2025-06-27@10:21:10 GMT
إجمالي نتائج البحث: 18

«চলনব ল»:

    ১২০০ টাকা মণ দরে ২৫ মণ ধান বিক্রি করেছেন মহাজনের কাছে। ঢলনের নামে ২৫ মণ ধানে তাকে ৫০ কেজি ধান বেশি দিতে হয়েছে মহাজনকে। আক্ষেপ করে কথাগুলো বলছিলেন তাড়াশ উপজেলার লালুয়া মাঝিড়া গ্রামের কৃষক আশিকুল ইসলাম।  একই অভিযোগ করেছেন মাঝিড়া গ্রামের রফিকুল ইসলাম। তিনি জানান, ব্যবসায়ী মহাজন, ফড়িয়া সিন্ডিকেটের কাছে আমরা জিম্মি। ঢলন প্রথায় ধান বিক্রি করতে না চাইলে মহাজন-ব্যবসায়ীরা একযোগে ধান কেনা থেকে বিরত থাকেন। কৃষক শোষণের এ প্রথা থেকে পরিত্রাণের উপায়ও খুঁজে পাচ্ছি না।  শুধু মাঝিড়া গ্রামে নয়, চলবিল অধ্যুষিত এলাকায় কৃষকের কাছ থেকে ৪২ কেজিতে ১ মণ হিসাবে ধান কিনে তুলনামলূক বেশি দাম ও কম পরিমাণে (৪০ কেজিতে ১ মণ ধরে) বিক্রির অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় মহাজনদের বিরুদ্ধে। কৃষকদের অভিযোগ, ৪২ কেজি ধান তাদের কাছ থেকে মহাজন ১২০০ টাকায়...
    ২ / ৮বৃষ্টি ঝরিয়ে বর্ষার আগমনে চলনবিলে পানি বাড়তে শুরু করেছে। বিলের ভেতর দিয়ে যাতায়াতের জন্য পথের ধারে বেঁধে রাখা নৌকা।
    নাটোরের চলনবিল অধ্যুষিত গুরুদাসপুর, সিংড়া ও তাড়াশ উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকায় জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে সময়ের আগেই বন্যার পানিতে ডুবে যাচ্ছে পাকা বোরো ধান। এতে ক্ষতির মুখে পড়েছেন কৃষকরা। শ্রমিক সংকট ও ধান সংরক্ষণের সমস্যা যেন কৃষকের দুর্ভোগ আরও বাড়িয়ে তুলেছে। চলনবিল এলাকায় পানির উচ্চতা ক্রমাগত বাড়ছে। বিশেষ করে যারা সরিষা তোলার পর ‘নামলা’ জাতের বোরো ধান রোপণ করেছিলেন তারা বিপাকে পড়েছেন। বিস্তীর্ণ এলাকার জমির ধান ইতোমধ্যে পানির নিচে তলিয়ে গেছে। কেউ কেউ কষ্ট করে ধান কাটলেও শ্রমিক সংকট ও পরিবহন সমস্যার কারণে তা ঘরে তুলতে পারছেন না। স্থানীয় কৃষক ফিরোজ সরদার বলেন, “সরিষা তোলার পর চলতি বছর ১০ বিঘা জমিতে বোরো ধান রোপণ করেছিলাম। আবাদ ভালো হয়েছিল, ফলনও ভালো হতো- যদি এই আগাম বন্যার পানি না আসতো। এখন...
    আমার নিবাস প্রত্যন্ত চলনবিলে। চলনবিলের সর্ববৃহৎ মাছের আড়ত সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার মহিষলুটিতে। এ আড়তে মাছচাষিরা যখন তাদের উৎপাদিত কষ্টার্জিত মাছ বিক্রি করতে যান, তখন স্থানীয় ভাষায় ‘ঢলতা’র ফাঁদে পড়েন। ‘ঢলতা’ হলো নির্দিষ্ট পরিমাণের চেয়ে মণপ্রতি কিছু বেশি নেওয়া বা দেওয়া। মাছের আড়তে ক্রেতা একজন সাধারণ বিক্রেতার কাছ থেকে ৪০ কেজি মাছ কিনতে ৪৪-৪৫ কেজিতে এক মণ ধরেন। এখানে মণপ্রতি ৪-৫ কেজি মাছ বেশি নেওয়া হয়। অতিরিক্ত ৪-৫ কেজি মাছ বেশি নেওয়াকেই ‘ঢলতা’ বলে। এই ঢলতা দেওয়া মহিষলুটি আড়তের প্রায় ২৫ বছরের পুরোনো অভ্যাস। এটা শুধু যে মাছের ক্ষেত্রেই করা হয়, তা নয়।  উত্তরবঙ্গের রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ, নাটোর, পাবনাসহ বিভিন্ন জেলায় আমের মণ ৪০ কেজির বদলে ধরা হতো ৫৪ কেজিতে। এখানে ঢলতা প্রথার মাধ্যমে মণে ১৪ কেজি বেশি নেওয়া হচ্ছে। এ...
    আকস্মিক বন্যায় সিরাজগঞ্জের চলনবিলাঞ্চলের কৃষকেরা চরম ক্ষতির মুখে পড়েছেন। বন্যায় নদ-নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় শত শত হেক্টর জমির কাঁচা-পাকা ধান তলিয়ে গেছে। এতে চরম বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা। বুধবার (১১ জুন) সরেজমিনে দেখা গেছে, উজানের ঢল ও কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে জেলার উল্লাপাড়া, তাড়াশ ও শাহজাদপুর উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকার শত শত বিঘা ফসলি জমি এখন পানি নিচে। কৃষকের দীর্ঘদিনের স্বপ্নের অপেক্ষার ফসল তলিয়ে গেছে পানির নিচে। অসময়ে এমন জলাবদ্ধতায় ধান নষ্ট হওয়ার শঙ্কা যেমন রয়েছে, তেমন ধান কাটতে শ্রমিক সংকট ও অতিরিক্ত মজুরির কারণে ক্ষতির মাত্রা আরও বাড়ছে। তাড়াশের মাগুড়াবিনোদ গ্রামের কৃষক সেলিম শেখ বলেন, “১০ বিঘা জমিতে ব্রি-২৯ জাতের বোরো ধানের আবাদ করেছিলাম। ঈদের পরেই সে ধান কাটার কথা ছিল। কিন্তু কয়েকদিনের ভারী বর্ষণ, উজান থেকে নেমে আসা...
    সিরাজগঞ্জের তাড়াশে রবিশস্য তুলে সাত বিঘা জমিতে ব্রি-২৯ জাতের বোরো ধান রোপণ করেছিলেন আজগার আলী। ঈদের পরপরই ধান কাটার কথা ছিল তার। কিন্তু মাত্র তিনদিনের ভারি বর্ষণ আর উজান থেকে নেমে আসা ঢলের পানিতে ডুবেছে পাকা ধানের ক্ষেত। এতে ফসল তোলার আনন্দ যেন বিষাদে রূপ নিয়েছে আজগার আলীর পরিবারে। তিনি জানান, কোমর সমান পানি থেকেই বাড়তি পারিশ্রমিকে কামলা (কৃষি শ্রমিক) এনে কিছু ধান কাটার ব্যবস্থা করেছেন। এতেও সুবিধা করতে পারেননি। অধিকাংশ ধান নষ্ট হয়ে গেছে। এমন পরিস্থিতিতে পরিবারের বার্ষিক খোরাকির ধানও জোটানো নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে শঙ্কা। তাড়াশের মাগুড়াবিনোদ এলাকার ভুক্তভোগী আজগারের মতোই ভাগ্য বিস্তীর্ণ এলাকার অন্য কৃষকদেরও। বন্যার নষ্ট হওয়া ধান নিয়ে এখন তাদের মাথায় হাত একই এলাকার পাচান গ্রামের কৃষক আরমান আলী। সমকালকে তিনি জানান, কামলা না পেয়ে মোট জমির এক...
    সিরাজগঞ্জের তাড়াশে রবিশস্য তুলে সাত বিঘা জমিতে ব্রি-২৯ জাতের বোরো ধান রোপণ করেছিলেন আজগার আলী। ঈদের পরপরই ধান কাটার কথা ছিল তার। কিন্তু মাত্র তিনদিনের ভারি বর্ষণ আর উজান থেকে নেমে আসা ঢলের পানিতে ডুবেছে পাকা ধানের ক্ষেত। এতে ফসল তোলার আনন্দ বিষাদে রূপ নেয় আজগার আলীর পরিবারে। তিনি জানান, কোমর সমান পানি থেকেই বাড়তি পারিশ্রমিকে কামলা (কৃষি শ্রমিক) এনে কিছু ধান কাটার ব্যবস্থা করেছেন। এতেও সুবিধা করতে পারেননি। অধিকাংশ ধান নষ্ট হয়ে গেছে। এমন পরিস্থিতিতে পরিবারের বার্ষিক খোরাকির ধানও জোটানো নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে শঙ্কা। তাড়াশের মাগুড়াবিনোদ এলাকার ভুক্তভোগী কৃষক আজগারের মতো ভাগ্য বিস্তীর্ণ এলাকার আর সবার। একই এলাকার পাচান গ্রামের কৃষক আরমান আলী। তিনি জানান, কামলা না পেয়ে মোট জমির এক মুঠো বোরো ধানও কাটতে পারেননি। স্থানীয়রা বলছেন,...
    সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার চলনবিলে আকস্মিক বন্যা দেখা দিয়েছে। বন্যার পানিতে চলনবিলের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে নাবি জাতের ইরি বোরো ধান ডুবে গেছে। ফলে কৃষকের কোরবানি ঈদের আনন্দ ম্লান হয়ে গেছে। আকস্মিক বন্যায় চলনবিলের তাড়াশ, উল্লাপাড়া, শাহজাদপুর, সিংড়া ও গুরুদাসপুর উপজেলার বিস্তীর্ণ অঞ্চল তলিয়ে গেছে। ফলে ডুবে যাওয়া ধান কাটা নিয়ে বিপাকে পড়েছে কৃষক। ধান কাটার শ্রমিক না পেয়ে হারভেস্টার মেশিন এনে ধান কাটার চেষ্টা করছে। কিন্তু পানি বৃদ্ধি অব্যহত থাকায় সে চেষ্টাও বিফলে গেছে। সিরাজগঞ্জের তাড়াশের মাগুড়াবিনোদ এলাকার কৃষক মো. আজগার আলী সাত বিঘা জমিতে ব্রি- ২৯ জাতের বোরো ধানের আবাদ করেছিলেন। ঈদের পর পরই সে ধান কাটার কথা ছিল। কিন্তু মাত্র তিন দিনের ভারী বর্ষণ, উজান থেকে নেমে আসা ঢলের পানিতে তার জমির ধান ডুবে যাচ্ছে। যদিও কোমর সমান পানিতে...
    টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে আসা পাহাড়ি ঢলে সিরাজগঞ্জে অস্বাভাবিক হারে বাড়ছে যমুনা নদীর পানি। ফলে জেলার অভ্যন্তরীণ নদ-নদী ও খাল-বিলের পানিও বাড়ছে। এতে ফসলি জমিসহ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে।  শুক্রবার (৬ জুন) সিরাজগঞ্জ হার্ড পয়েন্টে যমুনার পানি গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৭ সেন্টিমিটার বেড়েছে। পানির সমতল ১২ দশমিক ২৭ মিটার, যা বিপৎসীমার (১২ দশমিক ৯০ মিটার) নিচে রয়েছে। অপরদিকে, কাজিপুর উপজেলার মেঘাই ঘাট পয়েন্টে ২৪ ঘণ্টায় ৪০ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। পানির সমতল রেকর্ড করা হয়েছে (১৩ দশমিক ৯৫ মিটার), যা বিপৎসীমার ৮৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত পাঁচ দিনে সিরাজগঞ্জ হার্ড পয়েন্টে যমুনা নদীতে ২৮৭ সেন্টিমিটার ও কাজিপুরের মেঘাই ঘাট পয়েন্টে ৩০৪ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। যমুনায় দ্রুতগতিতে পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে...
    চলনবিল জীববৈচিত্র্য রক্ষা কমিটির সদস্যরা গোপনে সংবাদ পেয়ে খাঁচাবন্দি চারটি টিয়া পাখি অবমুক্ত করেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার নাটোরের সিংড়া উপজেলার কালিনগর গ্রামের দুটি বাড়ি থেকে পাখিগুলো উদ্ধার করা হয়। এদিন নানা আয়োজনে বিশ্ব জীববৈচিত্র্য দিবস পালন করে চলনবিল জীববৈচিত্র্য রক্ষা কমিটি ও বাংলাদেশ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ফেডারেশন (বিবিসিএফ)। টিয়া পাখি অবমুক্ত করার সময় সিংড়ার ইউএনও মাজহারুল ইসলাম, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মিঠুন কুণ্ডু, চলনবিল জীববৈচিত্র্য রক্ষা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ও সংগঠনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। সংগঠনটি এক যুগ ধরে চলনবিলের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় স্বেচ্ছাশ্রমে কাজ করছে জানিয়ে সাইফুল ইসলাম বলেন, দুর্গম বিলের পাখি, বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় তারা ছুটে চলেছেন।  বৃহস্পতিবার সকালে সংগঠনের চলনবিল গেট কার্যালয়ে বিশ্ব জীববৈচিত্র্য দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা হয়। বেলা ১১টায় কলম ইউনিয়নের নুরপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে বৃক্ষরোপণ করা...
    জ্যৈষ্ঠ মাসে ধান পাকতে শুরু করেছে। কোথাও কোথাও পাকা ধান কাটা শুরু হয়েছে। এ অবস্থায় কৃষকদের মুখে হাসি থাকার কথা। এর বদলে শ্রমে-ঘামে ফলানো সোনার ধান নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন তারা। টানা বৃষ্টির কারণে সিরাজগঞ্জের তাড়াশের চলনবিল অঞ্চলের বেশির ভাগ জমিতে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। নিমজ্জিত হয়েছে বেশ কিছু ক্ষেত। তিন-চার দিনের মধ্যে না কাটলে এ ধান থেকে কিছুই পাওয়া যাবে না বলছেন কৃষকরা। জানা গেছে, ১৫ থেকে ২০ দিন আগেও চলনবিলে প্রতি বিঘা ধান কাটতে চার থেকে পাঁচজন শ্রমিক হলেই চলত। শ্রমিকরা দূরত্বভেদে প্রতি বিঘায় (মণপ্রতি ৫ থেকে ৮ কেজি ধান) ৪ থেকে সাড়ে ৪ হাজার টাকা পারিশ্রমিক নিয়েছেন। বৃষ্টিতে ধান নুয়ে পড়ায় ১০ জন শ্রমিক মাঠে কাজ করছেন। তাদের পারিশ্রমিকও দিতে হচ্ছে দ্বিগুণ। এতে উৎপাদন খরচ বেড়ে যাচ্ছে। তাড়াশের কুন্দইল...
    চলনবিলের পাঁচ বিঘা জমিতে এবার বাঙ্গি চাষ করেছেন মোবারক হোসেন। গত মৌসুমে যে দামে বিক্রি করেছেন, এবার তাঁকে বিক্রি করতে হচ্ছে চার ভাগের এক ভাগ দামে। নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার মশিন্দা এলাকার এই বাসিন্দার ভাষ্য, ক্ষুদ্র মৌসুমি বিক্রেতাদের কাছে তাদের প্রতি বাঙ্গি বিক্রি করতে হচ্ছে ২-৩ টাকায়।  একই অবস্থা চলনবিলের চারপাশের জমিতে বাঙ্গি চাষ করা সব কৃষকের। দেশের বৃহত্তম এই বিলের জমিতে বাঙ্গি চাষ করেন নাটোরের গুরুদাসপুর, সিংড়া; সিরাজগঞ্জের তাড়াশ, রায়গঞ্জ ও পাবনার চাটমোহরের কয়েক হাজার কৃষক। তাদের অধিকাংশই রসুনের সঙ্গে সাথি ফসল হিসেবে বাঙ্গি চাষ করেন। সব মিলিয়ে এই চাষ হয় ১ হাজার ৪৭০ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে গুরুদাসপুরেই জমির পরিমাণ প্রায় ৮০০ হেক্টর, তাড়াশে প্রায় ২৫০ হেক্টর।  সিংড়ার বিয়াস এলাকার মো. হযরত আলীর ভাষ্য, চলনবিল এলাকার প্রায় অর্ধেক রসুন...
    ১.উত্তরবঙ্গের বড়াল একটি ব্যতিক্রমী নদ। বাংলাদেশের বেশির ভাগ নদ–নদী উত্তর-দক্ষিণে প্রবাহিত হয়। পক্ষান্তরে বড়াল মূলত পূর্ব-পশ্চিমে প্রবাহিত। রাজশাহীর চারঘাট উপজেলায় গঙ্গা (পদ্মা) থেকে উৎপত্তি হয়ে এই নদ নাটোর, পাবনা ও সিরাজগঞ্জ জেলার মধ্য দিয়ে পূর্ব-দক্ষিণমুখী অগ্রসর হয়ে হুরসাগর নদের সঙ্গে সংযুক্ত হয়ে বাঘাবাড়ীর কাছে যমুনার সঙ্গে মিলিত হয়েছে।বড়ালের গুরুত্বপূর্ণ একটি বৈশিষ্ট্য হলো, এটি পদ্মা ও যমুনার মধ্যে সংযোগ রক্ষাকারী নদ; অন্তত আগে তা–ই ছিল। এই নদের আরেকটি বৈশিষ্ট্য হলো, এটি রাজশাহী বিভাগের বিশাল চলনবিলের প্রধান নদ।উত্তর থেকে প্রবাহিত প্রায় সব নদ–নদী, যেমন আত্রাই, নাগর, শিবা, বারনাল, করতোয়া, গুমানী, হুরসাগর আলাদাভাবে কিংবা অন্য নদীর সঙ্গে যুক্ত হয়ে বড়াল নদের সঙ্গে মিশেছে। ফলে চলনবিলকে বিশাল সংরক্ষণ জলাধার হিসেবে ব্যবহার করে পদ্মা-যমুনার প্রবাহের উচ্চতার ভারসাম্য রক্ষাকারী নদ ছিল বড়াল।একদা প্রমত্ত এই নদ দিয়ে...
    দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে চলনবিলের মিঠাপানির মাছ দিয়ে শুঁটকি তৈরি করে জীবিকা নির্বাহ করছেন সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার বড় পাঙ্গাসি গ্রামের কবির শেখ (৪৮)। প্রতিবছর কার্তিক মাসে শুরু হওয়া শুঁটকি মৌসুমে তাঁর চাতালে ৩০ থেকে ৪০ নারী শ্রমিক কাজ করেন। তবে হঠাৎ বাজারে শুঁটকির দরপতনের কারণে এবার বড় ধরনের লোকসানের মুখে পড়েছেন তিনি। বর্তমানে তাঁর চাতালে মাত্র ১২ নারী শ্রমিক কর্মরত আছেন।কবির শেখ বলেন, ‘হেই জ্ঞান অওয়ায় পর থাইক্যা প্রায় ৩০ বছরের বেশি সময় আগে বাবার আত (হাত) দইরা এই হুটকি (শুঁটকি) বানানের ব্যবসায় আইছি। এ্যাহুন এই ব্যবসা থাইক্যাই আমার পরিবারসহ আশপাশের অন্তত ৩৫ থেকে ৪০টি পরিবার চলে। এই লম্বা সময়ে কহুনও আমি হুটকির বাজার এমন খারাপ দেহি ন্যাই। এবারই প্রথম হুটকি বানায়া বড় অঙ্কের ট্যাহা লোকসান ওইছে। যদি এই হুটকি...
    রাজশাহীর পদ্মা নদীজুড়ে দেখা যায় শুধু ধু-ধু বালু চর। আবাসস্থল হারিয়ে বিলুপ্তির পথে দেশীয় প্রজাতির মাছ ও জলজ প্রাণী। কিছু জায়গায় গভীর পানি থাকলেও কারেন্ট জাল ও বড়শি ফেলে নির্বিচারে চলছে মাছ নিধনযজ্ঞ। তাই শুষ্ক মৌসুমে পদ্মা নদীর কিছু অংশে জলজ প্রাণীর অভয়ারণ্য ঘোষণার পরামর্শ নদী গবেষকদের।  ১৯৮০ থেকে ১৯৮৫ সালের দিকে পদ্মার গড় গভীরতা ছিল ১২ দশমিক ৮ মিটার। ২০১৫ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে গড় গভীরতা নেমে আসে ১১ দশমিক ১ মিটারে। পদ্মার গভীরতা কমায় আবাস সংকটে পড়ছে মাছ ও জলজ প্রাণী। এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান স্প্রিঙ্গার উদ্যোগে কাজ করেছেন রাজশাহীসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের গবেষক। রাজশাহীর গোদাগাড়ী থেকে চারঘাটের সারদা পর্যন্ত পদ্মার ৭০ কিলোমিটার অংশ নিয়ে গবেষণাটি পরিচালিত হয়। আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান সাময়িকী বায়োডাইভারসিটি অ্যান্ড কনজারভেশনের গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা...
    নাটোরের সিংড়ায় একটি প্রাইভেটকারে তল্লাশি চালিয়ে গাইবান্ধার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের (এলজিইডি) নির্বাহী প্রকৌশলী পরিচয়দানকারী মো. সাবিউল ইসলামের কাছ থেকে ৩৬ লাখ ৯৪ হাজার ৩০০ টাকা জব্দ করেছে পুলিশ। এসময় গাড়িটি জব্দ করে ওই প্রকৌশলীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেয় তারা। বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) রাত ২টার দিকে নাটোর-বগুড়া মহাসড়কের চলনবিল গেট এলাকায় পুলিশের নিয়মিত চেকপোস্টে তল্লাশির সময় টাকা ও গাড়ি জব্দ করা হয়। সিংড়া থানার ওসি মো. আসমাউল হক এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।  এর আগে, রাত ১২টার দিকে মহাসড়কের চলনবিল গেট এলাকায় চেকপোস্ট বসিয়ে বিভিন্ন যানবাহনে তল্লাশি চালাচ্ছিল পুলিশ। এসময় গাইবান্ধা থেকে রাজশাহীগামী একটি সাদা রঙের প্রাইভেটকারকে থামার সিগন্যাল দেয় পুলিশ। পরে  প্রাইভেটকার তল্লাশি করে টাকা পাওয়া যায়। খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. একরামুল হক, সিংড়ার ইউএনও মাজাহারুল ইসলাম, সহকারী পুলিশ...
    চলনবিল অঞ্চলে অনেক কৃষক নিজ উদ্যোগেই খেজুর গাছের রস দিয়ে গুড় তৈরি করেন। তাদের সঙ্গে দূর-দূরান্ত থেকে আসা গাছিরাও চলনবিল অঞ্চলে ভালো মানের খেজুর গুড় তৈরিতে বড় ভূমিকা রাখছেন বছরের পর বছর। মৌসুমে ভালো আয়-রোজগারও করছেন। রাজশাহী জেলার বাঘা উপজেলার মনিকগ্রাম ইউনিয়নের হরিপুর গ্রামের বাসিন্দা জামরুল ইসলাম (৪৩)। তাঁর বাবা আকবর আলী মারা গেছেন। জীবিত অবস্থায় তিনিও ছিলেন ওই এলাকার পরিচিত গাছি। আকবর আলী চোখের পলকে উঠে যেতে পারতেন যে কোনো উঁচু খেজুর গাছে। তৈরি করতেন সুস্বাদু পাটালি, বাটি, নালি ও মসলা গুড়। বাবার কাছেই অল্প বয়সে গাছিয়া হওয়ার হাতেখড়ি নেন জামরুল। রপ্ত করেছেন বাবার মতোই ভালো মানের গুড় তৈরির কলাকৌশল। এ কাজটিকে পেশা হিসেবে নিয়ে তিনিও পার করেছেন প্রায় এক যুগ। নিজেও হয়েছেন স্বাবলম্বী।  রাজশাহী অঞ্চলে শীতকালে তেমন কাজ...
    ‘আমাদের ছোট নদী চলে বাঁকে বাঁকে, বৈশাখ মাসে তার হাঁটু জল থাকে’ বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সেই ছোট নদী নামে পরিচিত নাগর নদে চাক জাল ও পলো দিয়ে শুরু হয়েছে মাছ ধরার উৎসব। প্রতিবছরের মতো এবারও সিংড়ার ১৫-১৬ গ্রামের মানুষের অংশগ্রহণে খরসতি, সারদানগর ও নওগাঁর আত্রাই সীমান্তে মঙ্গলবার এ আয়োজন করা হয়। মাছ ধরা শেষে আনন্দ করতে করতেই বড়দের সঙ্গে মাছ নিয়ে বাড়ি ফেরে শিশুরাও। কালের বিবর্তনে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী এ উৎসব আগের মতো জাঁকজমক না হলেও গান ও হৈ-হুল্লোড় কোনো কমতি ছিল না। উৎসব দেখতে ভিড়ে করেন উৎসুক জনতা। মাছ ধরা উৎসবের দলনেতা কাদিরগাছা গ্রামের শাহাদত হোসেন বলেন, সবাই মিলে মাছ ধরতে নেমেছি। কেউ মাছ পেলে তার বাড়িতে খবর পৌঁছে যাচ্ছে। রবি-বোরো মৌসুমে কৃষকের ধান রোপণ শেষে এই নদে...
۱