জয়পুরহাটে পোড়া লাশের পরিচয় মিলেছে, স্ত্রী ও ছেলের বিরুদ্ধে মামলা
Published: 6th, August 2025 GMT
জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার একটি কলাবাগানে উদ্ধার করা পোড়া লাশের পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে স্বজনেরা থানায় গিয়ে লাশটি শনাক্ত করেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। আজ বুধবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ জানায়, নিহত ব্যক্তির নাম ছামছুর আলী খলিফা (৬০)। তিনি নওগাঁ সদর উপজেলার শৈলগাছী উত্তরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। গতকাল রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার তিলকপুর ইউনিয়নের কাদোয়া বটতলী এলাকার একটি কলাবাগানে তাঁর দগ্ধ লাশটি পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন জয়পুরহাটে এক ব্যক্তির পোড়া লাশ উদ্ধার১৫ ঘণ্টা আগেএ ঘটনায় ছামছুরের ছোট ভাই মুজাহিদ খলিফা বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা করেছেন। এতে ছামছুরের স্ত্রী রাশেদা বেগম ও ছেলে রাসেল খলিফাকে আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয়েছে আরও দুই–তিনজনকে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ছামছুরের সংসারে স্ত্রী ও দুই ছেলে আছেন। বড় ছেলে রাসেল খলিফা বাড়িতে থাকেন। পারিবারিক বিষয় নিয়ে রাসেল ও রাশেদার সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে ছামছুরের কলহ চলছিল। মা-ছেলে মিলে প্রায়ই ছামছুরকে মারধর করতেন। ১২ জুলাই সকাল ছয়টার দিকে দুই আসামি মিলে ছামছুরকে বেধড়ক লাঠিপেটা করেন। তাঁকে নওগাঁ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় ছামছুর নওগাঁ সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দেন। এতে রাসেল ও রাশেদা ক্ষিপ্ত হন। এর আগেও রাসেল তাঁর বাবাকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে আসছিলেন। আর মাকে নানার বাড়িতে পাঠান। গতকাল বেলা ১১টার পর গ্রামে ছামছুরকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে রাত সাড়ে এগারোটার পর আক্কেলপুর উপজেলার কাদোয়া বটতলী এলাকার একটি কলাবাগানে ছামছুরের বস্তাবন্দী পোড়া লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনার পর ছামছুরের স্ত্রী রাশেদা ও রাসেল খলিফা আত্মগোপনে চলে যান।
জয়পুরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) জিন্নাহ আল মামুন প্রথম আলোকে বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য লাশ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। হত্যার রহস্য উদ্ঘাটনের চেষ্টা চলছে।র
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: উপজ ল র
এছাড়াও পড়ুন:
কে জানত, ইশতিয়াকের জানাজাও পড়তে হবে স্বজনদের
প্রতিবেশী এক বন্ধুর আত্মীয়ের জানাজায় যাচ্ছিলেন ইশতিয়াক আহমেদ। পথে দ্রুতগামী একটি বাস তাঁকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। ফেনী কলেজ থেকে সদ্য স্নাতকোত্তর পাস করে চাকরির প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তিনি। জানাজার নামাজ পড়তে গিয়ে লাশ হয়ে গেলেন ২৭ বছর বয়সী তরতাজা এই যুবক। কে জানত, অল্প সময়ের ব্যবধানে তাঁর জানাজাও পড়তে হবে স্বজনদের।
আজ রোববার বিকেলে ফেনী-সোনাগাজী আঞ্চলিক সড়কের সদর উপজেলার গোবিন্দপুর বটতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত ইশতিয়াক ফেনী সদর উপজেলার কালীদহ ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কবীর আহমদের ছেলে।
নিহত ব্যক্তির বন্ধু ও স্বজনেরা জানান, আজ বিকেলে বাড়ি থেকে বের হয়ে প্রতিবেশী এক বন্ধুর নানির জানাজায় যাচ্ছিলেন ইশতিয়াক আহমেদ। ফেনী-সোনাগাজী আঞ্চলিক সড়কের সদর উপজেলার গোবিন্দপুর বটতলা এলাকায় এলে দ্রুতগতির একটি বাস তাঁকে ধাক্কা দিয়ে চলে যায়। এ সময় স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে ফেনী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ফেনী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক (ইএমও) মো. রায়হান উদ্দিন বলেন, হাসপাতালে আনার আগে ইশতিয়াকের মৃত্যু হয়েছে। তাঁর মাথায় গুরুতর আঘাত ছিল।
ইশতিয়াকের আকস্মিক মৃত্যুতে তাঁর পরিবারের সবাই বাক্রুদ্ধ হয়ে পড়েছেন বলে জানান তাঁর বন্ধু হাসান আহমেদ। তিনি বলেন, দুই ভাইয়ের মধ্যে ইশতিয়াক সবার ছোট। তাঁর মা ছোট ছেলের মৃত্যুর সংবাদ শুনে বারবার জ্ঞান হারাচ্ছেন।
ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ সামছুজ্জামান বলেন, নিহত ব্যক্তির মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। দুর্ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকা বাসটির সন্ধান করছে পুলিশ। এই ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা চলমান।