বিএনপি যাতে ক্ষমতায় যেতে না পারে, সে জন্য একটি পক্ষ সুচতুর কৌশলে তৈরি হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। মঙ্গলবার জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূতি উপলক্ষে ‘গণ-অভ্যুত্থান–২০২৪ জাতীয় ঐক্য ও গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।

ঢাকায় বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে এই আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বিএনপি। দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। সভায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ছিলেন প্রধান অতিথি। অনুষ্ঠানে তাঁর ভিডিও বক্তব্য প্রচার করা হয়।

আলোচনা সভায় মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আমাদের ঐকমত্য কমিশনে যেখানে বক্তব্য হয়, ওখানে যা শুনি, সোশ্যাল মিডিয়ায় যা দেখি, তাতে মনে হয় যে একটা পক্ষ সুচতুর কৌশলে তৈরি হচ্ছে, যাতে বিএনপি ক্ষমতায় আসতে না পারে। এর জন্য যা করতে হয় করবে, দেশ বিক্রি হয় হবে।’

বিএনপিকে প্রতিপক্ষ ভাবার কোনো কারণ নেই মন্তব্য করে বিএনপির মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আমরা প্রতিযোগী হতে চাই, প্রতিপক্ষ নয়। আমরা কেউ বলি না, বিএনপি যেকোনো মূল্যে ক্ষমতায় যাবে। বরং আমরা বলি, আমরা জনগণের ভোট, জনগণের অধিকার ফিরিয়ে দিতে চাই। সে লক্ষ্যে ১৭-১৮ বছর ধরে বিএনপি আন্দোলন করেছে, বহু নেতা-কর্মী জেল-জুলুমের শিকার হয়েছেন, শহীদ হয়েছেন, আহত হয়েছেন।’

ঐক্যের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়ে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘অনেকে বলেন, যদি এটা না হয় তাহলে নির্বাচন হবে না। এ ধরনের বক্তব্য আসলে ঐক্যকে ধ্বংস করার কথা, বিভাজনের কথা। জাতিকে বিভক্ত রেখে উন্নয়ন সম্ভব নয়। ব্যক্তিগত বা গোষ্ঠীগত সুবিধার জন্য ঐক্যকে ব্যবহার করলে দেশ এগোবে না। আমাদের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত গণতান্ত্রিক অভিযাত্রায় সবাইকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে পথ চলা।’

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। অনুষ্ঠানে শহীদ আবু সাঈদ, মীর মুগ্ধ, ওয়াসিমসহ জুলাই শহীদদের অনেকের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। ছিলেন বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় গুম ও খুনের শিকার অনেকের স্বজনেরা। বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা ছাড়াও আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), হেফাজতে ইসলামসহ বিভিন্ন দল ও সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতারা অনুষ্ঠানে অংশ নেন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: অন ষ ঠ ন ক ষমত য় ব এনপ র

এছাড়াও পড়ুন:

গণসংহতি আন্দোলন কার্যালয়ের পাশে ককটেল বিস্ফোরণের অভিযোগ, বিক্ষোভ মিছিল

গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ‍দুটো ককটেল বিস্ফোরণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার রাত ৮টার দিকে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা  ঘটে। এর প্রতিবাদে সংগঠনের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক একটি বিক্ষোভ মিছিল হাতিরপুল কার্যালয় থেকে কাঁচাবাজার হয়ে কাটাবন মোড় পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়। 

গণসংহতি আন্দোলনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ককটেল বিস্ফোরণের কথা বলা হয়েছে। এতে বলা হয়, সংক্ষিপ্ত মিছিলে গণসংহতি আন্দোলনের নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তির প্রাক্কালে আজকে গণসংহতির কার্যালয়ের পাশে ককটেল বিস্ফোরণ করে গণ-অভ্যুত্থানের বিরোধী শক্তি ভয় দেখাতে চায়; কিন্তু জনগণের শক্তি এতে মোটেও শঙ্কিত নয়। জনগণের আকাঙ্ক্ষাকে নস্যাৎ করতে পতিত আওয়ামী লীগ এখনো ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় দেশকে আতঙ্কিত করতে এই ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। আগামীকাল জুলাই অভ্যুত্থানের এক বছর এই সময় এ ধরণের হামলা উদ্দেশ্যেপ্রণোদিত। 

আবুল হাসান রুবেল আরও বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে মানুষ বিচারের যে অগ্রগতি আকাঙ্ক্ষা করেছিল তা এখন পর্যন্ত আশানুরুপ না হয়নি। দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক নয়। সরকারের কাছে প্রত্যাশা, অবিলম্বে ককটেল বিস্ফোরণকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের উদ্যোগ নিতে হবে। 

বিক্ষোভে উপস্থিত ছিলেন রাজনৈতিক পরিষদ সদস্য তাসলিমা আখতার, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভূইয়া, দীপক কুমার রায়, কেন্দ্রীয় সদস্য আলীফ দেওয়ান, অপরাজিতা চন্দ, ছাত্র ফেডারেশন কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সৈকত আরিফ, ঢাকা মহানগর ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি আলামিন রহমান প্রমুখ। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জুলাই পদযাত্রার দ্বিতীয় দিনে রংপুর-কুড়িগ্রামের পথে প্রান্তরে এন
  • আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের ওয়েবসাইটে টার্গেট হামলা
  • ইসরায়েলের প্রধান বিমানবন্দর লক্ষ্য করে হুতিদের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
  • এক দলকে সরিয়ে আরেক দলকে বসানোর জন্য কেউ রক্ত দেয়নি: নাহিদ
  • জুলাই আন্দোলন ছিল জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা : বাঁধন
  • বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের বর্ষপূর্তিতে বাঁধন বললেন, সিদ্ধান্তটা সহজ ছিল না
  • স্বৈরাচার পতনে যাতে ১৬ বছর অপেক্ষা করতে না হয় সেই কাজ করছি: প্রধান উপদেষ্টা
  • এই বিশাল প্রকল্প কি বৃথাই যাবে
  • গণসংহতি আন্দোলন কার্যালয়ের পাশে ককটেল বিস্ফোরণের অভিযোগ, বিক্ষোভ মিছিল