শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের কর্মীকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ
Published: 1st, July 2025 GMT
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের এক কর্মীকে পুলিশে সোপর্দ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে তিনটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর কার্যালয় থেকে তাঁকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
আটক রাকায়েত হোসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার দক্ষিণপুরের জানখারটেক গ্রামের প্রয়াত দেলোয়ার হোসেনের ছেলে। তিনি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সজীবুর রহমানের সমর্থক হিসেবে ক্যাম্পাসে পরিচিত ছিলেন।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, দুপুরের দিকে ক্লাস থেকে বের হয়ে নতুন সামাজিক বিজ্ঞান ভবনের নিচে আসেন রাকায়েত হোসেন। এ সময় ছাত্রদলের কয়েকজন নেতা-কর্মী তাঁকে ধরে প্রক্টর কার্যালয়ে নিয়ে যান। সেখানে বেলা তিনটা পর্যন্ত প্রক্টর কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁকে পুলিশে দেওয়া হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সহসভাপতি মো.
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মোখলেসুর রহমান বলেন, কয়েকজন শিক্ষার্থী আটক করে ওই শিক্ষার্থীকে প্রক্টর কার্যালয়ে নিয়ে আসেন। তাঁর বিরুদ্ধে কয়েকজন শিক্ষার্থী অভিযোগ করেছেন। সার্বিক দিক বিবেচনা করে তাঁকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। পুলিশ এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
এ বিষয়ে সিলেটের জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুমন মিত্র বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ একজন শিক্ষার্থীকে আমাদের কাছে হস্তান্তর করেছে। আমরা যাচাই-বাছাই করে দেখব, কোনো মামলা বা অভিযোগ আছে কি না। এরপর ওই শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সংস্কার নিয়ে শুধু বিএনপিকে দোষারোপ করা ঐক্যের সহায়ক হবে না: মির্জা ফখরুল
সংস্কার নিয়ে শুধু বিএনপিকে দোষারোপ করে কথা বলা জাতীয় ঐক্যের জন্য সহায়ক হবে না বলে সতর্ক করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, ‘একটি কৌশলী প্রচারণা চালানো হচ্ছে, বলা হচ্ছে, বিএনপি সংস্কার মানছে না। অথচ বাস্তবে আমরা বহু আগেই সংস্কারের দিকনির্দেশনা দিয়েছি এবং ঐকমত্যের ভিত্তিতে কাজ করার পক্ষেই আমরা কথা বলছি।’
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে শহীদ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ‘গণ-অভ্যুত্থান ২০২৪: জাতীয় ঐক্য ও গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর বাংলাদেশ–চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে এ অনুষ্ঠান হয়। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ছিলেন প্রধান অতিথি। অনুষ্ঠানে তাঁর ভিডিও বক্তব্য প্রচার করা হয়।
আরও পড়ুনসংসদে প্রতিনিধিত্ব চান জুলাই শহীদ পরিবারের সদস্যরা২ ঘণ্টা আগেসংস্কার নিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আমরা দ্বিকক্ষবিশিষ্ট পার্লামেন্টের কথা বলেছি, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্যের কথা বলেছি, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও অর্থনৈতিক সংস্কারের কথা বলেছি। তাই শুধু বিএনপিকে দোষারোপ করলে তা ঐক্যের সহায়ক হবে না।’ তিনি বলেন, বিএনপি বরাবরই গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থায় বিশ্বাস করে এবং সে অনুযায়ী সংস্কারের প্রস্তাব দিয়ে আসছে। ২০১৬ সালে খালেদা জিয়া ‘ভিশন ২০৩০’ প্রকাশ করেছিলেন, পরে ২০২২ সালে দলীয়ভাবে ২৭ দফা রাষ্ট্র সংস্কারের রূপরেখা দেওয়া হয়, যা পরবর্তী সময়ে ৩১ দফায় রূপান্তরিত হয়।
তরুণেরাই দেশের রাজনীতিতে পরিবর্তন এনেছে উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘তাদের ত্যাগ ও সংগ্রামে আমরা আজকের জায়গায় এসেছি। আমরা চাই, একটি সত্যিকার গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ, যেখানে থাকবে কর্মসংস্থান, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, নারীর ক্ষমতায়ন ও ধর্মীয় স্বাধীনতা।’
আরও পড়ুনসংখ্যানুপাতিক নির্বাচনব্যবস্থায় বিপদ দেখছেন তারেক রহমান১ ঘণ্টা আগেজুলাই গণ-অভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে বিএনপি আয়োজিত ‘গণ-অভ্যুত্থান ২০২৪: জাতীয় ঐক্য ও গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে উপস্থিত দর্শক–শ্রোতাদের একাংশ। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে