নওগাঁ জেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনের আগে বিএনপি নেতার প্রার্থিতা প্রত্যাহারের ঘোষণা
Published: 10th, August 2025 GMT
১৫ বছর পর নওগাঁ জেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আগামীকাল সোমবার নওগাঁ কনভেনশন সেন্টারে জেলার ১১টি উপজেলা ও ৩টি পৌর কমিটির ১ হাজার ৪১৪ জন কাউন্সিলরের ভোটে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক—এই তিন পদে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন করা হবে।
এদিকে আজ রোববার বেলা দুইটায় জেলা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে কাউন্সিলর বা ভোটার তালিকাকে বিতর্কিত অভিযোগ করে সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপি নেতা আমিনুল ইসলাম (বেলাল)।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আমিনুল ইসলাম অভিযোগ করেন, সম্মেলনের কাউন্সিলরদের যে তালিকা ঘোষণা করা হয়েছে, তাতে নেতা–কর্মীদের সঠিক মূল্যায়ন করা হয়নি। যাঁরা দীর্ঘদিনের ত্যাগী ও পরীক্ষিত, অনেক মামলা-মোকদ্দমায় আসামি হয়েছেন এবং দলের প্রতিটি কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকেন, এমন অনেক নেতার নাম কাউন্সিলর তালিকায় নেই। অন্যদিকে যাঁরা দুর্দিনে দলের মিছিল ও সভায় আসেননি, তাঁদের নাম তালিকায় রাখা হয়েছে।
আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘বিতর্কিত কাউন্সিলর তালিকার বিষয়ে জেলা বিএনপির সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির প্রধান সমন্বয়কারীর কাছে অভিযোগ করার পরও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এ পরিস্থিতিতে ওই তালিকার অধীনে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
জানতে চাইলে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সাবেক সদস্যসচিব ও দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী বায়েজিদ হোসেন পলাশ প্রথম আলোকে বলেন, ‘১১টি উপজেলা ও ৩টি পৌর কমিটি দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী গঠন করা হয়েছে। ১৪টি ইউনিটের নিয়ামতপুর ও মান্দা উপজেলা কমিটি ছাড়া বাকি ১২টি কমিটি নির্বাচনের মাধ্যমে সাভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে নেতৃত্ব নির্বাচন করা হয়েছে। পরবর্তী সময়ে নির্বাচিত সভাপতি, সাধারণ সম্পদক ও সাংগঠনিক সম্পাদকেরা পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করে জেলা কমিটির কাছে তালিকা পাঠিয়েছেন। আমরা সেই কমিটির অনুমোদন দিয়েছি। এখানে আমাদের নিজেদের লোককে কমিটিতে রাখার কোনো সুযোগ নেই।’
জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক ও সম্মেলন পরিচালনা কমিটির সদস্য শেখ রেজাউল ইসলাম বলেন, সভাপতি পদে আটজন, সাধারণ সম্পাদক পদে চারজন এবং সাংগঠনিক সম্পাদকের দুটি পদের জন্য আটজন মনোনয়নপত্র তুলেছেন। সম্পূর্ণ গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে কাউন্সিলরদের প্রত্যক্ষ ভোটে এই তিন পদে নেতৃত্ব নির্বাচন করা হবে।
উল্লেখ্য, সর্বশেষ ২০১০ সালে জেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ওই সম্মেলনে কাউন্সিলরদের ভোটে সভাপতি নির্বাচিত হন সামসুজ্জোহা খান, সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম ধলু এবং সাংগঠনিক সম্পাদক মামুনুর রহমান রিপন। ২০১৫ সালে ওই কমিটি বিলুপ্ত হওয়ার পর সম্মেলনের মাধ্যমে আর কোনো কমিটি গঠন করা হয়নি। ২০২২ সালে গঠিত আহ্বায়ক কমিটির মাধ্যমে জেলা বিএনপির সাংগঠনিক কার্যক্রম চলছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ল ইসল ম ব এনপ র কম ট র
এছাড়াও পড়ুন:
নওগাঁ জেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনের আগে বিএনপি নেতার প্রার্থিতা প্রত্যাহারের ঘোষণা
১৫ বছর পর নওগাঁ জেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আগামীকাল সোমবার নওগাঁ কনভেনশন সেন্টারে জেলার ১১টি উপজেলা ও ৩টি পৌর কমিটির ১ হাজার ৪১৪ জন কাউন্সিলরের ভোটে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক—এই তিন পদে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন করা হবে।
এদিকে আজ রোববার বেলা দুইটায় জেলা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে কাউন্সিলর বা ভোটার তালিকাকে বিতর্কিত অভিযোগ করে সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপি নেতা আমিনুল ইসলাম (বেলাল)।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আমিনুল ইসলাম অভিযোগ করেন, সম্মেলনের কাউন্সিলরদের যে তালিকা ঘোষণা করা হয়েছে, তাতে নেতা–কর্মীদের সঠিক মূল্যায়ন করা হয়নি। যাঁরা দীর্ঘদিনের ত্যাগী ও পরীক্ষিত, অনেক মামলা-মোকদ্দমায় আসামি হয়েছেন এবং দলের প্রতিটি কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকেন, এমন অনেক নেতার নাম কাউন্সিলর তালিকায় নেই। অন্যদিকে যাঁরা দুর্দিনে দলের মিছিল ও সভায় আসেননি, তাঁদের নাম তালিকায় রাখা হয়েছে।
আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘বিতর্কিত কাউন্সিলর তালিকার বিষয়ে জেলা বিএনপির সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির প্রধান সমন্বয়কারীর কাছে অভিযোগ করার পরও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এ পরিস্থিতিতে ওই তালিকার অধীনে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
জানতে চাইলে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সাবেক সদস্যসচিব ও দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী বায়েজিদ হোসেন পলাশ প্রথম আলোকে বলেন, ‘১১টি উপজেলা ও ৩টি পৌর কমিটি দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী গঠন করা হয়েছে। ১৪টি ইউনিটের নিয়ামতপুর ও মান্দা উপজেলা কমিটি ছাড়া বাকি ১২টি কমিটি নির্বাচনের মাধ্যমে সাভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে নেতৃত্ব নির্বাচন করা হয়েছে। পরবর্তী সময়ে নির্বাচিত সভাপতি, সাধারণ সম্পদক ও সাংগঠনিক সম্পাদকেরা পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করে জেলা কমিটির কাছে তালিকা পাঠিয়েছেন। আমরা সেই কমিটির অনুমোদন দিয়েছি। এখানে আমাদের নিজেদের লোককে কমিটিতে রাখার কোনো সুযোগ নেই।’
জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক ও সম্মেলন পরিচালনা কমিটির সদস্য শেখ রেজাউল ইসলাম বলেন, সভাপতি পদে আটজন, সাধারণ সম্পাদক পদে চারজন এবং সাংগঠনিক সম্পাদকের দুটি পদের জন্য আটজন মনোনয়নপত্র তুলেছেন। সম্পূর্ণ গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে কাউন্সিলরদের প্রত্যক্ষ ভোটে এই তিন পদে নেতৃত্ব নির্বাচন করা হবে।
উল্লেখ্য, সর্বশেষ ২০১০ সালে জেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ওই সম্মেলনে কাউন্সিলরদের ভোটে সভাপতি নির্বাচিত হন সামসুজ্জোহা খান, সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম ধলু এবং সাংগঠনিক সম্পাদক মামুনুর রহমান রিপন। ২০১৫ সালে ওই কমিটি বিলুপ্ত হওয়ার পর সম্মেলনের মাধ্যমে আর কোনো কমিটি গঠন করা হয়নি। ২০২২ সালে গঠিত আহ্বায়ক কমিটির মাধ্যমে জেলা বিএনপির সাংগঠনিক কার্যক্রম চলছে।