নাটোরের লালপুরে প্রাইভেটকার চালক সাইদুর রহমানকে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে, তদন্তের স্বার্থে পুলিশ তার নাম-পরিচয় প্রকাশ করেনি।

বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) মধ্যরাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে, রাত ১০টার দিকে উপজেলার গোপালপুর নর্থ বেঙ্গল সুগার মিলস হাই স্কুলের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

লালপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মমিনুজ্জামান বলেন, ‘‘প্রাইভেটকার চালককে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে তার কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় জড়িত বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’’

আরো পড়ুন:

সাংবাদিক তুহিন হত্যায় জড়িতদের শাস্তি দাবি

গাজীপুরে সাংবাদিক তুহিন হত্যা: প্রত্যক্ষদর্শী সহকর্মীর বর্ণনায় যা উঠে এল

পুলিশ জানায়, অজ্ঞাত একদল ব্যক্তি কুষ্টিয়া থেকে একটি প্রাইভেটকার ভাড়া নিয়ে নাটোরের বড়াইগ্রামের বনপাড়া অভিমুখে যাচ্ছিলেন। পথে গাড়িতে থাকা যাত্রীরা সাইদুর রহমানের গলায় ছুরি চালান। চালক গাড়ি থামালে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যান। পরে সাইদুর রহমানও গাড়ি থেকে বের হয়ে লোকালয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু, একপর্যায়ে রাস্তায় পড়ে যান তিনি। স্থানীয়রা তাকে রাস্তায় রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে থানায় খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে সাইদুরকে মৃত অবস্থায় পান। এ ঘটনায় নিহতের ভাই আলমগীর হোসেন বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে লালপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এটি পূর্বপরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। তবে, তদন্তের পরই এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যাবে।

নিহত সাইদুর রহমান কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার বামনপাড়া গ্রামের মৃত আলতাব হোসেনের ছেলে।

ঢাকা/আরিফুল/রাজীব

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হত য ঘটন য়

এছাড়াও পড়ুন:

এটিইও পরীক্ষায় অনিয়মের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধন

সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (এটিইও) নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস ও অনিয়মের প্রতিবাদে পরীক্ষা বাতিল এবং পুনঃপরীক্ষার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার পদে বিভাগীয় পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ’ ব্যানারে এ কর্মসূচি পালিত হয়েছে।

মো. রিয়াজুল ইসলামের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করা হয়। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ‘৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ (বিএসএস সূত্রে) জানা যায় যে “উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার পদে ১৯০% কমন সাজেশন” দেওয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগে মতিউর রহমান নামের একজনকে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ-সিআইডি গ্রেপ্তার করে।’ সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি জাহিদুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় জড়িত চক্রের অন্যান্য সদস্যকেও শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তবু ১২ সেপ্টেম্বর নির্ধারিত তারিখে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষা শেষে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে Zahid Khan (All Exam Helper) নামের একটি ফেসবুক পেজ থেকে পরীক্ষার আগের রাত ২টা ৬ মিনিটে প্রশ্নপত্র ফাঁসের প্রমাণ পাওয়া যায়, যা প্রশ্নপত্রের সঙ্গে হুবহু মিলে যায়। বিষয়টি ছড়িয়ে পড়লে, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সাইবার অ্যান্ড ক্রাইম বিভাগ এক অভিযানে স্বাধীন মিয়া নামের একজনকে গ্রেপ্তার করে।'

সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস ও অনিয়মের প্রতিবাদে পরীক্ষা বাতিল এবং পুনঃপরীক্ষার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জামালপুরে মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুর, আটক ১
  • এটিইও পরীক্ষায় অনিয়মের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধন