প্রতিবছরই সেপ্টেম্বর মাসের জন্য অপেক্ষায় থাকেন অ্যাপলপ্রেমীরা। কারণ, এ মাসেই ঘোষণা দেওয়া হয় নতুন আইফোনের। তবে আগস্ট মাসের এক সপ্তাহ পার হলেও নতুন মডেলের আইফোন উন্মোচন অনুষ্ঠান কবে হবে, সে বিষয়ে মুখে কুলুপ এঁটে রেখেছে অ্যাপল। তাই বেশ কিছুদিন ধরেই নতুন আইফোন উন্মোচন অনুষ্ঠানের তারিখ নিয়ে প্রযুক্তিবিশ্বে চলছে তুমুল জল্পনাকল্পনা। অনলাইনে ফাঁস হওয়া বিভিন্ন তথ্য মতে, সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই আইফোন ১৭ সিরিজ বাজারে আনতে পারে অ্যাপল।

অ্যাপল ইতিমধ্যে আইফোন ১৭ সিরিজ উন্মোচনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। আর তাই সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই আইফোন ১৭ সিরিজ বাজারে আনতে পারে প্রতিষ্ঠানটি। তবে অ্যাপল বিশেষজ্ঞ হিসেবে পরিচিত ব্লুমবার্গের প্রতিবেদক মার্ক গুরম্যানের ধারণা, সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে আসতে পারে বহুল প্রতীক্ষিত আইফোন ১৭। জার্মানির একটি টেলিযোগাযোগ প্রতিষ্ঠানও দাবি করেছে, ৯ সেপ্টেম্বরে নতুন আইফোনের ঘোষণা দিতে পারে অ্যাপল। ঘোষণার ১০ দিন পর অর্থাৎ, ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে বাজারে পাওয়া যাবে নতুন আইফোন।

আরও পড়ুনআইফোন ব্যবহারকারীদের জন্য দুঃসংবাদ০৪ আগস্ট ২০২৫

আইফোন ১৭ সিরিজের সম্ভাব্য স্পেসিফিকেশন ও সুবিধা নিয়েও নানা গুঞ্জন উঠেছে প্রযুক্তিবিশ্বে। আইফোন ১৭ প্রো মডেলে বেশ কিছু বড় পরিবর্তন আসতে পারে। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ওয়েইবোতে প্রযুক্তিবিষয়ক তথ্য ফাঁস করা ‘ইনস্ট্যান্ট ডিজিটাল’ নামের একটি অ্যাকাউন্ট থেকে দাবি করা হয়েছে, আইফোন ১৭ প্রো মডেলে থাকবে পাঁচ হাজার মিলিঅ্যাম্পিয়ার ক্ষমতার ব্যাটারি, যা অ্যাপলের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। শক্তিশালী ব্যাটারির পাশাপাশি আইফোন ১৭ সিরিজে বেশ কিছু নতুন সুবিধা ব্যবহারের সুযোগ মিলবে।

দিনক্ষণ যা-ই হোক না কেন, আগামী মাসেই আইফোন ১৭ সিরিজের দেখা মিলবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। বাজার বিশ্লেষকদের ধারণা, বরাবরের মতো এবারও যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার কুপারটিনোর অ্যাপল পার্কে আইফোন উন্মোচন অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে অ্যাপল।

সূত্র: নিউজ১৮

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: স প ট ম বর অ য পল

এছাড়াও পড়ুন:

জাতীয় পার্টির সম্মেলন কাল, ইসির প্রতিনিধি চেয়ে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে

আগামীকাল শনিবার জাতীয় পার্টির যে সম্মেলন হবে, সে বিষয়ে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) অবহিত করে প্রতিনিধি পাঠানোর আবেদন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জি এম কাদেরবিরোধী অংশের প্রধান নেতা আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। তিনি বলেছেন, ‘আমরা আদালতের আদেশ ও গঠনতন্ত্র মোতাবেক এই কাউন্সিল আয়োজন করেছি। নির্বাচন কমিশনকে আমরা অবহিত করেছি এবং কাউন্সিলে তাদের প্রতিনিধি আসার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছি।’

কাউন্সিল উপলক্ষে রাজধানীর গুলশানের হাওলাদার টাওয়ারে আজ শুক্রবার সকালে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এ কথা বলেন।

আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, ‘এই কাউন্সিলের মধ্য দিয়ে আমরা জাতীয় পার্টিতে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে চাই। কাউন্সিল করে আমরা গঠনতন্ত্রের বিতর্কিত ধারা বাতিল করে দেব। কোনো একক নেতৃত্বে নয়, জাতীয় পার্টি চলবে যৌথ নেতৃত্বের মধ্য দিয়ে।’

গত ৩০ জুলাই জি এম কাদেরের ওপর আদালতের নিষেধাজ্ঞার পর আনিসুল ইসলাম মাহমুদকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মনোনীত করেছে জি এম কাদেরের বিরোধী অংশ। এরপর তিনি শনিবার দলের সম্মেলন আহ্বান করেন।

এর উল্লেখ করে আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, আগামীকাল শনিবার জাতীয় পার্টির সম্মেলন হবে ঐতিহাসিক। এই সম্মেলনের মধ্য দিয়ে দলের মধ্যে দীর্ঘদিনের যে বিভেদ রয়েছে, সে বিভেদ শেষ করে দিয়ে বৃহত্তর ঐক্য করে পল্লিবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের স্বপ্নের জাতীয় পার্টির নবযাত্রা শুরু হবে। এই কাউন্সিলে সারা দেশ থেকে জাতীয় পার্টির কয়েক হাজার কাউন্সিলর ও ডেলিগেট অংশ নেবেন।

সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় পার্টির কো–চেয়ারম্যান এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, দেশের মানুষ ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে যে পরিবর্তনের প্রত্যাশা দেখেছিল, সেই প্রত্যাশাকে বাস্তবতায় রূপ দিতে জাতীয় পার্টি নতুন অভিযাত্রায় নেমেছে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়েন জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক। তিনি বলেন, ৩০ জুলাই ২০২৫ তারিখে ঢাকার একটি নিম্ন আদালতের আদেশে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক কার্যক্রমে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা জারি হয়। আদালতের এই আদেশের ফলে পার্টির সাংগঠনিক কার্যক্রম এক অনিশ্চয়তা ও স্থবিরতার মুখে পড়ে। এই প্রেক্ষাপটে দেশের বর্তমান রাজনৈতিক বাস্তবতা, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন, নির্বাচন কমিশনের সময়সীমার বিধিবিধান এবং জাতীয় পার্টির মতো একটি বৃহৎ ও জনগণনির্ভর রাজনৈতিক সংগঠনের নেতৃত্বশূন্য বা স্থবির থাকা কোনোভাবেই দেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রার পক্ষে সহায়ক নয়। এই বিবেচনায় দলীয় গঠনতন্ত্রের ২০(২)(খ) ধারা অনুযায়ী যথাযথ সাংগঠনিক উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।

মুজিবুল হক বলেন, এই ধারার ক্ষমতাবলে ৫ আগস্ট জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদের সভাপতিত্বে পার্টির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম প্রেসিডিয়াম সভা হয়। সভায় সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত হয় যে দলকে সাংগঠনিক স্থবিরতা থেকে মুক্ত করে গণতন্ত্র, গঠনতন্ত্র এবং নেতৃত্বের ধারাবাহিকতা রক্ষায় অতি দ্রুত জাতীয় কাউন্সিল আহ্বান করা প্রয়োজন। নির্বাচন কমিশনের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জাতীয় কাউন্সিল সম্পন্ন করার বাধ্যবাধকতা এবং জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতির জন্য রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা জরুরি।

মুজিবুল হক আরও বলেন, উপরন্তু দলের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীর মধ্যে যে আশাবাদ, উদ্দীপনা এবং পরিবর্তনের আকাঙ্ক্ষা জন্ম নিয়েছে, সেটা বাস্তবায়নে এটি (কাউন্সিল) সময়োচিত ও আবশ্যক পদক্ষেপ। এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে জাতীয় পার্টি আবারও প্রমাণ করেছে, এই দল কেবল ব্যক্তিকেন্দ্রিক নয়, এটি একটি প্রাতিষ্ঠানিক শক্তি, একটি আদর্শভিত্তিক গণতান্ত্রিক আন্দোলন। বাংলাদেশের রাজনীতিতে যখন হতাশা, বিভ্রান্তি ও দিশাহারা ভাব বিরাজ করছে, তখন জাতীয় পার্টি ঐক্যের বার্তা নিয়ে দেশবাসীর সামনে নতুন করে আত্মপ্রকাশ করছে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন কো–চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন, প্রেসিডিয়াম সদস্য নাসরিন জাহান, শফিকুল ইসলাম, জহিরুল ইসলাম, মোস্তফা আল মাহমুদ, মাসরুর মওলা, জসিম উদ্দিন ভুইয়া, আরিফুর রহমান খান, সাবেক সংসদ সদস্য নুরুল ইসলাম, জিয়াউল হক মৃধা, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা সরদার শাহজাহান, খান মো. ইসরাফিল, ইয়াকুব হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান মোবারক হোসেন, শফিকুল ইসলাম, জামাল রানা প্রমুখ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ