‘উপাচার্য পদের জন্য ৭০ বছর বয়সেও বাবাকে কারাগারে যেতে হলো’
Published: 11th, August 2025 GMT
‘যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) উপাচার্যের পদ গ্রহণের জন্য সত্তর বছর বয়সে আমার বাবাকে কারাগারে যেতে হলো। তাঁর শারীরিক অবস্থার কথা বারবার আদালতে জানানো হলেও তিনি জামিন পাননি। অবশেষে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে তিনি স্ট্রোক করেছেন। গুরুতর অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সরকারের শুভবুদ্ধির উদয় হোক।’
আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে কথাগুলো লিখে ক্ষোভ প্রকাশ করেন যশোর প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আবদুস সাত্তারের ছেলে ওয়াসিফ সাত্তার। দুর্নীতি দমন কমিশন দুদকের দুটি মামলায় প্রায় দেড় মাস ধরে তিনি যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী আছেন। ২০০৯ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত তিনি উপাচার্যের দায়িত্বে ছিলেন।
যশোর কেন্দ্রীয় কারাগার সূত্রে জানা গেছে, আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আবদুস সাত্তার হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাঁকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে কারা কর্তৃপক্ষ।
জেল সুপার শরিফুল আলম বলেন, ‘৭০ বছর বয়সী আবদুস সাত্তার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে হঠাৎ বুকে ব্যথার কারণে অসুস্থ হয়ে পড়েন। এ সময় তাঁর মুখ দিয়ে লালা বের হচ্ছিল। স্ট্রোকের আশঙ্কায় তাঁকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ২০ আগস্ট তাঁর হাজিরার পরবর্তী দিন ধার্য রয়েছে।’
আবদুস সাত্তার আপাতত শঙ্কামুক্ত নন বলে আজ দুপুরে জানিয়েছেন যশোর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক চিকিৎসক সাফায়েত হোসাইন। তিনি বলেন, সিটি স্ক্যানের মাধ্যমে জানা গেছে, তাঁর মাথায় রক্ত চলাচলে বিঘ্ন ঘটেছে। তাঁর চিকিৎসা ও পর্যবেক্ষণ চলছে।
ফেসবুক পোস্টের বিষয়ে ওয়াসিফ সাত্তার বলেন, ‘আমরা হাসপাতালে গিয়ে দেখি, বাবা স্ট্রোক করেছেন। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে আমার বাবার মতো সম্মানীয় ব্যক্তিদের শেষ জীবনে হেনস্তা করা হচ্ছে। আমার বাবা এই অপমান সহ্য করতে পারেননি। এমন রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বন্ধ হোক।’
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আবদ স স ত ত র উপ চ র য
এছাড়াও পড়ুন:
ইবিতে নবীনবরণ, র্যাগিং ইস্যুতে কঠোর প্রশাসন
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের প্রথম বর্ষের ক্লাস শুরু হয়েছে। প্রথমদিনেই শিক্ষার্থীদের দেওয়া হয়েছে অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডার।
তবে ক্লাস শুরু হলেও বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনো ৪৩ আসন ফাঁকা রয়েছে বলে জানা গেছে।
সোমবার (১১ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৬টি বিভাগ নিজস্ব আয়োজনে নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ করে নেয়।
আরো পড়ুন:
গকসুর তফসিল ঘোষণা, নির্বাচন ২৫ সেপ্টেম্বর
গণঅভ্যুত্থানে শহীদ-আহত শিক্ষার্থীদের তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে, ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে আটটি অনুষদের অধীনে ৩৬টি বিভাগে মোট আসনসংখ্যা ২ হাজার ৪৪৭টি। এর মধ্যে ২ হাজার ৪০৪ শিক্ষার্থী চূড়ান্ত ভর্তি সম্পন্ন করেছেন। বর্তমানে ৪৩টি আসন ফাঁকা আছে। এর মধ্যে সাতটি অনুষদের বিভিন্ন বিভাগে আসন ফাঁকা থাকলেও ধর্মতত্ত্ব অনুষদে কোনো আসন ফাঁকা নেই।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক শাখার উপ রেজিস্ট্রার শহীদুল ইসলাম বলেন, “ফাঁকা আসনের বিষয়ে গতকাল (রবিবার) জিএসটি কমিটির সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের একটি মিটিং হয়েছে। এছাড়া আজ (সোমবার) বিশ্ববিদ্যালয় টেকনিক্যাল কমিটির মিটিং হওয়ার কথা রয়েছে। সেখানে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
এদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়কে র্যাগিংমুক্ত রাখতে কঠোর অবস্থানে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ইতোমধ্যে মাইকিং করে র্যাগিংবিরোধী প্রচার প্রচারণা চালান হয়েছে। নবীনদের র্যাগিংয়ে জড়িতদের বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামান।
তিনি বলেন, “আমরা র্যাগিং নিয়ে ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছি। তিনদিন ধরে আমরা র্যাগিং সচেতনায় মাইকিং করছি। এছাড়া বিভাগগুলোতে কাউন্সিলর নিয়োগ, সচেতনতামূলক আলোচনা সভা এবং পোস্টার লাগানো হবে। কোনো র্যাগিংয়ের ঘটনা ঘটলে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেব।”
ঢাকা/তানিম/মেহেদী