ভিআইপির লাগেজ তল্লাশিতে বাড়তি গুরুত্ব
Published: 1st, July 2025 GMT
ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে আরও জোরদার করতে নতুন করে ছয়টি ব্যবস্থা নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এর অংশ হিসেবে বিমানবন্দরে যাত্রীদের লাগেজ আরও গুরুত্ব দিয়ে তল্লাশি করা হবে।
মঙ্গলবার বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ এ-সংক্রান্ত একটি নোটিশ জারি করে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, বিশেষ করে ভিআইপি ও ভিভিআইপি যাত্রীদের ব্যাগেজ স্ক্রিনিংয়ে এখন থেকে আরও বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। তারা জানান, নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করতে ছয়টি অতিরিক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ও যে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঠেকানো এসব পদক্ষেপের লক্ষ্য।
অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থাগুলো হলো– ভিআইপি ও ভিভিআইপি ব্যাগ স্ক্রিনিংয়ে অধিকতর মনোযোগ দেওয়া; এভিয়েশন সিকিউরিটি সদস্যদের নিয়মিত সচেতনতামূলক ব্রিফিং ও নির্দেশনা; সিসিটিভি মনিটরিং টিমকে বিশেষ নজরদারির নির্দেশনা; মেটাল ডিটেক্টর ও এক্স-রে মেশিনে স্ক্যানের পর ‘হাই রিস্ক’ ব্যাগের ক্ষেত্রে ম্যানুয়াল তল্লাশি বাধ্যতামূলক করা; আগ্নেয়াস্ত্র বহনকারীদের জন্য বিমানবন্দরে প্রবেশের আগে পূর্বানুমতি নিশ্চিতকরণ এবং রেকর্ড সংরক্ষণ; কোনো ধরনের ‘সিকিউরিটি ব্রিচ’ ঘটলে সংশ্লিষ্ট সংস্থার মাধ্যমে তদন্ত কমিটি গঠন ও তাৎক্ষণিক প্রতিরোধমূলক নির্দেশনা দেওয়া।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
পটিয়ায় বৈষম্যবিরোধী নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ, আহত ১১
চট্টগ্রামের পটিয়ায় থানার সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এতে পুলিশের চার সদস্য ও আন্দোলনকারী পক্ষের অন্তত সাতজন আহত হয়েছেন বলে উভয় পক্ষ দাবি করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী, পুলিশ ও আন্দোলনকারী পক্ষের সূত্রে জানা গেছে, রাত নয়টার দিকে পটিয়ার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে থেকে ছাত্রলীগের এক নেতাকে আটক করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা। পরে তাকে পটিয়া থানা চত্বরে নিয়ে আসা হয়। তবে ওই ছাত্রলীগ নেতার নামে কোনো মামলা না থাকায় পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করতে চায়নি। এ নিয়ে আন্দোলনকারী নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের উত্তেজনা দেখা দেয় এবং পরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে পুলিশ ওই ছাত্রলীগ নেতাকে নিজেদের হেফাজতে নেয়।
এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চট্টগ্রাম মহানগর শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক রিদওয়ান সিদ্দিকী সমকালকে বলেন, ‘খবর পেয়ে আমি পটিয়ায় ঘটনাস্থলে গেছি। আমাদের কর্মীদের ওপর পুলিশ লাঠিপেটা করেছে। আহত কয়েকজনকে হাসপাতালে নিতে হয়েছে।’
পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জাহেদ মো. নাজমুন নূর সমকালকে বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা ছাত্রলীগের এক নেতাকে থানায় নিয়ে এসেছিলেন। তবে নিয়ে আসার পরে ‘মব’ সৃষ্টি করে তাকে মারধর করা হচ্ছিল। একদল নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেঙে থানায় মব নিয়ে ঢুকে যাচ্ছিল। এ সময় পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়। এতে তিন–চারজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।