যুদ্ধবিমান ধ্বংসের ভারতীয় দাবিকে হাস্যকর বললো পাকিস্তান
Published: 9th, August 2025 GMT
মে মাসে সংঘর্ষের সময় ভারত পাকিস্তানের যুদ্ধবিমান ধ্বংসের যে দাবি করেছে তাকে ‘অবাস্তব’ এবং ‘হাস্যকর’ বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ। শনিবার এক্স-এ এক পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেছেন।
শনিবার ভারতীয় বিমানবাহিনী প্রধান এ.পি. সিং দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর বেঙ্গালুরুতে এক অনুষ্ঠানে জানান, যুদ্ধে পাকিস্তানের পাঁচটি যুদ্ধবিমান ও একটি সামরিক বিমান ধ্বংস করেছে ভারত। বেশিরভাগ পাকিস্তানি বিমান ভারতের রাশিয়ার নির্মিত এস-৪০০ ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থার মাধ্যমে ভূপাতিত করা হয়েছে। তিনি ইলেকট্রনিক ট্র্যাকিং ডেটাকে হামলার নিশ্চিতকরণ হিসাবে উল্লেখ করেছেন।
এই দাবির জবাবে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেছেন, “অপারেশন সিন্দুরের সময় পাকিস্তানি বিমান ধ্বংসের অভিযোগে ভারতীয় বিমানবাহিনী প্রধানের বিলম্বিত দাবি যতটা অকল্পনীয়, ঠিক ততটাই অযৌক্তিক। এটা বিদ্রূপাত্মকও যে, ভারতীয় রাজনীতিবিদদের কৌশলগত অদূরদর্শিতার কারণে ঊর্ধ্বতন ভারতীয় সামরিক কর্মকর্তাদের কীভাবে বিশাল ব্যর্থতার মুখ হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। তিন মাস ধরে, এই ধরনের কোনোদাবি করা হয়নি — যদিও পাকিস্তান, এর পরপরই আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের কাছে বিস্তারিত প্রযুক্তিগত ব্রিফিং উপস্থাপন করেছে এবং স্বাধীন পর্যবেক্ষকরা রাফায়েলসহ একাধিক ভারতীয় বিমানের ক্ষতির ব্যাপক স্বীকারোক্তি রেকর্ড করেছে, বিশ্বনেতা, ঊর্ধ্বতন ভারতীয় রাজনীতিবিদ থেকে শুরু করে বিদেশী গোয়েন্দাসূত্র মূল্যায়ন পর্যন্ত করেছে।”
আসিফ বলেন, ভারত “একটিও পাকিস্তানি বিমানকে আঘাত করেনি বা ধ্বংস করেনি।”
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
পৃথিবীর দীর্ঘতম রাতও ভোর হয়, আমাদেরও বোধোদয় হোক
বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনের সঙ্গে আমার সম্পর্কের শুরুর কথা বলতে গেলে পিছিয়ে যেতে হবে ১৯৭৫ সালের ডিসেম্বরে। সেই বছর আমি দ্বিতীয় জাতীয় দাবার বাছাইপর্বে প্রথম অংশগ্রহণ করি। তখন আমার বয়স ছিল ৯ বছর। আর এ বছর আমি ৫৯তম জন্মদিন পালন করলাম। অর্থাৎ পুরো অর্ধশতক। এই ৫০ বছরের অভিজ্ঞতার আলোকে বাংলাদেশের ক্রীড়াজগৎ নিয়ে আমাকে কিছু বলতে বলা হয়েছে।
স্বাধীনতার পরপর বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে ফুটবল ছিল মূল খেলা। এ দেশের মানুষ বরাবরই ফুটবলপ্রিয়। ১৯৫৮ সাল থেকে ঢাকায় আগা খান গোল্ড কাপের মতো আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হতো। স্বাধীনতার পরও খেলার তারকা বলতে আমরা ফুটবলারদেরই বুঝতাম। সালাহউদ্দিন ভাই, এনায়েত ভাই, চুন্নু ভাই, আসলাম ভাই—ওনারাই ছিলেন সত্তর–আশি দশকের তারকা। আমি নিজেও কিন্তু এই ফুটবল উন্মাদনার মধ্যে বড় হয়েছি। প্রতিদিন বিকেল হওয়ার আগেই আমি পাড়ার মাঠে ফুটবল খেলতে নেমে পড়তাম। ১৯৭৭ সালে আমি জাতীয় দাবা খেলোয়াড় হয়ে গেছি, কিন্তু ফুটবল খেলা মিস দিতাম না। দাবাগুরু কাজী মোতাহার হোসেন আমার সঙ্গে দাবা খেলতে আসতেন। বাইরে থেকে ফুটবল খেলার আওয়াজ আসত, আর আমার মন ছটফট করত। কিন্তু এমন একজন মনীষী সামনে বসা, আমার কিছু করার থাকত না।
আরও পড়ুনবিচারক ও পাঠকদের রায়ে বর্ষসেরা ক্রীড়াবিদ ঋতুপর্ণা৮ ঘণ্টা আগে১৯৭৬ থেকে ১৯৮০ সালের মধ্যে এমসিসি, ভারতের ডেকান ব্লুজ এবং শ্রীলঙ্কা জাতীয় ক্রিকেট দল বাংলাদেশ সফরে আসে। আমরা এই ম্যাচগুলো মাঠে গিয়ে দেখেছি। এই সময় ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা একটু বাড়তে থাকে। রকিবুল হাসান, ইউসুফ রহমান বাবু, জাহাঙ্গীর শাহ বাদশা, শফিকুল হক হীরা প্রমুখ ঘরে ঘরে বেশ পরিচিত নাম হয়ে ওঠেন। হকি তারকা সাব্বির ইউসুফ, আবদুস সাদেক প্রমুখের নাম আমরা শুনেছিলাম, কিন্তু তাঁদের ফুটবলারদের মতো ব্যাপক জনপ্রিয়তা ছিল না। তবে দাবা ফেডারেশনের রুমটা হকি স্টেডিয়ামের উল্টো দিকে হওয়ায় আমরা বারান্দায় দাঁড়িয়ে প্রায়ই হকি খেলা দেখতাম।
সিটি গ্রুপ–প্রথম আলো ক্রীড়া পুরস্কার ২০২৪ অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করেন (বাঁ থেকে) শেখ মোহাম্মদ আসলাম, নিয়াজ মোরশেদ, সাবরিনা সুলতানা ও আসিফ হোসেন