নির্বাচনের তারিখ নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনা হয়নি: সিইসি
Published: 1st, July 2025 GMT
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে কিছুদিন আগে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছিলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। আলোচিত এ বৈঠেকে কী আলাপ হয়েছিল সে বিষয়ে কেউ কোনো কথা বলেননি। অবশেষে আজ মঙ্গলবার এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন সিইসি।
বৈঠকে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে নির্বাচন কমিশনের প্রস্তুতির বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা জানতে চেয়েছেন বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। তিনি বলেন, আমরা বলেছি, নির্বাচন কমিশন ফুল গিয়ারে প্রস্তুতি নিচ্ছে।
মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।
সাংবাদিকদের প্রশ্মের জবাবে সিইসি বলেন, প্রধান উপদেষ্টা চান ফ্রি, ফেয়ার এবং ক্রেডিবল নির্বাচন। তিনি সুষ্ঠু ভোট করতে অনেক আন্তরিক। তবে জাতীয় নির্বাচনের কোনো তারিখের বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ হলে নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমেই আপনারা জানতে পারব।
তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে এটি ছিল সৌজন্য সাক্ষাৎ। সৌজন্য সাক্ষাৎ হলেও কিছু বিষয় আলোচনায় এসেছে। প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলেন। আমরা জানিয়েছি পুরোদমে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসি।
তিনি বলেন, আমরা চারটা গিয়ার চালিয়ে ফুল গিয়ারে প্রস্তুতি নিচ্ছি। নানাবিধ চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে আমরা প্রস্তুতি নিয়ে যাচ্ছি। সরকার যখন চায় তখন যেন আমারা ইলেকশনটা করতে পারি।
লন্ডনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে বৈঠকের পর একটি যৌথ বিবৃতিতে আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন হতে পারে বলে উল্লেখ করা হয়েছিল। এই সময়সীমা নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে কোনো আলোচনা হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, নির্বাচনের সম্ভাব্য সময় নিয়েও প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তার কোনো কথা হয়নি। ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল এই সময় ধরে নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। যথা সময়ে নির্বাচনের তারিখ এবং সিডিউল ঘোষণা করবে নির্বাচন কমিশন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: র প রস ত ত
এছাড়াও পড়ুন:
কোটিপতি হলেও পরিচ্ছন্নতা কর্মীর কাজ করেন তিনি
পর্যাপ্ত অর্থ সঞ্চয় করতে পারলেই আমাদের অনেকে কায়িক পরিশ্রম ছেড়ে দেন। আরাম-আয়েশে জীবন কাটান। কিন্তু সবাই তা করেন না। এমন একজন জাপানের কোইচি মাতসুবারা। ৫৬ বছর বয়সী এই জাপানি নাগরিকের বার্ষিক আয় প্রায় ৩ কোটি ইয়েন (প্রায় ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা) হওয়া সত্ত্বেও তিনি এখনো নিয়মিত পরিচ্ছন্নতাকর্মীর কাজ করেন।
মাতসুবারা সপ্তাহে তিন দিন, প্রতিদিন চার ঘণ্টা করে কাজ করেন। তিনি সরকারি পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে কাজ করেন। এ কাজের অংশ হিসেবে তাঁকে ছোটখাটো রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পালন করতে হয়।
এ কাজ থেকে মাতসুবারা মাসে ১ লাখ ইয়েন (প্রায় ৮২ হাজার ৬৪ টাকা) আয় করেন, যা টোকিওর গড় বেতনের তুলনায় অনেক কম। তারপরও তিনি এ কাজ করেন। কারণ, তিনি এটাকে শারীরিক সক্রিয়তা ও মানসিক প্রশান্তির উপায় হিসেবে দেখেন।
মাতসুবারা ছোটবেলা থেকেই সঞ্চয়ী ছিলেন। মাধ্যমিকের পর তিনি একটি কারখানায় মাসে ১ লাখ ৮০ হাজার ইয়েন (প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা) বেতনে কাজ শুরু করেন। খরচ বাঁচিয়ে কয়েক বছরে প্রায় ৩০ লাখ ইয়েন (২৯ লাখ ২৫ হাজার টাকা) সঞ্চয় করে তিনি প্রথম স্টুডিও ফ্ল্যাট কিনেছিলেন।
পরে বাড়ি কেনার ঋণ আগেভাগে পরিশোধ করে ধীরে ধীরে আরও ফ্ল্যাট কেনেন এবং বিনিয়োগ বৃদ্ধি করেন মাতসুবারা। এখন টোকিও ও এর শহরতলিতে তাঁর সাতটি ফ্ল্যাট রয়েছে, যার সবই ভাড়া দিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করেছেন।
ধনবান হলেও মাতসুবারা সাদাসিধে জীবন যাপন করেন। এখনো তিনি সস্তা ফ্ল্যাটে থাকেন, নিজের খাবার নিজে বানান, নতুন জামাকাপড় কেনেন না, সাধারণ স্মার্টফোন ব্যবহার করেন এবং প্রধানত সাইকেলে চলাচল করেন। তাঁর জীবনদর্শন—‘প্রতিদিন কিছু না কিছু করার আশা করি, সুস্থ থাকতে চাই এবং নিজেকে নিয়ে চিন্তা করতে চাই।’
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে মাতসুবারাকে ‘অদৃশ্য কোটিপতি’ বলে উল্লেখ করা হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁর গল্প ছড়িয়ে পড়েছে। জাপানে ধনীদের এমন সাধারণ জীবনধারা অস্বাভাবিক নয়। দেশটিতে সাদাসিধে জীবনযাপন অনেকের মধ্যে দেখা যায়।