Samakal:
2025-08-17@23:47:03 GMT

সম্পর্কের নতুন রসায়ন...

Published: 3rd, July 2025 GMT

সম্পর্কের নতুন রসায়ন...

২০০৭ সালে যখন মুক্তি পেয়েছিল অনুরাগ বসুর পরিচালনায় ‘লাইফ ইন অ্যা মেট্রো’। তখনও শহরের জীবন, সম্পর্কের টানাপোড়েন, একাকিত্ব আর জটিলতা নিয়ে এত স্পষ্টভাবে কেউ বলেননি। বছর গড়িয়েছে ১৮, শহরের পরিবেশ বদলেছে, বদলেছে মানুষের মন, বদলে গেছে ভালোবাসার সংজ্ঞাও। সম্পর্কের ভাঙা-গড়ার গল্প কি বদলেছে? সেই প্রশ্নকে নতুন করে ছুঁয়ে দেখতে যেন অনুরাগ ফিরলেন ‘মেট্রো ইন দিনো’ নিয়ে। ছবিটির ট্রেলার যেন অতীত ও বর্তমানের মাঝে এক উড়ন্ত সেতু। কোলাজে বাঁধা চারটি সম্পর্কের গল্প–নতুন, পুরোনো, গাঢ়, হালকা, বাস্তব আর কিছুটা রূপকথার মতো। 

ব্যস্ত শহরের শ্বাস টেনে নিয়ে তাদের ছুঁয়ে যায় টানাপোড়েনের ট্র্যাক। চার জুটির চার ধরনের সম্পর্ক, অথচ এক সুতোয় বাঁধা। ট্রেলারেই তার ইঙ্গিত। ট্রেলারে প্রথমে নজর কাড়ে আদিত্য রায় কাপুর ও সারা আলি খানের জুটি। তারা শহরের নতুন প্রজন্মের প্রতিনিধি। চশমা চোখে, ছোট চুলে সারা যেন এক সহজ, বাস্তববাদী চরিত্র। তাঁর প্রেমে দ্বিধা আছে, আছে অনিশ্চয়তা, আবার একরকম তীব্র টানও। আদিত্যকে সেই অনিশ্চয়তার মাঝে পরিণত প্রেমিকের মতোই শান্ত ও সাবলীল মনে হয়। দু’জনের কেমিস্ট্রি ট্রেলারে যেমন মায়া তৈরি করে, তেমনি হাসিও জাগায়। এরপরে আসে আলি ফজল ও ফাতিমা সানা শেখের জুটি। অনুরাগ তাদের মাধ্যমে বর্তমান সময়ের ‘লাভ-সেক্স-ধোঁকা’ থিমটি তুলে ধরেছেন। তাদের গল্প যেন একঝাঁক সাহসী প্রজন্মের প্রতিচ্ছবি, যারা অনুভূতির চেয়ে অভিজ্ঞতাকে বেশি গুরুত্ব দেয়, আবার ভালোবাসা হারিয়ে গেলে কাঁদতেও জানে। ফাতিমার চরিত্রে একঝলক দেখা গেছে দ্বন্দ্ব আর আকাঙ্ক্ষার জটিলতা, যা কিছুটা মনে করিয়ে দেয় অনুরাগের আগের ছবির কঙ্গনা রানাওয়াতকে। 
তৃতীয় জুটিতে আছেন পঙ্কজ ত্রিপাঠী ও কঙ্কণা সেন শর্মা। দু’জনেই বাস্তব অভিনয়ের মানদণ্ড। মাঝবয়সী সম্পর্কের মাঝে কীভাবে গুমরে ওঠে অভিমান, অসম্পূর্ণতা আর স্মৃতির ছায়া, তা ফুটে উঠেছে তাদের চোখের ভাষায়। কঙ্কণাকে পর্দায় দেখলে মনে পড়ে যায় ‘লাইফ ইন অ্যা মেট্রো’তে তাঁর ইরফান খানের সঙ্গে সম্পর্কের অসাধারণ রসায়ন। 

শেষে আসে অনুপম খের ও নীনা গুপ্তার ষাটোর্ধ্ব জুটি। বয়স যতই বাড়ুক, প্রেম তো থাকে একইরকম। হয়তো তা আর চিঠিতে লেখা হয় না, কিন্তু চোখে ভেসে ওঠে। এই জুটির মধ্যে রয়েছে গভীর সংলাপ, দীর্ঘশ্বাস, আর একরাশ অতীত। তাদের দৃশ্য যেন বলে–ভালোবাসা কখনোই বৃদ্ধ হয় না।

ছবির আরেক গুরুত্বপূর্ণ দিক–মিউজিক। প্রীতম আবারও অনুরাগের সঙ্গে। ট্রেলারে অরিজিৎ সিংয়ের কণ্ঠে যে গান শোনা গেছে, তা একবারেই বলে দেয়, মেট্রোর মতোই সুরেও চলবে অনুভূতির ট্রেন। প্রতিটি গানের কথা যেন গল্পের সংলাপ। ছবিতে আরও অভিনয় করেছেন ঋতু শর্মা ও রোহিত সরাফ, যারা গল্পের কিছু মোড়কে নীরব ভূমিকা রাখেন। তাদের চরিত্র এখনও পুরোপুরি উন্মোচন করা হয়নি, কিন্তু ট্রেলারে তাদের উপস্থিতি যেন এক রকম অপ্রত্যাশিত সংযোজন। 

ছবির প্রেক্ষাপট কলকাতা, মুম্বাই, দিল্লি ও বেঙ্গালুরু। চার শহরের আলাদা স্বাদ। প্রেম সেখানে শুধু অনুভূতি নয়, বরং এক ধরনের টিকে থাকার উপায়। ভালোবাসা এখানে লাইট অ্যাকশনের মোড়কে আসে, কিছুটা কমেডি হয়ে হাসায়, আবার কিছুটা চোখ ভিজিয়েও দেয়। 

তবে এই ছবির আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে অনিচ্ছা সত্ত্বেও উঠে এসেছে সারা আলি খানের লুক। ছোট চুল, সাধারণ জামাকাপড়, চোখে চশমা–এই লুককে ঘিরে তুলনা চলছে কৃতি স্যানন থেকে ক্যাটরিনা কাইফ, এমনকি ‘হামসাকল’ সিনেমায় সাইফ আলি খানের নারীবেশ পর্যন্ত! কেউ বলছেন ‘জেরক্স কপি’, কেউ বলছেন ‘বাবাই বেশি সুন্দর!’ ট্রলের মাঝে সারা অবশ্য শান্ত, জানেন এসব থামবে না। বরং মায়ের দুঃখে তাঁর কষ্ট হয়। তবু এই বাস্তবচেতনায় তৈরি চরিত্রকে নিয়ে সারা বলেন, ‘এই চরিত্রটি গ্ল্যামারাস নয়, বরং অনেক বেশি বাস্তবিক। এরকম শহুরে মেয়ের চরিত্র আগে করিনি।’ অনুরাগ বসুকে নিয়ে আবেগঘন স্বীকারোক্তিও দিয়েছেন তিনি–ওনার ‘মেট্রো’ দেখে ওনার প্রেমে পড়েছিলাম, আজ আমি নিজেই ওনার ছবির নায়িকা। এখন প্রশ্ন একটাই–এটি কি সিকুয়াল? নির্মাতারা কিছু না বললেও স্পষ্ট, গল্প আলাদা হলেও কাঠামো, আবেগ আর চরিত্র গঠনে ‘লাইফ ইন অ্যা মেট্রো’র ছায়া রয়েছে। একরকম নস্টালজিয়ার নতুন মোড়ক বলা চলে।  ‘মেট্রো ইন দিনো’ মুক্তি পাচ্ছে আগামীকাল শুক্রবার ৪ জুলাই। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: র চর ত র অন র গ শহর র

এছাড়াও পড়ুন:

জাকসু নির্বাচনের চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ, মোট ভোটার ১১ হাজার ৯১৯

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের জন্য চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। গতকাল রোববার রাত ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে এ তালিকা প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। তফসিল অনুযায়ী আজ সোমবার সকাল ৯টা থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা দেওয়া যাবে।

এর আগে গত ১০ আগস্ট রাতে খসড়া ভোটার তালিকা ও খসড়া আচরণবিধি প্রকাশ করা হয়। পরবর্তী সময়ে যেসব শিক্ষার্থীর নাম তালিকায় আসেনি তাঁদের আবেদন করার সুযোগ দেওয়া হয়। যাচাই–বাছাই শেষে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা ও চূড়ান্ত আচরণবিধি প্রকাশ করেছে কমিশন।

কোন হলে কত ভোটার

চূড়ান্ত তালিকা অনুযায়ী ২১টি আবাসিক হলে মোট ভোটার ১১ হাজার ৯১৯ জন। এর মধ্যে ছাত্র ভোটার ৫ হাজার ৮৬০, আর ছাত্রী ভোটার ৬ হাজার ০৫৯।

ছাত্র হল

আলবেরুনী হলে ২১১, আ ফ ম কামালউদ্দিন হলে ৩৪১, শহীদ সালাম–বরকত হলে ২৯৯, মওলানা ভাসানী হলে ৫২১, ১০ নম্বর হলে ৫৪০, শহীদ রফিক–জব্বার হলে ৬৫৬, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলে ৩৫৭, ২১ নম্বর হলে ৭৫২, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম হলে ৯৯৪, শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ হলে ৯৫৪, মীর মশাররফ হোসেন হলে ৪৭৭ জন।

ছাত্রী হল

নওয়াব ফয়জুন্নেসা হলে ২৮২, জাহানারা ইমাম হলে ৪০০, প্রীতিলতা হলে ৪০২, বেগম খালেদা জিয়া হলে ৪১৭, সুফিয়া কামাল হলে ৪৬০, ১৩ নম্বর হলে ৫৩২, ১৫ নম্বর হলে ৫৭৬, রোকেয়া হলে ৯৫৭, ফজিলাতুন্নেছা হলে ৮০৮, বীর প্রতীক তারামন বিবি হলে ৯৮৩ জন।

আজ থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ

তফসিল অনুযায়ী আজ সোমবার (১৮ আগস্ট) সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এবং আগামীকাল মঙ্গলবার একই সময়ে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা দেওয়া যাবে। তবে প্রার্থীকে নিজে উপস্থিত হয়ে মনোনয়ন জমা দিতে হবে।

মনোনয়নপত্রের নির্দেশনা

বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে সাত দফা নির্দেশনা প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। এর মধ্যে রয়েছে—

১. একজন প্রার্থী একাধিক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না।

২. প্রতিটি মনোনয়নপত্রে একজন প্রস্তাবক ও একজন সমর্থকের স্বাক্ষর, শিক্ষাবর্ষ ও বিভাগ উল্লেখ করতে হবে।

৩. একই ব্যক্তি একাধিক প্রার্থীর প্রস্তাবক বা সমর্থক হতে পারবেন না (কার্যকরী সদস্য পদ ছাড়া)। কার্যকরী সদস্য পদের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ছয়জনের (তিন নারী, তিন পুরুষ) প্রস্তাবক বা সমর্থক হওয়া যাবে।

৪. মনোনয়ন জমার সময় শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচয়পত্র বা ছবিযুক্ত লাইব্রেরি কার্ড/ইনডেক্স কার্ড প্রদর্শন করতে হবে।

৫. প্রার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত শিক্ষার্থী হিসেবে সব পাওনা পরিশোধের প্রমাণ দিতে হবে।

৬. মনোনয়নপত্রের সঙ্গে সদ্যতোলা পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি জমা দিতে হবে (দুই মাসের বেশি পুরোনো ছবি গ্রহণযোগ্য নয়)।

৭. প্রতিটি হলে মনোনয়নপত্র গ্রহণ ও জমাদানের জন্য পৃথক রেজিস্ট্রার খাতা সংরক্ষণ করতে হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ