এমবাপ্পের অভিষেক ম্যাচে জুভেন্টাসকে হারিয়ে শেষ আটে রিয়াল
Published: 2nd, July 2025 GMT
ক্লাব বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে এমবাপ্পেকে ছাড়াই নকআউট পর্ব নিশ্চিত করেছিল রিয়াল মাদ্রিদ। অবশেষে শেষ ষোলোতে জুভেন্টাসের বিপক্ষে বহু প্রতীক্ষিত অভিষেকে মাঠে নামলেন ফরাসি তারকা। যদিও গোলের দেখা পাননি তিনি, তবে তার দল ১-০ গোলে জিতে জায়গা করে নিয়েছে কোয়ার্টার ফাইনালে। ম্যাচের একমাত্র গোলটি করেন গনসালো গার্সিয়া।
মায়ামির হার্ড রক স্টেডিয়ামে শুরু থেকেই কিছু আক্রমণ চালায় জুভেন্টাস। ম্যাচের সপ্তম মিনিটে রিয়ালের ডিফেন্স ভেদ করে জুভেন্টাসের কেনান ইলদিজের পাস ধরে স্ট্রাইকার র্যান্ডাল কোলো মুয়ানির চিপ অল্পের জন্য থিবো কোর্তোয়ার ক্রসবারের উপর দিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর ইদলিজের দূরপাল্লার শট গোলবারের পাশ দিয়ে লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।
প্রথমার্ধে রিয়ালের আক্রমণভাগ দারুণভাবে চাপে রাখলেও, গোলরক্ষক মিচেল ডি গ্রেগরিও ছিলেন অসাধারণ। তিনি একের পর এক শট ঠেকিয়ে দেন জুড বেলিংহাম ও ফেদেরিকো ভালভের্দের। গোলশূন্য প্রথমার্ধ শেষে দ্বিতীয়ার্ধেও দৃঢ়তা দেখান ইতালিয়ান কিপার।
তবে ৫৪ মিনিটে তার কৌশলের ভাঙন ধরান ট্রেন্ট আলেক্সান্ডার আর্নল্ড। তার নিখুঁত ক্রসে হেড করে গার্সিয়া করেন ম্যাচের একমাত্র ও নিজের টুর্নামেন্টের তৃতীয় গোল। এরপরও ভালভের্দের বাইসাইকেল কিকসহ বেশ কয়েকটি প্রচেষ্টা রুখে দেন গ্রেগরিও, তবে আক্রমণভাগে জুভেন্টাসের ব্যর্থতায় আর সমতায় ফেরা হয়নি।
এই জয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে রিয়াল মাদ্রিদ। শেষ আটে তাদের প্রতিপক্ষ হবে বরুসিয়া ডর্টমুন্ড অথবা মেক্সিকোর ক্লাব মন্টেরি।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ক ল য় ন এমব প প ক ল ব ব শ বক প
এছাড়াও পড়ুন:
কাসেমিরোর গোলে সেনেগালকে হারালো ব্রাজিল
আর্সেনালের এমিরেটস স্টেডিয়ামে শনিবার (১৫ নভেম্বর) রাতের প্রীতি ম্যাচে শুরুতেই দারুণ ছন্দ খুঁজে পাওয়া ব্রাজিল প্রথমার্ধের দুই গোলেই ২-০ ব্যবধানে হারাল সেনেগালকে। গোল দুটি করেছেন উঠতি তারকা এস্তেভাও আর অভিজ্ঞ কাসেমিরো।
এই জয়ের মধ্য দিয়ে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা প্রথমবারের মতো আফ্রিকান প্রতিপক্ষ সেনেগালের বিরুদ্ধে জয় পেল। একই সঙ্গে ব্রাজিল কোচ হিসেবে কার্লো আনচেলত্তির সাত ম্যাচে এটি চতুর্থ জয়।
আরো পড়ুন:
মর্যাদা বাড়াতে ভেড়া পালা হয় যে দেশে
ম্যাচটি কেবল নামেই ‘ফ্রেন্ডলি’, মাঠে ছিল একেবারে আগুনে লড়াই। শুরু থেকে শেষ; পুরো ম্যাচ জুড়ে ছিল রুক্ষ ট্যাকল, উত্তাপ, আর কয়েকবার প্রায় হাতাহাতির মতো পরিস্থিতিও তৈরি হয়।
শুরুতেই ব্রাজিল ঝাঁপিয়ে পড়ে। মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যে মাতেউস কুনিয়া দুইবার বল লাগান পোস্টে। যা ম্যাচের দ্রুতগতি আর ব্রাজিলের তীব্র আক্রমণাত্মক মানসিকতার আভাস দেয়।
ভিনিসিউস জুনিয়রকে স্ট্রাইকার হিসেবে ব্যবহার করা হয়; ডানদিকে ছিলেন এস্তেভাও, আর রদ্রিগো নামেন উইংয়ে। কুনিয়া খেললেন আক্রমণভাগের প্লেমেকার হিসেবে। চারজনের এই গতিময় আক্রমণভাগ বারবার ভড়কে দেয় সেনেগালের রক্ষণকে।
পেছনে আনচেলোত্তি করেন আরেকটি পরিবর্তন। সেন্টারব্যাক এদার মিলিতাওকে খেলান রাইট-ব্যাক হিসেবে। অবাক করার মতো ভালো খেলেন মিলিতাও; ডিফেন্স সামলানোর পাশাপাশি ডানদিক দিয়ে আক্রমণেও দারুণ সমর্থন দেন এবং কিশোর প্রতিভা এস্তেভাওয়ের সঙ্গে দারুণ বোঝাপড়াও তৈরি হয়।
২৮ মিনিটে আসে প্রথম গোল। ক্যাসেমিরোর একটি থ্রু-পাস সেনেগাল ডিফেন্ডারের পায়ে লেগে দিক বদলে ঠিক এস্তেভাওয়ের সামনে চলে আসে। বজ্রগতিতে বল দখল করে অসাধারণ দক্ষতায় বাঁ-পায়ের শটে বল জড়ান দূরের পোস্টে।
৩৫ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন কাসেমিরো। রদ্রিগোর নিখুঁত ফ্রি-কিকে ডিফেন্ডারদের ফাঁক গলে একেবারে ফাঁকা অবস্থায় বল পান তিনি। ঠান্ডা মাথায় বল নামিয়ে কাছাকাছি থেকে বাঁকানো শটে গোল করেন; কিছুই করার ছিল না এদুয়ার মেন্ডির।
হাফটাইমের ঠিক আগে দু’বার গোলের সুযোগ তৈরি করে সেনেগাল। পাপে গ্যেই ও ইসমাইল সারের জোড়া আক্রমণ ব্রাজিল গোলরক্ষক এডারসনকে ব্যস্ত করে তোলে।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ম্যাচে ফেরার সেরা সুযোগ পায় সেনেগাল। ৫১ মিনিটে এডারসনের একটি ভুলে ইলিমান এনদিয়াই পেয়ে যান ফাঁকা জাল; কিন্তু অবিশ্বাস্যভাবে পোস্টে মেরে গোল মিস করেন তিনি।
ব্রাজিল যদিও আক্রমণ চালিয়ে যায়। ভিনিসিউসের গতিময় দৌড়, বামদিক দিয়ে বারবার ঢোকার চেষ্টা; সবই ছিল নজরকাড়া। তবে সহজ কয়েকটি সুযোগ হাতছাড়া করায় ব্যবধান আর বাড়াতে পারেনি সেলেসাওরা।
সব মিলিয়ে আনচেলোত্তির দলে দেখা গেল শৃঙ্খলিত রক্ষণ, আক্রমণভাগে সৃজনশীলতা। তার হাতের ছোঁয়া যেন ধীরে ধীরে স্পষ্ট হচ্ছে।
২০২৬ বিশ্বকাপকে সামনে রেখে দল গঠনের এই প্রীতি সিরিজে ব্রাজিলের পরের প্রতিপক্ষ তিউনিশিয়া। লিলেতে মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) খেলবে দুই দল।
ঢাকা/আমিনুল