চলতি বছর সৌদি আরবে পবিত্র হজ পালন শেষে এখন পর্যন্ত দেশে ফিরেছেন ৮৭ হাজার ১০০ জন হাজি। এছাড়া, হজ কার্যক্রমে অংশ নিতে গিয়ে মোট ৪৫ বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে।

শনিবার (১২ জুলাই) ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজ ব্যবস্থাপনা পোর্টালে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

জানা গেছে, পবিত্র হজ পালনের আগে ও পরে এখন পর্যন্ত ৪৫ বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে পুরুষ ৩৪ ও নারী ১১ জন। এর মধ্যে মক্কায় মারা গেছেন ২৭ জন, মদিনায় ১৪ জন, জেদ্দায় তিন জন ও আরাফায় একজন।

সর্বশেষ গত ৫ জুলাই মারা যান রংপুরের মিঠাপুকুরের আবুল কালাম আজাদ (৬৫) ও ভোলার লালমোহনের রুহুল আমিন (৬২)।

মারা যাওয়া ৪৫ জনের মধ্যে কেউ হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে, আবার কেউ অন্যান্য অসুস্থার কারণে মৃত্যুবরণ করেন।

এদিকে, পবিত্র হজ পালন শেষে ফেরত আসা যাত্রীদের মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ফিরেছেন ৫ হাজার ৪১৩ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ফিরেছেন ৮১ হাজার ৬৮৭ জন।

এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ফিরিয়ে এনেছে ৩৮ হাজার ৬৮৪ জন, সৌদি এয়ারলাইন্স ২৭ হাজার ৮১ জন এবং ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্স ১২ হাজার ২৬৭ জন হাজিকে। এছাড়া, অন্যান্য এয়ারলাইন্সে দেশে ফিরেছেন ৯ হাজার ৬৮ জন হাজি।

এ পর্যন্ত ২২১টি ফিরতি হজ ফ্লাইট পরিচালিত হয়েছে। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ১১২ ও সৌদি এয়ারলাইন্স ৭৫টি ফ্লাইট চালিয়েছে, আর ফ্লাইনাস পরিচালনা করেছে ৩৪টি ফ্লাইট।

ঢাকা/হাসান/ইভা 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ল ইন স

এছাড়াও পড়ুন:

ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বে সোহাগকে হত্যা: ডিসি জসীম উদ্দিন

রাজধানীর পুরান ঢাকায় ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগকে (৩৯) হত্যার ঘটনায় লালবাগ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন বলেছেন, চাঁদাবাজি নয়, ভাঙারি ব্যবসা এবং একটি দোকানে কারা ব্যবসা করবে তা নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছিল। হত্যাকাণ্ডের শিকার সোহাগ এবং হত্যাকাণ্ড যারা ঘটিয়েছে তাদের একসঙ্গে ব্যবসাও ছিল।

শনিবার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

গ্রেপ্তারদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে জসীম উদ্দিন বলেন, ভাঙারি ব্যবসা এবং দোকানে কারা ব্যবসা করবে সেটা নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছিল। হত্যাকাণ্ডের শিকার সোহাগ এবং যারা হত্যাকাণ্ডটি ঘটিয়েছে তারা একসঙ্গে কিছুদিন ব্যবসা করেছে। যখন ব্যবসা লেনদেন নিয়ে দ্বন্দ্ব তৈরি হয় তখনই তারা বিবাদে লিপ্ত হয়। এর ফলে হত্যাকাণ্ডটি সংঘটিত হয়।

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে লালবাগ বিভাগের ডিসি বলেন, গত বুধবার বিকেল ৬টার দিকে রাজধানীর স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের তিন নম্বর গেটের সামনে একদল লোক লাল চাঁদ ওরফে সোহাগ নামের এক ব্যক্তিকে এলোপাতাড়ি আঘাত করে ও কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে। ঘটনার সংবাদ পাওয়ার পর কোতয়ালি থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে যায় এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে ১০ জুলাই এ ঘটনায় নিহতের বড় বোন বাদী হয়ে কোতয়ালী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ নিহতের সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করে এবং ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

গত ১১ জুলাই পুলিশ ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে এবং রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে এজাহারভুক্ত আসামি মাহমুদুল হাসান মহিন (৪১) ও তারেক রহমান রবিনকে (২২) গ্রেপ্তার করে। এ সময় গ্রেপ্তার তারেক রহমান রবিনের কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে র‍্যাব আলমগীর (২৮) ও মনির ওরফে ছোট মনির (২৫) নামের আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে। এছাড়া শুক্রবার রাতে মো. টিটন গাজী (৩২) নামে আরও এক এজাহারভুক্ত আসামিকে গ্রেপ্তার করে কোতোয়ালি থানা পুলিশ।

তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় পুলিশ অত্যন্ত তৎপর রয়েছে। এই চাঞ্চল্যকর ঘটনায় মূল রহস্য উৎঘাটন, সংশ্লিষ্ট সব অপরাধী গ্রেপ্তার এবং সোহাগ কেন এই ঘটনার শিকার হলো তা উদঘাটনের জন্য একটি চৌকস টিম গঠন করা হয়েছে। ঘটনার প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানে এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যান্যদের গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।


 

সম্পর্কিত নিবন্ধ