১৯৯৭ ফিফা অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপ। সেবার ঘানাকে হারিয়ে ছোটদের এই বিশ্বকাপ প্রথম জিতেছিল ব্রাজিল। কার্লোস সিজার রামোসের সেই দলে ছিলেন রোনালদিনিও, জিওভান্নি, ফাবিও সান্তোস, ফাবিও পিন্তোরা। শুধু রোনালদিনিও-ই এই দল থেকে পরে বড় মাপের তারকা হয়েছেন। অন্যরা সেভাবে মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেননি—কথাটি ঠিক আবার ভুলও!

আরও পড়ুনইন্টারের বিদায়ের পর মার্তিনেজের কড়া বার্তা, লড়তে না চাইলে চলে যাও১৯ ঘণ্টা আগে

ব্রাজিলের সেই অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপজয়ী দলের একজন এখনো খেলে যাচ্ছেন। বয়স তাঁকে ৪৪ বছরে নিয়ে এসে দাঁড় করালেও গ্লাভসজোড়া তুলে রাখার যেন কোনো ইচ্ছাই তাঁর নেই। বরং তারকা না হয়েও এ বয়সে তাঁর ম্যাচ খেলার পরিসংখ্যান দেখলে কুঁড়ি-পঁচিশের ফুটবলাররাও চমকে যেতে পারেন। ২০২২ সাল থেকে ফ্লুমিনেন্সের হয়ে এ পর্যন্ত ২২২ ম্যাচ তিনি খেলেছেন! আগের তিনটি মৌসুমের একেকটিতে ৬০টির বেশি ম্যাচ খেলেছেন। এ মৌসুমে সংখ্যাটা একটু কমে এখন পর্যন্ত ৩৫।

নাম তাঁর ফাবিও দেভিসন লোপেজ মাসিয়েল। ব্রাজিলিয়ান লিগ কিংবা ক্লাব বিশ্বকাপে চোখ রাখলে শুধু ‘ফাবিও’ নামে তাঁকে চিনতে পারেন। যুক্তরাষ্ট্রে চলমান ক্লাব বিশ্বকাপে সবচেয়ে বয়স্ক খেলোয়াড় ফাবিও। যদিও ফ্লুমিনেন্স–সমর্থকেরা তাঁর এ পরিচয়ে আপত্তি তুলতে পারেন। ফাবিও ব্রাজিলিয়ান ক্লাবটির গোলকিপার, সেটাও যেনতেন গোলকিপার নন; এই তো মাত্র পাঁচ দিন আগে গ্রুপ পর্বে পাচুকার বিপক্ষে ২-০ গোলের জয়ে দারুণ এক রেকর্ড গড়েন ফাবিও। ইতালিয়ান কিংবদন্তি জিয়ানলুইজি বুফনকে পেছনে ফেলে ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ম্যাচে (৫০৭) ক্লিনশিট রাখার রেকর্ড গড়েন।

৪৪ বছর বয়সেও পোস্টের নিচের নিয়মিত দেখা যায় ফাবিওকে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব শ বক প

এছাড়াও পড়ুন:

কুপিয়ে জখমের প্রতিবাদে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

যশোরের ঝিকরগাছায় কুপিয়ে আহত করার পর পাল্টা হামলায় একজনকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার দুপুরে উপজেলার হাজিরবাগ ইউনিয়নের সোনাকুড় গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। 

নিহত রফিকুল ইসলাম (৫০) ওই গ্রামের ইসমাইল হোসেনের ছেলে।

তবে স্থানীয়দের দাবি করেন, তিনি মাদক সেবন ও কারবারের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। এছাড়া আগেও তিনি বিভিন্ন মানুষকে কারণে-অকারণে মারধর করে আহত করেন।

এলাকাবাসী জানান, বুধবার সকালে সোনাকুড় গ্রামের আজগার আলীর বাড়ি থেকে তার জামাতা জহর আলী (৪০) মোটরসাইকেলযোগে বাঁকড়া বাজারে যাচ্ছিলেন। পথে শ্বশুরের চায়ের দোকানের সামনে পৌঁছালে হঠাৎ প্রতিবেশী রফিকুল ইসলাম তার মাথায় দা দিয়ে কুপিয়ে আহত করেন। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে পাঠান। এ ঘটনায় স্থানীয় লোকজন উত্তেজিত হয়ে রফিকুল ইসলামকে দড়ি দিয়ে বেঁধে গণপিটুনি দেন। একপর্যায়ে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান।

জহর আলীর স্ত্রী নাজমা খাতুন বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে প্রতিবেশী রফিকুলের ব্যক্তিগত অথবা পারিবারিক কোনো শত্রুতা ছিল না। টাকা-পয়সারও কোনো লেনদেন নেই। কি কারণে আমার স্বামীকে কুপিয়েছে বুঝতে পারছি না।’ তিনি জানান, কিছুদিন আগে মাদকসেবী রফিকুল সোনাকুড় গ্রামের হিন্দুপাড়ায় একজনের ঘাড়ে কোপ দেন। তবে ঘাড়ে না লেগে তার একটি আঙুল কেটে যায়।

নিহত রফিকুল ইসলামের জামাতা বাপ্পারাজ বলেন, ‘জহর আলীর সঙ্গে আমার শ্বশুর বাড়ির কোনো বিরোধ ছিল না। লোকমুখে শুনলাম আমার শ্বশুর নাকি জহর আলীকে কুপিয়েছে। পরে গ্রামবাসী তাকে দড়ি দিয়ে বেঁধে পেটালে তিনি মারা যান। এ বিষয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করা হবে।’

বাঁকড়া তদন্ত কেন্দ্রের এসআই সাহিদুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে সোনাকুড় থেকে রফিকুল ইসলামের মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। লাশের পাশে দড়ি পাওয়া গেছে বলেও তিনি জানান।

ঝিকরগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নূর মোহাম্মদ গাজী বলেন, ‘নিহত রফিকুল ইসলাম মাদকাসক্ত ছিলেন বলে প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি। তিনি জহর আলী নামে এক ব্যক্তিকে দা দিয়ে আঘাত করায় উত্তেজিত জনতা তাকে পিটুনি দেন। একপর্যায়ে তিনি মারা যান। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ