আইনজীবী হত্যা: চিন্ময় দাসসহ ৩৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র
Published: 1st, July 2025 GMT
চট্টগ্রামের আইনজীবী সাইফুল ইসলামকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যার মামলায় সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসসহ ৩৮ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১ জুলাই) চট্টগ্রাম মহানগর আদালতে অভিযোগপত্রটি জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সহকারী কমিশনার (কোতোয়ালি) মাহফুজুর রহমান।
অভিযোগপত্র জমা দেওয়ার বিষয়টি সহকারী কমিশনার মাহফুজুর রহমান গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
আরো পড়ুন:
সাবেক স্ত্রীকে খুনের পর মেয়েকে দলিল বুঝিয়ে দিয়ে আত্মহনন
জুলাই আন্দোলনের মর্মবাণী ছিল ফ্যাসিবাদ বিলোপ করে নতুন বাংলাদেশ গঠন: প্রধান উপদেষ্টা
গত বছরের ২৬ নভেম্বর চট্টগ্রাম আদালত চত্বরে চিন্ময়ের জামিন নিয়ে সংঘর্ষের সময় আইনজীবী সাইফুল ইসলামকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করা হয়। নিহত সাইফুলের বাবা জামাল উদ্দিন ওই ঘটনায় ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করেন। পরে মোট ছয়টি মামলায় গ্রেপ্তার হন ৫১ জন, যাদের মধ্যে ২১ জন এই হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত বলে জানায় পুলিশ।
আদালত সূত্রে জানা যায়, আসামিদের মধ্যে চন্দন দাস, রিপন দাস ও রাজীব ভট্টাচার্য স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। রিপন দাস বঁটি ও চন্দন দাস কিরিচ দিয়ে কোপ দেন, এরপর দলবদ্ধভাবে ১৫-২০ জন মিলে আইনজীবী সাইফুলকে হত্যা করেন।
তদন্ত কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান জানান, চিন্ময় দাসের উসকানি ও নেতৃত্বেই এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়, তাই তাকেও আসামি করা হয়েছে।
চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের বিরুদ্ধে আরো একটি রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা বিচারাধীন রয়েছে। তিনি বর্তমানে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি আছেন।
ঢাকা/রেজাউল/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হত য আস ম আইনজ ব
এছাড়াও পড়ুন:
ঢাকা শহরের সৌর প্যানেলগুলো সচল করার নির্দেশ হাইকোর্টের
ঢাকা শহরের প্রতিটি ভবনের ছাদে পর্যাপ্ত ও কার্যকর সৌর প্যানেল স্থাপনে সময়ভিত্তিক একটি কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও তা বাস্তবায়নের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) এবং টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (স্রেডা) চেয়ারম্যানের প্রতি এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ আদেশ বাস্তবায়ন বিষয়ে আগামী ছয় মাসের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতেও বলা হয়েছে।
এ ছাড়া ঢাকা শহরের আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবনে ইতিমধ্যে স্থাপিত সৌর প্যানেলগুলো সচল করার জন্য রাজউক ও স্রেডাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. আকরাম হোসেন চৌধুরী ও বিচারপতি ফয়েজ আহমেদের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ সোমবার রুলসহ এ আদেশ দেন।
বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) চলতি বছরের এপ্রিলে রিটটি করে। আদালতে বেলার পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এস হাসানুল বান্না। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মাহফুজুর রহমান।
এর আগে প্রধান উপদেষ্টা শুধু সরকারি স্থাপনাগুলোর ছাদে প্যানেল বসিয়ে সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনের উদ্যোগ নিতে ২৬ জুন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান বেলার আইনজীবী এস হাসানুল বান্না। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ঢাকা শহরের সব আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবনের জন্য পর্যাপ্ত ও কার্যকর সৌর প্যানেল স্থাপনে সময়ভিত্তিক কর্মপরিকল্পনা তৈরি ও তা বাস্তবায়ন করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
রুলে ঢাকা শহরের আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবনের ছাদে স্থাপিত বিদ্যমান সৌর প্যানেলগুলো কার্যকরভাবে চালু রাখতে ব্যর্থতা কেন আইনবহির্ভূত ও জনস্বার্থবিরোধী ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি সব বিদ্যমান সৌর প্যানেল সম্পূর্ণরূপে কার্যকর করাসহ ঢাকা শহরের প্রতিটি ভবনের ছাদে পর্যাপ্ত ও কার্যকর সৌর প্যানেল স্থাপন করে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক কনভেনশন, চুক্তি ও জাতীয় মহাপরিকল্পনায় প্রতিশ্রুত গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন হ্রাসের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন নিশ্চিতের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তা–ও জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।
বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব, গৃহায়ণ ও গণপূর্তসচিব, পরিবেশসচিব, রাজউক ও স্রেডার চেয়ারম্যান, ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ডিপিডিসি) এবং ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেডের (ডেসকো) ব্যবস্থাপনা পরিচালক, রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (রিহ্যাব) সভাপতিকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে বলে জানান বেলার আইনজীবী এস হাসানুল বান্না।
বেলার ভাষ্য, বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে টেকসই উন্নয়নের জন্য নবায়নযোগ্য শক্তির উৎস হিসেবে সৌরশক্তি জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে এবং কার্বন নিঃসরণ হ্রাসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ঢাকার মতো ঘনবসতিপূর্ণ শহরে নবায়নযোগ্য শক্তি হিসেবে ছাদে সৌর প্যানেল স্থাপন ও তা কার্যকরভাবে সচল রাখার বিকল্প নেই। ঢাকা শহরের অব্যবহৃত ছাদগুলোয় সৌর প্যানেল স্থাপন করে শক্তি উৎপাদনকারী প্ল্যাটফর্মে পরিণত করার মাধ্যমে ঢাকার বিদ্যুৎ চাহিদার বড় অংশ পূরণ করা সম্ভব, যা কেন্দ্রীয় গ্রিডের ওপর চাপ কমাবে এবং ভোক্তাদের বিদ্যুৎ খাতের ব্যয় কমাবে।
বেলা বলছে, সৌর প্যানেল স্থাপনের ব্যাপক সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও তা স্থাপনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কালক্ষেপণ পরিলক্ষিত হচ্ছে। যেসব ভবনে ইতিমধ্যে সৌর প্যানেল স্থাপিত হয়েছে, যথাযথ নজরদারির অভাবে সেগুলো নিষ্ক্রিয় বা অকার্যকর অবস্থায় রয়েছে। জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার সীমিত করে নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যাপকতা বৃদ্ধির মাধ্যমে কার্বন নিঃসরণের মাত্রা হ্রাস করে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে ঢাকা শহরের অব্যবহৃত ছাদগুলোয় পর্যাপ্ত সোলার প্যানেল স্থাপন এবং ইতিমধ্যে স্থাপিত নিষ্ক্রিয় সৌর প্যানেলগুলো সক্রিয়করণের জন্য বেলা রিটটি করে।ঢাকা শহরের প্রতিটি ভবনের ছাদে পর্যাপ্ত ও কার্যকর সৌর প্যানেল স্থাপনে সময়ভিত্তিক একটি কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও তা বাস্তবায়নের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) এবং টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (স্রেডা) চেয়ারম্যানের প্রতি এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ আদেশ বাস্তবায়ন বিষয়ে আগামী ছয় মাসের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতেও বলা হয়েছে।
এ ছাড়া ঢাকা শহরের আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবনে ইতিমধ্যে স্থাপিত সৌর প্যানেলগুলো সচল করার জন্য রাজউক ও স্রেডাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. আকরাম হোসেন চৌধুরী ও বিচারপতি ফয়েজ আহমেদের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ সোমবার রুলসহ এ আদেশ দেন।
বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) চলতি বছরের এপ্রিলে রিটটি করে। আদালতে বেলার পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এস হাসানুল বান্না। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মাহফুজুর রহমান।
এর আগে প্রধান উপদেষ্টা শুধু সরকারি স্থাপনাগুলোর ছাদে প্যানেল বসিয়ে সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনের উদ্যোগ নিতে ২৬ জুন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান বেলার আইনজীবী এস হাসানুল বান্না। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ঢাকা শহরের সব আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবনের জন্য পর্যাপ্ত ও কার্যকর সৌর প্যানেল স্থাপনে সময়ভিত্তিক কর্মপরিকল্পনা তৈরি ও তা বাস্তবায়ন করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
রুলে ঢাকা শহরের আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবনের ছাদে স্থাপিত বিদ্যমান সৌর প্যানেলগুলো কার্যকরভাবে চালু রাখতে ব্যর্থতা কেন আইনবহির্ভূত ও জনস্বার্থবিরোধী ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি সব বিদ্যমান সৌর প্যানেল সম্পূর্ণরূপে কার্যকর করাসহ ঢাকা শহরের প্রতিটি ভবনের ছাদে পর্যাপ্ত ও কার্যকর সৌর প্যানেল স্থাপন করে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক কনভেনশন, চুক্তি ও জাতীয় মহাপরিকল্পনায় প্রতিশ্রুত গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন হ্রাসের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন নিশ্চিতের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তা–ও জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।
বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব, গৃহায়ণ ও গণপূর্তসচিব, পরিবেশসচিব, রাজউক ও স্রেডার চেয়ারম্যান, ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ডিপিডিসি) এবং ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেডের (ডেসকো) ব্যবস্থাপনা পরিচালক, রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (রিহ্যাব) সভাপতিকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে বলে জানান বেলার আইনজীবী এস হাসানুল বান্না।
বেলার ভাষ্য, বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে টেকসই উন্নয়নের জন্য নবায়নযোগ্য শক্তির উৎস হিসেবে সৌরশক্তি জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে এবং কার্বন নিঃসরণ হ্রাসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ঢাকার মতো ঘনবসতিপূর্ণ শহরে নবায়নযোগ্য শক্তি হিসেবে ছাদে সৌর প্যানেল স্থাপন ও তা কার্যকরভাবে সচল রাখার বিকল্প নেই। ঢাকা শহরের অব্যবহৃত ছাদগুলোয় সৌর প্যানেল স্থাপন করে শক্তি উৎপাদনকারী প্ল্যাটফর্মে পরিণত করার মাধ্যমে ঢাকার বিদ্যুৎ চাহিদার বড় অংশ পূরণ করা সম্ভব, যা কেন্দ্রীয় গ্রিডের ওপর চাপ কমাবে এবং ভোক্তাদের বিদ্যুৎ খাতের ব্যয় কমাবে।
বেলা বলছে, সৌর প্যানেল স্থাপনের ব্যাপক সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও তা স্থাপনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কালক্ষেপণ পরিলক্ষিত হচ্ছে। যেসব ভবনে ইতিমধ্যে সৌর প্যানেল স্থাপিত হয়েছে, যথাযথ নজরদারির অভাবে সেগুলো নিষ্ক্রিয় বা অকার্যকর অবস্থায় রয়েছে। জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার সীমিত করে নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যাপকতা বৃদ্ধির মাধ্যমে কার্বন নিঃসরণের মাত্রা হ্রাস করে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে ঢাকা শহরের অব্যবহৃত ছাদগুলোয় পর্যাপ্ত সোলার প্যানেল স্থাপন এবং ইতিমধ্যে স্থাপিত নিষ্ক্রিয় সৌর প্যানেলগুলো সক্রিয়করণের জন্য বেলা রিটটি করে।