আকিজ ইনসাফ গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান আকিজ ফ্লাওয়ার মিলস লিমিটেডের বার্ষিক সেলস কনফারেন্স সফলভাবে সম্পন্ন করেছে। সম্প্রতি কক্সবাজারের সি-প্যালেস হোটেলের বলরুমে সেলস কনফারেন্সের অনুষ্ঠিত হয়। এতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সানশাইন ব্র্যান্ডের আটা, ময়দা, সুজি, তেল, চাল, ডালসহ অন্যান্য ভোগ্যপণ্য বিক্রয় সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

সম্মেলনটির মূল উদ্দেশ্য ছিল গত বছরের বিক্রয় পর্যালোচনা করা, ভবিষ্যৎ কৌশলগত লক্ষ্য নির্ধারণ করা, ব্যবসায়িক পরিধি বৃদ্ধির নতুন দিগন্ত উন্মোচন করা এবং কোম্পানির নীতিমালার ওপর আলোকপাত করা।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- আকিজ ইনসাফ গ্রুপের সম্মানিত ম্যানেজিং ডিরেক্টর শেখ জামিল উদ্দিন, এবং আকিজ ফ্লাওয়ার মিলস লিমিটেডের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর অনুপ কুমার সাহা।

এ সময় শেখ জামিল উদ্দিন বিক্রয়কর্মীদের উদ্দেশে একটি উদ্দীপনামূলক ও দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখেন। তিনি কোম্পানির সাফল্য অর্জনে বিক্রয় দলের নিরলস প্রচেষ্টার ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং ভবিষ্যৎ লক্ষ্য অর্জনে তাদের প্রতি উৎসাহিত করেন।

অনুপ কুমার সাহা সম্মেলনে কোম্পানির বিক্রয় পারফরম্যান্সের বিস্তারিত বিশ্লেষণ, ২০২৫ সালের জন্য নির্ধারিত ভবিষ্যৎ লক্ষ্যসমূহ, ব্যবসায়িক পরিসর বিস্তারের পরিকল্পনা এবং প্রাসঙ্গিক নীতিমালা নিয়ে বিশদ আলোচনা করেন।

আকিজ ফ্লাওয়ার মিলস লিমিটেড ২০১৬ সাল থেকে নারায়ণগঞ্জে অবস্থিত তাদের অত্যাধুনিক ১২০০ মেট্রিক টন দৈনিক উৎপাদন ক্ষমতার ফ্যাক্টরির মাধ্যমে আটা, ময়দা ও সুজি উৎপাদন করে আসছে। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই কোম্পানিটি ক্রেতা সন্তুষ্টিকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে সফলভাবে তাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।

আকিজ ইনসাফ গ্রুপের ম্যানেজিং ডিরেক্টর শেখ জামিল উদ্দিনের তত্ত্বাবধানে, দেশের অভ্যন্তরীণ ও রপ্তানি বাণিজ্যে ভোগ্যপণ্য, বেকারি শিল্প, মুদ্রণ শিল্প এবং টেক্সটাইল শিল্পে সফলভাবে ব্যবসা পরিচালনার মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে নিরন্তর অবদান রেখে চলেছে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: র ম লস ব যবস

এছাড়াও পড়ুন:

ঢাকায় আসছে না আর্জেন্টিনা, ট্রফি উন্মোচন যমুনায়

সোমবার ঢাকায় শুরু হচ্ছে দ্বিতীয় নারী বিশ্বকাপ কাবাডি। মিরপুর শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামে হবে খেলা। বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো হচ্ছে কাবাডির কোনো বিশ্বকাপ।

টুর্নামেন্টে বাংলাদেশসহ ১৪টি দল অংশ নেবে বলে কাবাডি ফেডারেশন জানিয়েছিল আগেই। কিন্তু শেষ পর্যন্ত স্বাগতিক বাংলাদেশসহ ১১টি দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত হয়েছে। দলগুলো হলো বাংলাদেশ, ভারত, চাইনিজ তাইপে, জার্মানি, ইরান, কেনিয়া, নেপাল, পোল্যান্ড, থাইল্যান্ড, উগান্ডা ও জাঞ্জিবার (তানজানিয়া)।

নিজস্ব সমস্যায় আসছে না আর্জেন্টিনা। আসছে না হল্যান্ড, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়াও। হল্যান্ডের জায়গায় পোল্যান্ড ঢুকেছে, যারা স্টান্ডবাই ছিল। পাকিস্তান স্ট্যান্ডবাই তালিকায় থাকলেও তারা বিশ্বকাপ খেলার জন্য তৈরি নয় বলে জানিয়েছে।

টুর্নামেন্টের ফরম্যাট ঠিক হবে আগামীকাল ম্যানেজার্স মিটিংয়ে। তবে দলগুলোকে দুই গ্রুপে ভাগ করে খেলার সম্ভাবনাই বেশি। ‌১১টি দলের অধিনায়ককে নিয়ে আগামীকাল ট্রফি উন্মোচন অনুষ্ঠান হবে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের বাসভবন যমুনায়।

টুর্নামেন্টের বাজেট ১০ কোটি ৪৪ লাখ টাকা ছিল। তবে সরকার ১০ কোটি ২৬ লাখ অনুমোদন করেছে। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় দিচ্ছে ৫ কোটি টাকা। সব দলের টিকিট দিচ্ছে আন্তর্জাতিক কাবাডি ফেডারেশন। বাকি অর্থ পৃষ্ঠপোষকের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হচ্ছে।

আজ ঢাকায় বিশ্বকাপ উপলক্ষে কাবাডি ফেডারেশনে একটি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। যেখানে বাংলাদেশ নারী কাবাডি দল ঘোষণা করেন বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক নেওয়াজ সোহাগ। দল ঘোষণা অনুষ্ঠানে কোচ-অধিনায়ক কাউকে আনা হয়নি। অধিনায়ক করা হয়েছে রুপালী আক্তার সিনিয়রকে, বিশ্বকাপের মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক কাবাডি থেকে বিদায় নিতে চলেছেন তিনি।

গতকাল ঢাকায় এসেছে নারী বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন ভারত ও জাঞ্জিবার। আজ এসেছে উগান্ডা, জার্মানি, ইরান নারী কাবাডি দল। সব দলকেই রাখা হয়েছে একই হোটেলে।
বাংলাদেশ এখন নারী, পুরুষ আর জুনিয়র সব বিভাগেই র‌্যাঙ্কিংয়ে পঞ্চম । বাংলাদশের লক্ষ্য কী? ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘নারীদের র‌্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ বর্তমানে পঞ্চম স্থানে আছে। এই বিশ্বকাপ দিয়ে র‌্যাঙ্কিংয়ে উন্নতি করা সম্ভব মনে করি আমরা, আমাদের সামনে সেই সুযোগ রয়েছে। দলের কাছে আমাদের মূল প্রত্যাশাও এটি।’

তিনি বলেন, ‘এই প্রথম বাংলাদেশ নারী কাবাডি বিশ্বকাপ আয়োজন করছে। আয়োজক হিসেবে আমাদের প্রত্যাশা সফলভাবে আয়োজন সম্পন্ন করা। এখানে বিভিন্ন দেশের কোচ, খেলোয়াড়, কর্মকর্তা, রেফারিসহ আরও অনেকে আসবেন। আয়োজন সফলভাবে সম্পন্ন করতে পারলে কাবাডি বিশ্বে বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল হবে।’

খেলা পরিচালনার জন্য প্রতিটি দেশ থেকে রেফারি আনা হয়েছে। ভারত থেকে এসেছেন পাঁচজন রেফারি। বাংলাদেশের ১০ থেকে ১২ জনের একটি টেকনিক্যাল কমিটি আছে, যাতে রেফারিংয়ের মান আরও উন্নত হয় এবং এ নিয়ে প্রশ্ন না ওঠে, জানিয়েছেন কাবাডি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক।

বিশ্বকাপের জন্য বাংলাদেশ নারী কাবাডি দল

শ্রাবণী মল্লিক, বৃষ্টি বিশ্বাস, রুপালী আক্তার (সিনিয়র), স্মৃতি আক্তার, রেখা আক্তারী, মেবী চাকমা, রুপালী আক্তার, আঞ্জুয়ারা রাত্রি, সুচরিতা চাকমা, খাদিজা খাতুন, লোবা আক্তার, ইয়াসমিন খানম, ইসরাত সাদিকা ও তাহরিমা।

স্ট্যান্ডবাই: আফরোজা, লুম্বিনী চাকমা। কোচ শাহনাজ পারভীন মালেকা ও আরদুজ্জামান।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ঢাকায় আসছে না আর্জেন্টিনা, ট্রফি উন্মোচন যমুনায়