘দলদাস ও দালাল’ উল্লেখ করে দলটির বিরুদ্ধে রংপুরের মানুষকে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন।

আজ মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে রংপুর নগরের ডিসি মোড়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে আখতার হোসেন এ আহ্বান জানান। এই সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’র আজকের কর্মসূচি শেষ হয়।

আজ সকালে এই গণপদযাত্রা শুরু করেছে এনসিপি। রংপুরের পীরগঞ্জের বাবনপুর জাফরপাড়া গ্রামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ আবু সাঈদের কবর জিয়ারতের মধ্য দিয়ে এ কর্মসূচি শুরু হয়। এরপর পদযাত্রা যায় গাইবান্ধায়। পরে এনসিপির নেতারা রংপুরে ফিরে আসেন।

রংপুরের সংক্ষিপ্ত সমাবেশে আখতার হোসেন বলেন, ‘একটি দল আছে, যে দল বাংলাদেশে আওয়ামী ফ্যাসিবাদকে প্রতিষ্ঠিত করতে সবচেয়ে নগ্নভাবে ভূমিকা পালন করেছে। সেই গৃহপালিত বিরোধী দল জাতীয় পার্টি রংপুরে বিভিন্ন ধরনের নাশকতা করছে। তারা আমাদের ভাইদের নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে। আমরা রংপুরের মাটি থেকে হুঁশিয়ারি দিতে চাই, অবিলম্বে জাতীয় পার্টির গুন্ডা ও দালাল কর্তৃক আমাদের ভাইদের বিরুদ্ধে যে মামলা করা হয়েছে, সেই মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।’

রাত সাড়ে আটটার দিকে ডিসি মোড়ের এ সংক্ষিপ্ত সমাবেশে কেন্দ্রীয় কয়েকজন নেতা বক্তব্য দেন। সঞ্চালনা করেন দলের মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম।

সমাপনী বক্তব্যে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ হাসান বলেন, ‘আমরা আগামীকাল কুড়িগ্রাম যাব এবং ধারাবাহিকভাবে দেশের ৬৪ জেলা অতিক্রম করে আগস্টে ঢাকায় ঢুকব। ঢাকায় ঢুকে আমরা আমাদের যে লক্ষ্য, জুলাই ঘোষণাপত্র এবং জুলাই সনদ, আমরা আদায় করে নেব ইনশা আল্লাহ।’

বুধবার পদযাত্রার দ্বিতীয় দিনে এনসিপি নেতারা কুড়িগ্রামে যাবেন। সেখানে কলেজ মোড়ের বিজয়স্তম্ভ চত্বর থেকে পদযাত্রা শুরু হয়ে ঘোষপাড়া মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিফলকে এসে পথসভা করবে। এরপর ফুলবাড়ী উপজেলায় আরেকটি পথসভায় অংশ নিয়ে লালমনিরহাটের উদ্দেশে যাত্রা করবে পদযাত্রা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ