আইপিএল খেলতে গিয়ে দুর্দান্ত পারফর্ম করেছেন। তবে আইপিএলেই পাওয়া চোটের কারণে পড়ে খেলা হয়নি পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে। মোস্তাফিজ আবার ক্রিকেটে ফিরছেন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ দিয়ে। দলটির বিপক্ষে মোস্তাফিজের রেকর্ডও বেশ ভালো। সিরিজের প্রথম ম্যাচ আগামীকাল।  

এখন পর্যন্ত ওয়ানডেতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১৪ ম্যাচে ২৩ উইকেট নিয়েছেন মোস্তাফিজ। ইকোনমিটাও ভালো, ওভারপ্রতি ৫.

০৬।  বাংলাদেশ–শ্রীলঙ্কা ওয়ানডে সিরিজ শুরুর আগে সংবাদ সম্মেলনে সেই মোস্তাফিজকে নিয়ে কথা বলতে হলো শ্রীলঙ্কা অধিনায়ক চারিত আসালাঙ্কাকে।

কলম্বোয় আজ সংবাদ সম্মেলনে লঙ্কান অধিনায়ক আসালাঙ্কা বলেছেন, ‘মোস্তাফিজ দারুণ বোলার। সে আগেও তা প্রমাণ করেছে। বাংলাদেশের হয়ে অনেক উইকেট পেয়েছে। আমাদের তাকে নিয়ে একটা পরিষ্কার পরিকল্পনা আছে। আমরা জানি সে কতটা ভয়ংকর হতে পারে।’

ওয়ানডে সংস্করণে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এখন পর্যন্ত ৫৭ ম্যাচ খেলে ১২টি জয় বাংলাদেশের। তবে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সর্বশেষ দুটি দুটি ওয়ানডে সিরিজই জিতেছে বাংলাদেশ। ঘরের মাঠে দুটি সিরিজই ২–১ ব্যবধানে জিতেছে এর আগে কখনো শ্রীলঙ্কাকে সিরিজ হারাতে না পারা বাংলাদেশ।  

মোস্তাফিজুর রহমান

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

কোটিপতি হলেও পরিচ্ছন্নতা কর্মীর কাজ করেন তিনি

পর্যাপ্ত অর্থ সঞ্চয় করতে পারলেই আমাদের অনেকে কায়িক পরিশ্রম ছেড়ে দেন। আরাম-আয়েশে জীবন কাটান। কিন্তু সবাই তা করেন না। এমন একজন জাপানের কোইচি মাতসুবারা। ৫৬ বছর বয়সী এই জাপানি নাগরিকের বার্ষিক আয় প্রায় ৩ কোটি ইয়েন (প্রায় ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা) হওয়া সত্ত্বেও তিনি এখনো নিয়মিত পরিচ্ছন্নতাকর্মীর কাজ করেন।

মাতসুবারা সপ্তাহে তিন দিন, প্রতিদিন চার ঘণ্টা করে কাজ করেন। তিনি সরকারি পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে কাজ করেন। এ কাজের অংশ হিসেবে তাঁকে ছোটখাটো রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পালন করতে হয়।

এ কাজ থেকে মাতসুবারা মাসে ১ লাখ ইয়েন (প্রায় ৮২ হাজার ৬৪ টাকা) আয় করেন, যা টোকিওর গড় বেতনের তুলনায় অনেক কম। তারপরও তিনি এ কাজ করেন। কারণ, তিনি এটাকে শারীরিক সক্রিয়তা ও মানসিক প্রশান্তির উপায় হিসেবে দেখেন।

মাতসুবারা ছোটবেলা থেকেই সঞ্চয়ী ছিলেন। মাধ্যমিকের পর তিনি একটি কারখানায় মাসে ১ লাখ ৮০ হাজার ইয়েন (প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা) বেতনে কাজ শুরু করেন। খরচ বাঁচিয়ে কয়েক বছরে প্রায় ৩০ লাখ ইয়েন (২৯ লাখ ২৫ হাজার টাকা) সঞ্চয় করে তিনি প্রথম স্টুডিও ফ্ল্যাট কিনেছিলেন।

পরে বাড়ি কেনার ঋণ আগেভাগে পরিশোধ করে ধীরে ধীরে আরও ফ্ল্যাট কেনেন এবং বিনিয়োগ বৃদ্ধি করেন মাতসুবারা। এখন টোকিও ও এর শহরতলিতে তাঁর সাতটি ফ্ল্যাট রয়েছে, যার সবই ভাড়া দিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করেছেন।

ধনবান হলেও মাতসুবারা সাদাসিধে জীবন যাপন করেন। এখনো তিনি সস্তা ফ্ল্যাটে থাকেন, নিজের খাবার নিজে বানান, নতুন জামাকাপড় কেনেন না, সাধারণ স্মার্টফোন ব্যবহার করেন এবং প্রধানত সাইকেলে চলাচল করেন। তাঁর জীবনদর্শন—‘প্রতিদিন কিছু না কিছু করার আশা করি, সুস্থ থাকতে চাই এবং নিজেকে নিয়ে চিন্তা করতে চাই।’

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে মাতসুবারাকে ‘অদৃশ্য কোটিপতি’ বলে উল্লেখ করা হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁর গল্প ছড়িয়ে পড়েছে। জাপানে ধনীদের এমন সাধারণ জীবনধারা অস্বাভাবিক নয়। দেশটিতে সাদাসিধে জীবনযাপন অনেকের মধ্যে দেখা যায়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ