ইউক্রেন যুদ্ধ সমাপ্তির প্রচেষ্টায় আগামী ১৫ আগস্ট বৈঠকে বসছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। 

ট্রাম্প সামাজিক মাধ্যমে এই বৈঠকের ঘোষণা দেন এবং পরে ক্রেমলিনের মুখপাত্রও এটি নিশ্চিত করেন। 

আলাস্কাকে স্থান হিসেবে নির্বাচন করার কারণ হিসেবে ক্রেমলিন জানায়, এটি রাশিয়ার তুলনায় নিকটবর্তী হওয়ায় ‘যৌক্তিক’ সিদ্ধান্ত। খবর বিবিসির। 

বৈঠকের ঘোষণার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছেন, যুদ্ধ শেষ করতে ইউক্রেনকে কিছু অঞ্চল ছাড়তে হতে পারে। ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের ডনবাস অঞ্চল ও ক্রিমিয়া রাশিয়া ধরে রাখতে পারে, তবে খেরসন ও জাপোরিঝঝিয়ার মতো আংশিক দখলে থাকা অঞ্চলও ছাড়তে হতে পারে।

ট্রাম্প গতকাল শুক্রবার হোয়াইট হাউসে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের নেতাদের সঙ্গে আলোচনার সময় বলেন, “আমরা রাশিয়ার সঙ্গে একটি বৈঠক করতে যাচ্ছি। আমরা রাশিয়াকে দিয়েই শুরু করব।”

ইস্তানবুলে ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে তিন দফা সরাসরি আলোচনায় যুদ্ধের অবসান হয়নি এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি স্পষ্টভাবে ভূখণ্ড হস্তান্তরের শর্ত অগ্রহণযোগ্য বলে জানিয়েছেন।

ইস্তানবুলে ইউক্রেন-রাশিয়া আলোচনার তিন দফা চেষ্টা যুদ্ধ বন্ধে সফল হয়নি। মস্কো যেসব সামরিক ও রাজনৈতিক শর্ত তুলেছে, সেগুলো কিয়েভ ও তার মিত্ররা ইউক্রেনের আত্মসমর্পণ হিসেবে দেখছেন।

ঢাকা/ইভা 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইউক র ন র

এছাড়াও পড়ুন:

চার গ্রামের যাতায়াতের একমাত্র সাঁকোটি পানির নিচে

পা দিলেই দুলে ওঠে সাঁকো। কাঠ ও বাঁশের এই সাঁকোটির কোথাও হেলে পড়েছে, আবার কোথাও ভেঙেছে। এই সাঁকো পার হতে গিয়ে প্রায়ই পা ফসকে হ্রদের পানিতে পড়ছেন অনেকে। এমন অবস্থা রাঙামাটির ভেদভেদী আনসার ক্যাম্প থেকে উলুছড়া গ্রামে যাওয়ার একমাত্র সাঁকোটির। এটি দিয়েই চারটি গ্রামের প্রায় দেড় হাজার মানুষ ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করেন। সম্প্রতি পাহাড়ি ঢল ও টানা বৃষ্টিতে কাপ্তাই হ্রদের পানি বাড়ায় সাঁকোটিও তলিয়ে গেছে। এ কারণে লোকজনের ভোগান্তি আরও কয়েক গুণ বেড়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রায় ১০ বছর আগে স্থানীয় বাসিন্দাদের উদ্যোগে ও পৌরসভার কিছু অনুদানে সাঁকোটি নির্মাণ করা হয়। নির্মাণের দুই বছরের মধ্যেই এটি ভেঙে পড়ে। এর পর থেকে গ্রামের বাসিন্দারা নিজেরাই প্রতিবছর সংস্কার করেন। এটি দিয়ে যাতায়াত করেন উলুছড়া, আলুটিলা, নতুনপাড়া ও কাটাছড়ি নিচপাড়া গ্রামের মানুষ। প্রতিবছর বর্ষায় কাপ্তাই হ্রদের পানি বাড়লে এই সাঁকো দিয়ে পারাপারে বিপত্তি বাঁধে। এ বছরও একই অবস্থা। সাঁকোর কোনো কোনো অংশ প্রায় তিন থেকে চার ফুট পানির নিচে তলিয়ে গেছে।

আমাদের কেনাকাটা, চিকিৎসা, স্কুলে যাওয়া—সবকিছুই এই পথে গিয়ে করতে হয়। এখন সাঁকোটি তলিয়ে যাওয়ায় চরম ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। কোথায় গেলে এর সমাধান পাব, তা জানা নেই। আমরা সেতু নির্মাণে সরকারের সহযোগিতা চাই।রবিধন চাকমা, কার্বারি (গ্রামপ্রধান), উলুছড়ি গ্রাম

উলুছড়া গ্রামের বাসিন্দা বিমল চাকমা প্রথম আলোকে বলেন, ‘তাঁদের গ্রামে যাতায়াতের একটাই রাস্তা, যেতে হয় এই সাঁকো পার হয়ে। এখন সাঁকোটি পানির নিচে। প্রতিদিন স্কুলপড়ুয়া ছেলেমেয়ে, বৃদ্ধ মানুষজন, রোগীরা ঝুঁকি নিয়ে সাঁকো পার হচ্ছেন। অনেক সময় লোকজন সাঁকো থেকে পানিতে পড়ে যাচ্ছেন।’

কাপ্তাই হ্রদের পানি বাড়ায় সাঁকোটি তলিয়ে গেছে। এরপরও সেটি দিয়েই যাতায়াত করতে হচ্ছে বাসিন্দাদের

সম্পর্কিত নিবন্ধ