সারজিস-হাসনাতকে ১০০ বার ফোন দিলেও রিসিভ করে না: শহীদ জাহিদের মায়ের অভিযোগ
Published: 1st, July 2025 GMT
জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম ও হাসনাত আব্দুল্লাহদের ১০০ বার ফোন দিলেও তারা রিসিভ করেন না বলে অভিযোগ করেছেন আন্দোলনে শহিদ আবদুল্লাহ বিন জাহিদের মা ফাতেমা তুজ জোহরা। তিনি বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ আবদুল্লাহ বিন জাহিদের পরিবারের খোঁজ কেউ নেয়নি।
মঙ্গলবার বিকেলে বিএনপি আয়োজিত ‘গণঅভ্যুত্থান ২০২৪: জাতীয় ঐক্য ও গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তব্য দেওয়ার সময় কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি এসব অভিযোগ করেন। জুলাই অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ৫ আগস্ট সন্ধ্যায় বিমানবন্দর এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হন আবদুল্লাহ।
ফাতেমা তুজ জোহরা বলেন, আমার দুই ছেলে। বড় ছেলে আব্দুল্লাহ বিন জাহিদের বয়স ছিল ১৭ বছর, ছোট ছেলের ১৪ বছর। আমার বড় ছেলে মারা যাওয়ার ১৪ দিনের মাথায় ছোট ছেলের ক্যানসার ধরা পড়ে। সে বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। গত ১৮ মে আমার স্বামী ব্রেন স্ট্রোকে মারা যান। ‘আমরা বিএনপি পরিবার’ থেকে আমার ছোট ছেলের খোঁজখবর নিয়েছে এবং তার চিকিৎসার খরচ দিয়েছে।
আগামী শুক্রবার ছোট ছেলের আরেকটা অপারেশন হবে। আমার শেষ অবলম্বনটুকু যেন আমার কাছে থাকে এজন্য সবাই দোয়া করবেন।
তিনি আরও বলেন, এই উপদেষ্টা পরিষদ ও অন্তর্বর্তী সরকার আজ পর্যন্ত আমাদের খোঁজ নিতে পারেনি। আমার ছেলের রক্তের বিনিময়ে ক্ষমতা পেল, তারা একবারও আমাদের খোঁজ নিলো না। এমনকি সারজিস-হাসনাতকে আমরা ১০০টা ফোন দিলেও তারা রিসিভ করেন না।
আমরা বিএনপি পরিবার আজ আমাদের সঙ্গে না থাকলে আমাদের আজ রাস্তায় নামতে হতো। আমার ছোট ছেলেও আজ দুনিয়ায় থাকতো না, যোগ করেন ফাতেমা তুজ জোহরা।
অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য রাখেন দলের চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে রয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সভাপতিত্ব করছেন দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। এতে জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে নিহত ও আহতদের পরিবারগুলোর জন্য সম্মানসূচক আসনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: জ ল ই অভ য ত থ ন আম দ র পর ব র ব এনপ
এছাড়াও পড়ুন:
চট্টগ্রাম বন্দরে কার্গো পণ্য হ্যান্ডলিংয়ে রেকর্ড
চট্টগ্রাম বন্দর প্রতিষ্ঠার ১৩৭ বছরের মধ্যে এবারই সর্বাধিক কার্গো পণ্য হ্যান্ডলিংয়ের রেকর্ড হয়েছে। দেশের প্রধান এই সমুদ্র বন্দরটি সদ্য বিদায়ী ২০২৪-২৫ অর্থবছরে কার্গো (খোলা) পণ্য হ্যান্ডলিং করেছে ১৩ কোটি ৭ লাখ ২৪ হাজার ৭৮৩ লাখ মেট্রিক টন। এতদিন তাদের সর্বোচ্চ হ্যান্ডলিং ছিল ১২ কোটি ৩২ লাখ ৪২ হাজার ৪৮ মেট্রিক টন। গত অর্থবছর এটি অর্জন হয়। সে হিসাবে আগের তুলনায় কার্গো পণ্যে এবারে ৬ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে বন্দর।
২০২১-২২ অর্থ বছরের পর এটিই এক অর্থবছরে বন্দরের সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধি। চার বছর আগে ২০২০-২১ অর্থবছরে আগের তুলনায় সর্বোচ্চ ১১ দশমিক ৯৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করার গৌরব অর্জন করেছিল চট্টগ্রাম বন্দর।
চট্টগ্রাম বন্দর সচিব ওমর ফারুক জানান, চট্টগ্রাম বন্দর প্রতিষ্ঠা হয় ১৮৮৮ সালের ২৫ এপ্রিল। এ হিসাবে চট্টগ্রাম বন্দর পাড়ি দিয়েছে ১৩৭ বছর। দীর্ঘ এই পথ পরিক্রমায় এবারই প্রথম ১৩ কোটি মেট্রিক টন কার্গো পণ্য হ্যান্ডলিংয়ের মাইলফলক ছুঁয়েছে দেশের প্রধান সমুদ্র বন্দর।
কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়েও এবার রেকর্ড করেছে বন্দর। ৪৮ বছরের মধ্যে এবার সর্বোচ্চ ৩২ লাখ ৯৬ হাজার একক কনটেইনার হ্যান্ডেল করেছে তারা।
মিউচ্যুয়াল গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক পারভেজ আহমেদ বলেন, ‘চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে বর্তমানে মোট আমদানির ২৩ শতাংশ হয় কনটেইনারে। বাকি ৭৭ শতাংশ আসে বাল্ক পণ্য, তেল ও কেমিক্যাল ট্যাংকারে। বন্দরে নোঙর করা জাহাজের মধ্যে ৪৫ শতাংশই কনটেইনারবাহী, ৪৫
শতাংশ বাল্ক ক্যারিয়ার এবং ১০ শতাংশ তরল পণ্যবাহী জাহাজ।
তিনি জানান, দেশের মোট কনটেইনার বাণিজ্যের প্রায় ৯৯ শতাংশ পরিচালিত হয় চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে। বাকি এক শতাংশ মোংলা বন্দর দিয়ে পরিচালিত হয়।