সুনামগঞ্জে সড়কের নিরাপত্তা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস জেলা সদরে স্থাপনের দাবিতে মানববন্ধন
Published: 10th, August 2025 GMT
সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কে যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত ও সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সুবিপ্রবি) স্থায়ী ক্যাম্পাস জেলা সদরে বাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধন হয়েছে। আজ রোববার দুপুরে পৌর শহরের জেলা আইনজীবী সমিতি ভবনের সামনের সড়কে এ মানববন্ধনের আয়োজন করে জেলা সদরে সুবিপ্রবির স্থায়ী ক্যাম্পাস বাস্তবায়ন আন্দোলন কমিটি।
সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কে গত বুধবার দুর্ঘটনায় দুই শিক্ষার্থীসহ তিনজন নিহত হন। ওই দিনই বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগে ভর্তি হয়ে বাড়িতে ফেরার পথে শিক্ষার্থী স্নেহা চক্রবর্তী, সুনামগঞ্জ টেক্সটাইল ইনিস্টিটিউটের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আফসানা জাহান ও শহরের আলীপাড়া এলাকার বাসিন্দা শফিকুল ইসলাম নিহত হন।
মানববন্ধন চলাকালে আন্দোলন কমিটির সদস্যসচিব মোহাম্মদ মুনাজ্জির হোসেনের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন কমিটির আহ্বায়ক জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি হুমায়ুন মনজুর চৌধুরী, সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপির নেতা দেওয়ান জয়নুল জাকেরিন, আন্দোলন কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি রবিউল লেইস রোকেস, সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ সৈয়দ মহিবুল ইসলাম ও জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির মুহাম্মদ শামস উদ্দিন, সুনামগঞ্জের সাবেক সিভিল সার্জন সৈয়দ মোনাওয়ার আলী, জেলা সিপিবির সাবেক সভাপতি চিত্তরঞ্জন তালুকদার, সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও আন্দোলন কমিটির যুগ্ম সদস্যসচিব বদরুল কাদির ও রাজু আহমেদ, সাবেক ছাত্রনেতা রিপন আহমেদ, সুহেল আহমদ, আকুল মিয়া প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, সুনামগঞ্জ-সিলেট সড়ক নিরাপদ করতে হলে এটিকে চার লেনে রূপান্তরিত করতে হবে। সড়কের পাশে কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্যাম্পাস করা যাবে না। যৌক্তিক কারণেই সুবিপ্রবির স্থায়ী ক্যাম্পাস জেলা সদরে সুবিধাজনক স্থানে করতে হবে। সড়কে দুজন শিক্ষার্থীসহ তিনজনের মর্মান্তিক মৃত্যুর দায় পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের এড়ানোর কোনো সুযোগ নেই। যে বাসের কারণে দুর্ঘটনা, সেটির কোনো ফিটনেস বা বৈধ কাগজপত্র ছিল না। চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স ছিল না। সড়কে এই হত্যার মিছিল থামাতে হবে।
সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পাস জেলার শান্তিগঞ্জ উপজেলার শান্তিগঞ্জে সুনামগঞ্জ টেক্সটাইল ইনিস্টিটিউটে অবস্থিত। সেখানে গত বছর পাঠদান শুরু হয়। এবার দ্বিতীয় ব্যাচে শিক্ষার্থীরা ভর্তি হচ্ছেন। অনেক শিক্ষার্থী জেলা শহর থেকে প্রায় ১৭ কিলোমিটার দূরের ওই দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাতায়াত করেন। শান্তিগঞ্জ থেকে শহরে ফেরার পথেই সুনামগঞ্জ-সিলেট সড়কে দুর্ঘটনায় শিক্ষার্থীসহ তিনজনের মৃত্যু হয়।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: স ন মগঞ জ স ন কম ট র
এছাড়াও পড়ুন:
১৫ সেনা কর্মকর্তার আইনজীবী হিসেবে সরোয়ার হোসেনের নাম প্রত্যাহার
মানবতাবিরোধী অপরাধের পৃথক তিনটি মামলায় গ্রেপ্তার ১৫ জন সেনা কর্মকর্তার পক্ষে আইনজীবী হিসেবে এম সরোয়ার হোসেনের নাম প্রত্যাহার করা হয়েছে।
আজ রোববার এই প্রত্যাহারের আবেদন মঞ্জুর করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।
গত ২২ অক্টোবর এই ১৫ সেনা কর্মকর্তার পক্ষে সরোয়ার হোসেনসহ পাঁচজন আইনজীবী ওকালতনামা জমা দিয়েছিলেন। ট্রাইব্যুনালের কাছে আজকে তিনি সেই ওকালতনামা থেকে নিজের নাম প্রত্যাহারের আবেদন করেন। তাঁর সেই আবেদন মঞ্জুর করেন ট্রাইব্যুনাল।
পরে ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে আইনজীবী সরোয়ার হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ১৫ সেনা কর্মকর্তার পক্ষে গত ২২ অক্টোবর তাঁরা পাঁচজন আইনজীবী ওকালতনামা জমা দিয়েছিলেন। পরবর্তী সময় যখন ডকুমেন্টসে (নথিপত্র) দেখা গেছে, তিনি নিজে আগে সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ করেছিলেন। সেই অভিযোগে যে সেনা কর্মকর্তার নাম রয়েছে, তিনি এই ১৫ সেনা কর্মকর্তার মধ্যে রয়েছেন। প্রফেশনাল এথিকস অ্যান্ড কডাক্ট অনুযায়ী, তিনি ডিফেন্স আইনজীবী হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আবার ট্রাইব্যুনালের অনুমতি ছাড়া ওকালতনামা প্রত্যাহার করারও সুযোগ নেই। সে কারণে আজকে আবেদনের মাধ্যমে ট্রাইব্যুনালে আইনজীবী হিসেবে তাঁর নাম প্রত্যাহার করার আবেদন করেছেন। ট্রাইব্যুনাল সেই আবেদন গ্রহণ করেছেন। অর্থাৎ সেই ওকালতনামা প্রত্যাহার হয়েছে।
আইনজীবী সরোয়ার হোসেন বলেন, এই ওকালতনামা প্রত্যাহার হয়ে যাবে। পাঁচজন আইনজীবীই প্রত্যাহার হলেন।
অন্যদিকে আইনজীবী এ বি এম হামিদুল মেজবাহ প্রথম আলোকে বলেন, ইতিমধ্যে এই ১৫ সেনা কর্মকর্তার পক্ষে লড়াই করার জন্য নতুন করে তাঁরা সাত আইনজীবী ওকালতনামা জমা দিয়েছেন।
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলের গুম-নির্যাতনের ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের দুটি মামলায় এবং জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় করা একটি মামলায় মোট ২৫ জন সাবেক-বর্তমান সেনা কর্মকর্তাকে আসামি করা হয়েছে।
বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১–এ এই তিন মামলার বিচার চলছে। এই ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।