সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার এক কলেজছাত্রী (১৯) বেড়াতে এসে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। গত শনিবার (২১ জুন) তাড়াশের হাটিকুমরুল-বনপাড়া মহাসড়কে চলনবিলে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার ৬ দিন পর শুক্রবার (২৭ জুন) ভুক্তভোগী কলেজছাত্রী প্রেমিক আরিফ হোসেনকে আসামি করে তাড়াশ থানায় ধর্ষণ মামলা করেন।

মামলার একমাত্র আসামি প্রেমিক আরিফ তাড়াশ উপজেলার মাগুড়াবিনোদ ইউনিয়নের নাদোসৈয়দপুর গ্রামের বাসিন্দা।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে তাড়াশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.

জিয়াউর রহমান বলেন, মামলার পর আসামিকে গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, প্রায় এক বছর আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে রায়গঞ্জ উপজেলার এক কলেজছাত্রীর সঙ্গে তাড়াশ উপজেলার আরিফ হোসেনের পরিচয় হয়। পরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্কও গড়ে উঠে। গত ২১ জুন আরিফ ওই কলেজছাত্রীকে চলনবিলের তাড়াশের হাটিকুমরুল-বনপাড়া মহাসড়কের ৯ নম্বর ব্রিজ এলাকায় বেড়াতে আসতে বলেন। প্রেমিকের কথা মতো ওই দিন সকালে ভুক্তভোগী কলেজছাত্রী নির্ধারিত স্থানে পৌঁছান। পরে আরিফ ওই কলেজছাত্রীকে নিয়ে চলনবিলের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে বেড়ান। একপর্যায়ে আরিফ ওই কলেজছাত্রীকে নিয়ে চরহামকুড়িয়া গ্রামে এক বৃদ্ধার বাড়িতে যান এবং সেখানে তাকে ধর্ষণ করেন। পরে ভুক্তভোগী কান্নাকাটি করলে প্রেমিক আরিফ সেখান থেকে কৌশলে পালিয়ে যান। তারপর থেকে আরিফকে খুঁজে না পেয়ে ২৭ জুন শুক্রবার তাড়াশ থানায় ধর্ষণ মামলা করেন ভুক্তভোগী।

এ প্রসঙ্গে তাড়াশ থানার ওসি সমকালকে বলেন, প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স র জগঞ জ উপজ ল র চলনব ল

এছাড়াও পড়ুন:

পশ্চিমবঙ্গে আরো ২৬ বাংলাদেশি জেলে গ্রেপ্তার

আন্তর্জাতিক জলসীমা অতিক্রম করে ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশের অভিযোগে আরো ২৯ জন বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে গ্রেপ্তার করেছে ভারতীয় কোস্টগার্ড পুলিশ। জব্দ করা হয়েছে তাদের মাছ ধরার ট্রলারটিও। 

রবিবার গভীর রাতে ভারতীয় জলসীমায় ঢুকে পড়ার অভিযোগে তাদের আটক করে ভারতীয় উপকূল রক্ষী বাহিনী। পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়ার জন্য রবিবার রাতে তাদের পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ফ্রেজারগঞ্জ কোস্টাল থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

আরো পড়ুন:

বাংলাদেশ সীমান্তে অনুপ্রবেশের অপেক্ষায় ৩০০ জন

সৌদিতে বাস-ট্যাঙ্কারের সংঘর্ষে ৪২ ভারতীয় ওমরাহযাত্রী নিহত

প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, মাঝ সমুদ্রে মাছ ধরতে এসে পথ হারিয়ে ভারতীয় জলসীমায় ঢুকে পড়ে ওই বাংলাদেশি মৎস্যজীবীরা। 

এর আগে, শনিবার রাতে, ২৯ জন বাংলাদেশি জেলেকে আটক করা হয়েছিল এবং তাদের সোমবার কাকদ্বীপ মহকুমা আদালতে হাজির করার কথা রয়েছে। এখন, আবারও, রবিবার ভোরে, আরো ২৬ জন বাংলাদেশি জেলেকে আটক করা হলো।

যদিও বাংলাদেশ সরকার বারবার অভিযোগ করেছে যে, ভারতীয় জেলেরা সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে, সাম্প্রতিক ঘটনাগুলো দেখায় যে বাংলাদেশি মাছ ধরার ট্রলারগুলো ক্রমবর্ধমানভাবে সমুদ্রসীমা লঙ্ঘন করছে এবং ভারতীয় জলসীমায় প্রবেশ করছে। ফলে উপকূলীয় সীমান্ত এলাকায় নজরদারি জোরদার করেছে কোস্টগার্ড এবং পুলিশ প্রশাসন।

ঢাকা/সুচরিতা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ