কিছু দল হাসিনার ষড়যন্ত্রে পা দিয়েছে: দুদু
Published: 2nd, July 2025 GMT
বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, “কিছু দল ব্যক্তি হাসিনার ষড়যন্ত্রে পা দিয়েছে। তারা বুঝে হোক, না বুঝে হোক, নির্বাচন চায় না।”
বুধবার (২ জুলাই) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাঢ়ায় একটি কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের প্রথম বর্ষপূর্তি ও শহীদদের স্মরণে জাতীয় ঐক্য ও গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখা।
আরো পড়ুন:
শেখ হাসিনার বিচার ট্রাইব্যুনাল থেকে সরাসরি সম্প্রচার হবে: প্রসিকিউটর
শেখ হাসিনাকে ট্রাইব্যুনালে হাজিরে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তির নির্দেশ
শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, কেউ কেউ বলে, এক দলকে হটিয়ে আরেক দলকে ক্ষমতায় বসার জন্য আমরা আন্দোলন করিনি। কিন্তু, স্বৈরতন্ত্র বিদায় করে গণতন্ত্র আনা হলো, একটা নির্বাচনের মাধ্যমে একটা দল ক্ষমতায় আসবে। জনগণ যাদের চায়, তারাই আসবে।
আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন—ন্যাশনাল লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ফারুক রহমান, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপুসহ অনেকে।
ঢাকা/অনিক/রফিক
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সদরঘাটে চাঁদাবাজির অভিযোগে তেল ব্যবসায়ীর সংবাদ সম্মেলন
ঢাকার সদরঘাটে চাঁদাবাজির অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলনে করেছেন আরিফুর রহমান সাদ্দাম নামে এক তেল ব্যবসায়ী। তার দাবি, একটি চক্র নিয়মিতভাবে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে জোরপূর্বক চাঁদা আদায় করছে। চাঁদা না দিলে হামলার শিকার হতে হচ্ছে।
মঙ্গলবার (১ জুলাই) রাতে জাতীয় প্রেসক্লাবে তিনি সংবাদ সম্মেলন এ অভিযোগ করেন।
সাদ্দাম জানান, তার পরিবার প্রায় ৪০ বছর ধরে সদরঘাটে তেলের ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। তার বাবা ঘাট ফেডারেশনের সভাপতি এবং একসময় তেল ব্যবসায়ী সমিতিরও সভাপতি ছিলেন।
আরো পড়ুন:
বাকশাল থেকে বহুদলীয় গণতন্ত্রের রচনা বিএনপি করেছে: তারেক রহমান
কিছু দল হাসিনার ষড়যন্ত্রে পা দিয়েছে: শামসুজ্জামান দুদু
তিনি বলেন, “৫ আগস্ট স্বৈরাচার সরকারের পতনের পর যখন দেশজুড়ে সুশাসনের প্রত্যাশা তৈরি হয়। তখনই সদরঘাটে চাঁদাবাজির মাধ্যমে আতঙ্ক ছড়াতে থাকে একটি চক্র।”
তিনি অভিযোগ করে বলেন, “সুমন ভূইয়া, জাকির ও গিয়াস নামে তিন ব্যক্তি নিয়মিত চাঁদা দাবি করেন এবং চাঁদা না দিলে হামলা চালান। আমার তেল ট্যাংকারে হামলা, কর্মচারীদের মারধর এবং বড় ভাইকে লাঞ্ছিত করা হয়েছে। থানায় একাধিকবার অভিযোগ করলেও কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, “আমি অনুরোধ করবো, আপনারা সত্য তুলে ধরুন। যেন আমরা স্বাধীনভাবে ব্যবসা করতে পারি।”
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত সুমন ভূঁইয়া অভিযোগগুলো নাকচ করে বলেন, “আমি এসব অভিযোগকে পাত্তাই দিচ্ছি না। যারা এসব বলছে, তারা চায় বিএনপির বদনাম হোক।”
তিনি আরো বলেন, “সদরঘাটে সেনাবাহিনী টহল দেয়। এখানে কারো চাঁদাবাজি করার ক্ষমতা নেই। আমি রাজনৈতিকভাবে সচেতন একজন মানুষ এবং এলাকার মানুষ জানে আমি কেমন। বিএনপির নামে অপপ্রচার চালানোর চেষ্টা হচ্ছে।”
নিজের রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা প্রসঙ্গে আরিফুর রহমান সাদ্দাম বলেন, “আমার বিরুদ্ধে যদি যুবলীগের নাম ব্যবহার করে কিছু করার অভিযোগ থাকে, তাহলে আইনগত ব্যবস্থা নিন। আমি একজন ব্যবসায়ী। আমরা কোকো কোম্পানি পরিচালনা করি, যেটি তারেক জিয়ার প্রতিষ্ঠানের আওতায় ছিল। এজন্য এক সময় আমাদের জঙ্গি হিসেবেও দেখা হত।”
তিনি দাবি করেন, “কিছু আওয়ামী লীগপন্থি ব্যক্তি ও স্থানীয় কাউন্সিলরদের সঙ্গে তার ব্যবসায়িক বিরোধ রয়েছে, যারা তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন। আমার ছোট ভাইকে র্যাব-ডিবি দিয়ে তুলে নেওয়া হয়েছে। অথচ সে সাদ্দাম নয়, সাব্বির। আমি নিজে এলাকায় আসতে পারিনি, ভয় পালিয়ে থাকতে হয়েছে।”
এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান বলেন, “আমি ২৮ তারিখে এই থানায় যোগদান করেছি। তাই অভিযোগটি সম্পর্কে আমি অবগত নই।”
ঢাকা/লিমন/মেহেদী