সাবেক রেলমন্ত্রী মজিবুল হকসহ ৪২ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা
Published: 1st, July 2025 GMT
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গুলিবিদ্ধ হয়ে কলেজ ছাত্র জামসেদুর রহমান মিয়াজি জুয়েল নিহত হওয়ার প্রায় ১১ মাস পর হত্যা মামলা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে মামলার বিষয়টি সমকালকে নিশ্চিত করেছেন চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিলাল উদ্দিন আহাম্মেদ।
সাবেক রেলমন্ত্রী মজিবুল হককে প্রধান আসামি করে ৪২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ৮০ জনের বিরুদ্ধে ওই হত্যা মামলাটি দায়ের করেন নিহতের চাচা মো.
মামলায় অভিযোগে বলা হয়, জামশেদ কুমিল্লার সরকারি কলেজের অনার্স ২য় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। গত বছরের ৫ আগস্ট তিনি সকাল থেকে চৌদ্দগ্রামে কোটা সংস্কার আন্দোলনে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন। ওই দিন সরকার পতনের খবর শুনে হাজার হাজার ছাত্র-জনতা বিজয় মিছিল করে। এ সময় চৌদ্দগ্রাম বাজারে মুজিবুল হকের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা ছাত্র-জনতার শান্তিপূর্ণ মিছিলে হামলা করে। এ সময় গুলিতে জামসেদুর রহমান আহত হন। হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মামলার অপর আসামিরা হলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রহমত উল্লাহ বাবুল, সাবেক কাউন্সিলর আব্দুল হালিম, পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি জোবায়ের হোসেন শুভ, বিপ্লব, সোহেল, বাবলু মোল্লা, আবু তাহের, সুমন রেজা, মো. শাহিন, তোফায়েল, মোশারফ, আলী হোসেন লিটন, হারুনুর রশিদ মাছুম, রাকিব, গাজী শহিদ, রফিকুল ইসলাম পাটোয়ারী, গাজী কাজল, ইমান আলী, মো. ইউসুফ, তুরাজ মজুমদার, আরশ মজুমদার, আলমগীর মেম্বার, নুরুল হুদা ফকির, একরামুল হক, কাজী মাছুম বিল্লাহ, পারভেজ, ফখরুল ইসলাম মেহেরাজ, নুর উদ্দিন রাজিব, সাবেক চেয়ারম্যান জিএম জাহিদ হোসেন টিপু, যুবলীগ নেতা মহিবুল আলম কানন মজুমদার, সুব্রত টোটন, ইয়াছিন আরাফাত, দ্বীন মোহাম্মদ সোহাগ, শামীম, জিহাদ হোসেন জাবেদ, সাজ্জাদ, লকিয়ত উল্লাহ সাগর, মাইন উদ্দিন দীপু, জামাল হোসেন ও হাফেজ বেলাল।
মামলার আসামিরা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী। সাবেক রেলপথ মন্ত্রী মুজিবুল হক কুমিল্লা চৌদ্দগ্রাম আসন থেকে নির্বাচিত পাঁচবারের সাবেক সংসদ সদস্য। এছাড়াও তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের পদে আছেন। গত বছরের ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর থেকে তিনি আত্মগোপনে রয়েছেন।
চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিলাল উদ্দিন আহাম্মেদ বলেন, মামলার অভিযোগে সাবেক এমপি মুজিবুল হকের নেতৃত্বে হামলা ঘটনা ঘটেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। মামলার তদন্ত শুরু হয়েছে। মামলায় অভিযুক্তরা আত্মগোপনে আছেন।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: জ ব ল হক
এছাড়াও পড়ুন:
জাবিতে ভোক্তা অধিকার বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ‘কনজ্যুমার ইয়ুথ বাংলাদেশ (সিওয়াইবি)' এর উদ্যোগে ভোক্তা অধিকার বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এছাড়া সেমিনারে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের জন্য খাদ্য অধিকার আইন, সিভি রাইটিং ও বিদেশে উচ্চশিক্ষা সম্পর্কিত সেশন আয়োজন করা হয়।
শনিবার (১৬ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তনের সেমিনার কক্ষে উক্ত সেশনটি অনুষ্ঠিত হয়।
আরো পড়ুন:
জাবিতে পোষ্য কোটা বহাল, ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা
জাবিতে প্রথম বর্ষের ক্লাস শুরু ২১ সেপ্টেম্বর
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাবির উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সোহেল আহমেদ, সহকারী প্রক্টর ও ১৬ নম্বর ছাত্রী হলের প্রাধ্যক্ষ শামীমা নাসরিন জলী, সহকারী প্রক্টর ও ১০ নম্বর হলের প্রাধ্যক্ষ মোহাম্মদ রেজাউল রকিব, মীর মশাররফ হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. মাহমুদুর রহমান, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবদুর রাজ্জাক, সিওয়াইবি জাবি শাখার সভাপতি জিএম তাজমুল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক হোসনী মোবারক, সাবেক সভাপতি মো. আরিফ সেনা, ইখতিয়ার মাহমুদ ও মো. নাঈম ইসলাম।
প্রাধ্যক্ষ শামীমা নাসরিন জলী বলেন, “অসৎ ব্যবসায়ীরা অধিক মুনাফার লোভে খাদ্যে ভেজাল দিবে কিন্তু আমাদেরও উচিত এ ধরনের খাবার এড়িয়ে চলা। ভেজাল খাদ্য গ্রহণের ফলে ছেলে-মেয়েরা অল্পতেই মেজাজ হারিয়ে ফেলছে। এজন্য পরিমিত খাদ্য, অনর্থক খাবারে ভুল না ধরা, সঠিক সময়ে ঘুমানো ও কাচা ফল খাওয়া প্রয়োজন।”
প্রাধ্যক্ষ মোহাম্মদ রেজাউল রকিব বলেন, “আমরা সচেতনভাবেই নিজের জন্য এবং অন্যের জন্য খাদ্যে ক্ষতিকর ভেজাল দেই, যা আমাদের উভয়ের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। সিওয়াইবি জাবি শাখা ক্যাম্পাসের ভেতরে ভেজালমুক্ত খাদ্য ও নির্ধারিত মূল্য নিশ্চিতের লক্ষ্যে বিভিন্ন সময় অভিযান পরিচালনা করেন। যখন যেখানে আমাদের সহযোগিতা কামনা করেন, তখন সেখানেই আমরা তাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করছি।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সোহেল আহমেদ বলেন, “আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখতে নির্দিষ্ট সময় ঘুম ও স্বাস্থ্যকর খাবার প্রয়োজন। ক্যাম্পাসের ১৩ হাজার শিক্ষার্থীকে স্বাস্থ্যসম্মত খাবার নিশ্চিত করা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দায়িত্ব এবং আমরা সে লক্ষ্যে কাজ করছি।আশা করি, সিওয়াইবি বিগত দিনের মতো শিক্ষার্থীদের ভোক্তা অধিকার সম্পর্কে আরো সচেতন করবে এবং ভেজালমুক্ত খাদ্য ও নির্ধারিত মূল্য নিশ্চিতে আগামী দিনেও আমাদেরকে সহযোগিতা করবে।”
কনসাস কনজ্যুমারস সোসাইটির (সিসিএস) নির্বাহী পরিচালক পলাশ মাহমুদ বলেন, “সিসিএস এর যাত্রা শুরু হয় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। এরপর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হয়। এখন বাংলাদেশের ৭৯টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ৩৫০টি উপজেলায় আমাদের কমিটি আছে, যেখানে প্রায় ২ লাখ ভলান্টিয়ার রয়েছে। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হিসেবে এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সংগঠন। আমাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হচ্ছে উচ্চশিক্ষিত শিক্ষার্থীদের খাদ্য ভেজাল ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ বিষয়ে সচেতন করে সামাজিক পরিবর্তন সাধন করা। সে লক্ষ্যেই সিসিএস ও এর যুব শাখা সিওয়াইবি কাজ করে যাচ্ছে।”
জাবি/আহসান/সাইফ