এই শতকের সেরা ১০০ সিনেমার তালিকা, কতগুলো আপনার দেখা
Published: 2nd, July 2025 GMT
নতুন শতাব্দীর শুরুতে একের পর এক চ্যালেঞ্জিং হয়ে দাঁড়িয়েছিল সুপারহিরো ব্লকবাস্টার সিনেমা। প্রশ্ন উঠেছিল বক্স অফিস সামনে রেখে বিশ্বব্যাপী কি সিনেমার গল্পে বড় ধরনের কোনো পরিবর্তন হতে যাচ্ছে? পরবর্তী সময়ে ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম ঘিরে সিনেমার টিকে থাকা নিয়ে জোরেশোরে আলোচনা তৈরি হয়। প্ল্যাটফর্মগুলো দর্শকদের হাতের মুঠোয় নিয়ে আসে সিনেমা। তথ্যপ্রযুক্তি ঘিরে পরিবর্তন আসে সিনেমার গল্পে। এভাবে গত ২৫ বছর নানা পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে সিনেমার গল্পকে। এ সময় সিনেমার উত্থানে সত্যিকারভাবে কালজয়ী সিনেমা নির্মাণের ধারা কেমন ছিল? সময়ের সঙ্গে কতটা বদলেছে সিনেমা। এ সময় দর্শক–সমালোচকদের তালিকায় কোন সিনেমাগুলো জায়গা পেয়েছে?
২০০০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০২৫ সালে মুক্তি পাওয়া সিনেমার মধ্যে সেরা ১০০ সিনেমার একটি তালিকা তৈরি করেছে দ্য নিউইয়র্ক টাইমস। এ তালিকা তৈরিতে সহায়তা করেছেন ৫০০ চলচ্চিত্র নির্মাতা। এসব চলচ্চিত্র নির্মাতার তালিকায় ছিলেন অস্কারজয়ী পেড্রো আলমোদোভার, সোফিয়া কপোলা, ব্যারি জেনকিন্স, গুইলারমো দেল তোরোর মতো বিখ্যাত পরিচালকেরা। শুধু তাই নয়, এই তালিকা তৈরিতে আরও ছিলেন তারকা, সিনেমাপ্রেমীরা, যাঁরা ১০টি সিনেমাকে ভোট দিয়েছেন। সেই তালিকা থেকেও নির্বাচিত করা হয়েছে সেরা ১০০ সিনেমার তালিকা।
বং জুন–হো পরিচালিত ‘প্যারাসাইট’.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ইভিএম কেনায় তিন হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ
বাজারমূল্যের চেয়ে দশ গুণ বেশি দামে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) কেনার অভিযোগের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের তিন কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুদক। দেড় লক্ষ নিম্নমানের ইভিএম কেনায় সরকারের প্রায় ৩ হাজার ১৭২ কোটি টাকা ক্ষতি বা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদাসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে।
বুধবার যে তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে, তারা হলেন– নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের উপসচিব (চলতি দায়িত্ব) মো. ফরহাদ হোসেন, সিনিয়র মেইনটেন্যান্স ইঞ্জিনিয়ার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন ও সিস্টেম অ্যানালিস্ট ফারজানা আখতার। এ ছাড়া আরও তিন কর্মকর্তাকে ডাকা হলেও গতকাল হাজির হননি। তারা হলেন– নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের উপপ্রধান মো. সাইফুল হক চৌধুরী, সহকারী প্রধান মো. মাহফুজুল হক ও আইটি সিস্টেম কনসালট্যান্ট এ এইচ এম আব্দুর রহিম খান।
কে এম নূরুল হুদাসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, নানা অনিয়ম, সরকারি আর্থিক বিধিবিধান লঙ্ঘন, কোনো সমীক্ষা ও টেন্ডার ছাড়াই প্রকল্প গ্রহণ করে সেনাবাহিনীর কাছ থেকে ইভিএম মেশিন ক্রয়ের অভিযোগ করা হয়। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
নির্বাচন কমিশনে গুণগত মানসম্পন্ন ইভিএম সরবরাহ করা হয়েছে কিনা এবং প্রতিটি ইভিএমের মূল্য সঠিক ছিল কিনা– দুদক এ-সংক্রান্ত তথ্য-প্রমাণ বের করে প্রতিবেদন তৈরি করবে। পরে কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সূত্র জানায়, চলতি বছরের ২০ মার্চ থেকে দুদকের সহকারী পরিচালক মো. রাকিবুল হায়াতের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিশেষ টিম এই অভিযোগ অনুসন্ধান করছে। অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে গতকাল নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ছয় কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়েছিল। এর মধ্যে তিন কর্মকর্তা ঢাকায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে হাজির হয়ে অভিযোগ সম্পর্কে তাদের বক্তব্য দিয়েছেন। পর্যায়ক্রমে ইসি ও মেশিন টুলস ফ্যাক্টরির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হবে।