গত বছর আনুষ্ঠানিকভাবে ঐশ্বরিয়া রজনীকান্তের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে দক্ষিণী সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেতা ধানুশের। এদিকে, গুঞ্জন উড়ছে—বলিউড অভিনেত্রী ম্রুণাল ঠাকুরের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছেন এই অভিনেতা।
একাধিকবার একসঙ্গে দেখা গেছে ধানুশ ও ম্রুণাল ঠাকুরকে। তাদের সম্পর্কের ব্যাপারটি প্রথম নজরে পড়ে, যখন ম্রুণাল ঠাকুরের জন্মদিনের পার্টিতে যান ধানুশ। এ পার্টিতে পরস্পরের হাত ধরে ঘনিষ্ঠভাবে দাঁড়িয়ে তাদের কথা বলতে দেখা যায়। এ মুহূর্তের একটি ভিডিও ক্লিপ এখন অনলাইনে ভাইরাল।
এরপর ম্রুণাল ঠাকুর অভিনীত ‘সন অব সরদার টু’ সিনেমার বিশেষ প্রদর্শনীতে অংশ নেন ধানুশ। সেখানেও একে অপরকে জড়িয়ে ধরতে দেখা যায়। মূলত, তারপরই অনেকের মনে প্রশ্ন—তারা কি কেবল বন্ধু, না কি এর চেয়েও বেশি কিছু?
আরো পড়ুন:
কমেডিয়ান মদন মারা গেছেন
‘দ্য কেরালা স্টোরি কেরালাবাসীর জন্য চূড়ান্ত অবমাননাকর’
সিয়াসাত ডটকমের তথ্য অনুসারে, আনন্দ এল রাই নির্মাণ করছেন ‘তেরে ইশক ম্যায়’ সিনেমা। এতে অভিনয় করছেন ধানুশ ও কৃতি স্যানন। যদিও সিনেমাটিতে ম্রুণাল ঠাকুরের অভিনয় করার কথা ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। ধারণা করা হচ্ছে, ধানুশের সঙ্গে ম্রুণালকে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন কৃতি স্যানন। ধানুশ-ম্রুণালের প্রেম নিয়ে চর্চা চললেও কেউই মুখ খুলেননি।
ঐশ্বরিয়া রজনীকান্ত তামিল সিনেমার কিংবদন্তি অভিনেতা রজনীকান্তের বড় মেয়ে। ২০০৪ সালের ১৮ নভেম্বর ধানুশ ও ঐশ্বরিয়ার বিয়ে হয়। এই দম্পতির দুই ছেলে—যাত্রা ও লিঙ্গা। ঐশ্বরিয়ার পরিচালনায় ‘থ্রি’ সিনেমায় অভিনয় করেন ধানুশ। এই সিনেমার ‘কলাভেরি ডি’ গানটি দারুণ জনপ্রিয়তা পায়।
২০২২ সালের শুরুতে ১৮ বছরের দাম্পত্য জীবনের ইতি টানার ঘোষণা দেন ধানুশ-ঐশ্বরিয়া। তারপর পরিবার এবং আদালত ভাঙা সংসার জোড়া লাগানোর চেষ্টা বহুবার করেও ব্যর্থ হন। গত বছরের ২৭ নভেম্বর এ দম্পতির বিচ্ছেদের আবেদন গ্রহণ করেন আদালত। তারপর থেকে একা জীবনযাপন করছেন ধানুশ।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মিরপুরে যাত্রীবাহী বাসে আগুন
রাজধানীর মিরপুরের পূর্ব কাজীপাড়া এলাকায় আজ শুক্রবার সকাল ৭টার দিকে আলিফ পরিবহনের যাত্রীবাহী একটি বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। তবে এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস সূত্র বলছে, আলিফ পরিবহনের বাসটি পূর্ব কাজীপাড়ায় পৌঁছালে একদল ব্যক্তি হাতের ইশারায় সেটি থামায়। এ সময় তারা বাসটিতে উঠে চালক ও তাঁর সহকারীকে পিটিয়ে নামিয়ে দেন। যাত্রীরাও বাস থেকে দ্রুত নেমে যান।
এ সময় দুর্বৃত্তরা বাসের সামনের কাচে একাধিক গুলি ছুড়ে বাসটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়।
ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের কর্তব্যরত কর্মকর্তা রাশেদ বিন খালেদ প্রথম আলোকে বলেন, খবর পেয়ে মিরপুর ফায়ার স্টেশনের দুটি ইউনিট ২০ মিনিট চেষ্টা চালিয়ে পৌনে আটটার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুনে বাসটি পুড়ে গেছে।
পুলিশের মিরপুর বিভাগের উপকমিশনার মোহাম্মদ মাকছুদের রহমান বলেন, বাস কোম্পানির অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের জের ধরে এ ঘটনা ঘটতে পারে। ওই পরিবহনের কিছু কর্মীকে ছাঁটাই করা হয়েছে। তাঁদের সম্পৃক্ততা থাকতে পারে। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে শনাক্ত করার চেষ্টা করছে।
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি। কাউকে আটক করা হয়নি বলে পুলিশ জানিয়েছে।