তুরস্কে শক্তিশালী ভূমিকম্পে একজনের মৃত্যু, আহত ২৯
Published: 11th, August 2025 GMT
তুরস্কের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় বালিকেসির প্রদেশে স্থানীয় সময় রবিবার (১০ আগস্ট) সন্ধ্যায় ৬.১ মাত্রার শক্তিশালী একটি ভূমিকম্প আঘাত হানে। এতে অন্তত একজন নিহত ও ২৯ জন আহত হয়েছেন এবং এক ডজনেরও বেশি ভবন ধসে পড়েছে।
আজ সোমবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
তুরস্কের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থার তথ্যানুসারে, শক্তিশালী ভূমিকম্পটি স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭ টা ৫৩ মিনিটের দিকে আঘাত হানে। বহু দূরের ইস্তাম্বুল শহরেও কম্পন অনুভূত হয়েছিল।
আরো পড়ুন:
চীন-ফিলিপাইন-ইন্দোনেশিয়া-নিউজিল্যান্ড-পেরু-মেক্সিকোতেও সুনামি সতর্কতা
জাপানে ২০ লাখ মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার আহ্বান
তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল সিন্দিরগি শহরে ধ্বংসস্তূপ থেকে ৮১ বছর বয়সী এক নারীকে উদ্ধার করার কিছুক্ষণ পরেই তিনি মারা যান।
আলী ইয়েরলিকায়া আরো জানান, ভূমিকম্পের ফলে ১৬টি ভবন ধসে পড়ে এবং ২৯ জন আহত হয়।
দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান ক্ষতিগ্রস্ত সবার দ্রুত আরোগ্য কামনা করে একটি বিবৃতি জারি করেছেন। উদ্ধার প্রচেষ্টা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সিন্দিরগি থেকে পাওয়া ছবিতে দেখা গেছে, ভবনগুলো সম্পূর্ণরূপে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।
তুরস্ক তিনটি প্রধান টেকটোনিক প্লেটের সংযোগস্থলে অবস্থিত হওয়ায় দেশটিতে প্রায়ই ভূমিকম্পের ঘটনা ঘটে।
২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে, দেশটির দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ৭.
ঢাকা/ফিরোজ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ভ ম কম প ত রস ক ভ ম কম প র ত রস ক
এছাড়াও পড়ুন:
ফিলিপাইনে ৬ দশমিক ৯ তীব্রতার ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬৯
ফিলিপাইনের মধ্যাঞ্চলে ৬ দশমিক ৯ তীব্রতার শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহত হওয়ার সংখ্যা বেড়ে ৬৯ জন হয়েছে। দেশটির দুর্যোগ-সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা আজ বুধবার এ খবর জানান। বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা ও পানি-বিদ্যুতের সংযোগ আবার চালু করার চেষ্টা করছে ফিলিপাইন সরকার।
দেশটির সিভিল ডিফেন্স কর্মকর্তা রাফি আলেজান্দ্রো সাংবাদিকদের বলেন, স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার রাত ১০টার আগে সেবু প্রদেশের উত্তরে বোগো শহরের কাছে ভূমিকম্পটির উৎপত্তি হয়। স্থানীয় হাসপাতালগুলো আহত মানুষের ভিড়ে রীতিমতো উপচে পড়ছে।
আঞ্চলিক সিভিল ডিফেন্স দপ্তরের তথ্য কর্মকর্তা জেন আবাপো বলেন, সেবুর প্রাদেশিক দুর্যোগ দপ্তরের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ভূমিকম্পে নিহত হওয়ার সংখ্যা এখন পর্যন্ত ৬৯ জন। অন্য একজন কর্মকর্তা জানান, আহত হয়েছেন ১৫০ জনের বেশি।
দেশটির প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের দ্রুত সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি জানান, মন্ত্রিপরিষদ সচিবেরা ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। প্রিয়জন হারানো ব্যক্তিদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন তিনি।
সেবু ফিলিপাইনের জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্যগুলোর একটি। সেখানে প্রায় ৩৪ লাখ মানুষের বসবাস। ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও ম্যাকতান-সেবু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্যক্রম চালু রয়েছে। এটা ফিলিপাইনের দ্বিতীয় ব্যস্ততম বিমানবন্দর।
ভূমিকম্পে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সান রেমিগিও শহরটিও। উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রমে সহায়তার জন্য এ শহরে ‘দুর্যোগপূর্ণ অবস্থা’ ঘোষণা করা হয়েছে। শহরের ভাইস মেয়র আলফি রেইনেস বলেন, উদ্ধারকর্মীদের জন্য খাবার ও পানি, সেই সঙ্গে ভারী সরঞ্জাম প্রয়োজন।
স্থানীয় ডিজেডএমএম রেডিওকে আলফি রেইনেস বলেন, ‘ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। বিদ্যুৎ নেই। আমাদের সত্যিই সহায়তা দরকার। বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলে পানির তীব্র সংকট রয়েছে। ভূমিকম্পে সেখানে সরবরাহ লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’
আরও পড়ুনফিলিপাইনে শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহত অন্তত ২৬, চলছে উদ্ধারকাজ৫ ঘণ্টা আগে