লিওনেল মেসিকে ছাড়াই মাঠে নেমে দুঃস্বপ্নের রাত কাটাল ইন্টার মায়ামি। ইনজুরিতে সেরা তারকাকে হারানো দলটি অরল্যান্ডো সিটির বিপক্ষে ৪-১ গোলের বড় হারে মাঠ ছাড়ল বাংলাদেশ সময় আজ সোমবার সকালে।
ম্যাচের আগে কোচ হাভিয়ের মাশচেরানো নিশ্চিত করেছিলেন, মেক্সিকোর নিকাক্সার বিপক্ষে লিগস কাপে পাওয়া চোটের কারণে মেসি এই ম্যাচে থাকছেন না। সেই ঘটনার স্মৃতি এখনো তাজা। চেজ স্টেডিয়ামে ড্রিবলিংয়ের সময় রাউল সানচেজ ও আলেক্সিস পেনারের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে পড়ে যান মেসি। উঠে দাঁড়ানোর চেষ্টা করলেও অস্বস্তি দূর না হওয়ায় মাঠ ছাড়তে হয় তাকে। এরপর থেকেই মায়ামিকে খেলতে হচ্ছে তাদের গোলমুখের সবচেয়ে বড় অস্ত্র ছাড়াই।
মেসিকে ছাড়া পুমাসের বিপক্ষে জিতলেও (৩-১) অরল্যান্ডোর মাঠে সেই ধার আর টিকিয়ে রাখতে পারেনি মায়ামি। ম্যাচের শুরুতেই মাত্র ২ মিনিটে লুইস মুরিয়েলের গোলে এগিয়ে যায় অরল্যান্ডো। যদিও ৩ মিনিট পরই ইয়ানিক ব্রাইটের গোল মায়ামিকে সমতায় ফেরায়। বিরতিতে ১-১ স্কোরলাইন থাকলেও দ্বিতীয়ার্ধে শুরু হয় মায়ামির দুঃখগাথা।
আরো পড়ুন:
ডি পল-সুয়ারেজে কোয়ার্টার ফাইনালে মেসিহীন মায়ামি
অবশেষে সংশয়ই সত্যি হলো, মাঠের বাইরে মেসি
৫০ মিনিটে মুরিয়েল তার দ্বিতীয় গোল করে অরল্যান্ডোকে আবারও এগিয়ে দেন। এরপর ৫৮ মিনিটে মার্টিন ওজেদার দূরপাল্লার শট মায়ামির জালে জড়িয়ে যায়। শেষ মুহূর্তে, ৮৮ মিনিটে মার্কো প্যাসালিচের গোল ব্যবধান বাড়িয়ে জয় নিশ্চিত করে দেয় অরল্যান্ডো সিটি।
এই জয়ে ২৬ ম্যাচে ৪৪ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলে চতুর্থ স্থানে উঠে এসেছে অরল্যান্ডো। অন্যদিকে ২৩ ম্যাচে ৪২ পয়েন্ট পাওয়া মায়ামি নেমে গেছে ষষ্ঠ স্থানে।
মেসি কবে ফিরবেন তা এখনো নিশ্চিত নয়। তবে তার অনুপস্থিতি যে মায়ামির জন্য বড় ধাক্কা, অরল্যান্ডো ম্যাচই তার সবচেয়ে বড় প্রমাণ।
ঢাকা/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল অরল য ন ড
এছাড়াও পড়ুন:
ইসির প্রাথমিক বাছাইয়ে উত্তীর্ণ এনসিপিসহ ১৬ দল
জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) ১৬টি দলের নিবন্ধন আবেদন বাছাইয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে। এখন মাঠ পর্যায়ে তদন্তের পর সিদ্ধান্ত হবে।
রবিবার (১০ আগস্ট) নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী নেওয়াজ বিষয়টি জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, “এনসিপিসহ ১৬টি দলকে আমরা মাঠ পর্যায়ে যাচাই বাছাইয়ের জন্য তালিকা করেছি। সেখান থেকে তদন্ত রিপোর্ট আসলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
আরো পড়ুন:
ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় সংসদ নির্বাচন: সিইসি
নির্বাচনের মধ্য দিয়ে কল্যাণ রাষ্ট্র গড়ে তুলতে পারব: তারেক রহমান
এবার ১৪৫টি দল নিবন্ধন চেয়ে আবেদন করে।
কে এম আলী নেওয়াজ বলেন,“তবে প্রাথমিক বাছাইয়ে সব দল ফেল করলে ইসি ৩ আগস্ট পর্যন্ত তথ্যের ঘাটতি পূরণের চিঠি দেয়। এরপর ৮০টি দল তথ্যে ঘাটতি পূরণ করে। এদের মধ্যে বাছাইয়ে টিকল ১৬টি।”
আইন অনুযায়ী, নিবন্ধন পেতে ইচ্ছুক দলের একটি কেন্দ্রীয় কমিটি, এক তৃতীয় জেলা ও ১০০টি উপজেলা কমিটি এবং প্রতিটি কমিটিতে ২০০ ভোটারের সমর্থনের প্রমাণ থাকতে হয়। এছাড়া কোনো দলের কেউ আগে সংসদ সদস্য থাকলে বা আগের নির্বাচনের পাঁচ শতাংশ ভোট পেলেও নিবন্ধন পাওয়ার যোগ্যতা হিসেবে ধরা হয়।
এসব প্রধান শর্তগুলো ছাড়াও বেশকিছু নিয়ম কানুন মেনে আবেদন করতে হয়। প্রাথমিক বাছাইয়ে এসব নিয়ম কানুনগুলোই সাধারণত খেয়াল করা হয়।
নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় দলগুলোর আবেদন পাওয়ার পর কমিশন প্রথমে এগুলো প্রাথমিক বাছাই করে। এরপর সেই দলগুলোর তথ্যাবলী সরেজমিন তদন্ত শেষে বাছাই সম্পন্ন করে দাবি আপত্তি চেয়ে বিজ্ঞপ্তি দেয় কমিশন।
সেখানে কোনো আপত্তি এলে শুনানি করে তা নিষ্পত্তি করা হয়। আর কোনো আপত্তি না থাকলে সংশ্লিষ্ট দলগুলোকে নিবন্ধন সনদ প্রদান করে ইসি। নিবন্ধন ছাড়া কোনো দল নিজ প্রতীকে ভোটে প্রার্থী দিতে পারে না।
বর্তমানে নিবন্ধিত দলের সংখ্যা ৫১টি (আওয়ামী লীগসহ)। নবম সংসদ নির্বাচনের আগে ২০০৮ সালে নিবন্ধন প্রথা চালু হয়। এ পর্যন্ত ৫৫টি দল ইসির নিবন্ধন পেলেও পরবর্তীতে শর্ত পূরণ, শর্ত প্রতিপালনে ব্যর্থতা এবং আদালতের নির্দেশে পাঁচটি দলের নিবন্ধন বাতিল করে ইসি।
দলগুলো হলো-জামায়াতে ইসলামী, ফ্রিডম পার্টি, ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলন, পিডিপি ও জাগপা।
ঢাকা/হাসান/সাইফ