জাবিতে ছাত্রদলের বিতর্কিত কমিটি, প্রতিবাদ করায় ১৩ জনকে শোকজ
Published: 11th, August 2025 GMT
সম্প্রতি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শাখা ছাত্রদলের বর্ধিত আহ্বায়ক ও হল কমিটি গঠন করা হয়েছে। ত্যাগী নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে সাবেক ছাত্রলীগ কর্মী, মাদক ও ছিনতাইয়ের দায়ে বহিষ্কৃতসহ নানা বিতর্কিতদের নিয়ে কমিটি গঠন করা হলে এর প্রতিবাদ করেন যথাযথ মূল্যায়ন না পাওয়া নেতাকর্মীরা।
প্রতিবাদে অংশ নেওয়া ১৩ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করেছে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদ। এর মধ্যে যুগ্ম-আহ্বায়ক ছয়জন এবং সদস্য রয়েছেন সাতজন।
রবিবার (১০ আগস্ট) সন্ধ্যায় ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক মো.
আরো পড়ুন:
জাকসু তফসিল ঘোষণা, আগামী ১১ সেপ্টেম্বর নির্বাচন
জাবি শাখা ছাত্রদলের কমিটিতে ছাত্রলীগসহ অন্যরা
কারণ দর্শানোর নোটিশ পাওয়া ছয় যুগ্ম-আহ্বায়ক হলেন, মিজানুর রহমান, মো. হোসাইন আল রাসেদ বাদল, মমিনুর রহমান লাজু, আলাউদ্দিন দেওয়ান, রাজুয়ার হোসাইন, মো. জোবায়ের হোসাইন।
সদস্যরা হলেন- মাহবুবুর রহমান মুরাদ, জাকিরুল ইসলাম, সাদিকুর রহমান, শরীফুল ইসলাম, মির্জা আবু বকর সিদ্দিক সোহাগ, মাসুদ রানা পাইলট মিস্ট, আবেশ আল মুবিন নাফি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জাবি শাখার দায়িত্বশীল পদে আসীন থেকে সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগের ভিত্তিতে আপনাদের বিরুদ্ধে কেনো স্থায়ী সাংগঠনিক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, এই মর্মে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের উপস্থিতিতে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে লিখিত ব্যাখ্যা প্রদানের নির্দেশ দেওয়া হলো।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির এই নির্দেশনা প্রদান করেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
শুক্রবার (৮ আগস্ট) দুপুরের দিকে জাবির ১৭টি আবাসিক হল ও ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদে ৮৮ সদস্য বিশিষ্ট শাখা ছাত্রদলের হল কমিটি ঘোষণা করা হয়।
গত ৮ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০০৯-১০ শিক্ষাবর্ষ (৩৯ ব্যাচ) থেকে আহ্বায়ক এবং ২০১০-১১ শিক্ষাবর্ষ (৪০ ব্যাচ) থেকে সদস্য সচিব নিয়ে ঘোষিত ১৭৭ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটিকে বর্ধিত করা হয়েছে। নতুন বর্ধিত আহ্বায়ক কমিটিতে যুগ্ম-আহ্বায়ক হিসেবে ৭৫ জন এবং সদস্য হিসেবে ২৯৬ জন জায়গা পেয়েছেন।
এই হল কমিটি ও বর্ধিত কমিটিতে ত্যাগীদের অবমূল্যায়ন ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ তুলে রাতে বিক্ষোভ মিছিল করেন যথাযথ মূল্যায়ন না পাওয়া নেতাকর্মীরা।
ঢাকা/আহসান/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ছ ত রদল ছ ত রদল র ন ত কর ম র রহম ন বর ধ ত গঠন ক সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
ইবিতে নবীনবরণ, র্যাগিং ইস্যুতে কঠোর প্রশাসন
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের প্রথম বর্ষের ক্লাস শুরু হয়েছে। প্রথমদিনেই শিক্ষার্থীদের দেওয়া হয়েছে অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডার।
তবে ক্লাস শুরু হলেও বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনো ৪৩ আসন ফাঁকা রয়েছে বলে জানা গেছে।
সোমবার (১১ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৬টি বিভাগ নিজস্ব আয়োজনে নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ করে নেয়।
আরো পড়ুন:
গকসুর তফসিল ঘোষণা, নির্বাচন ২৫ সেপ্টেম্বর
গণঅভ্যুত্থানে শহীদ-আহত শিক্ষার্থীদের তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে, ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে আটটি অনুষদের অধীনে ৩৬টি বিভাগে মোট আসনসংখ্যা ২ হাজার ৪৪৭টি। এর মধ্যে ২ হাজার ৪০৪ শিক্ষার্থী চূড়ান্ত ভর্তি সম্পন্ন করেছেন। বর্তমানে ৪৩টি আসন ফাঁকা আছে। এর মধ্যে সাতটি অনুষদের বিভিন্ন বিভাগে আসন ফাঁকা থাকলেও ধর্মতত্ত্ব অনুষদে কোনো আসন ফাঁকা নেই।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক শাখার উপ রেজিস্ট্রার শহীদুল ইসলাম বলেন, “ফাঁকা আসনের বিষয়ে গতকাল (রবিবার) জিএসটি কমিটির সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের একটি মিটিং হয়েছে। এছাড়া আজ (সোমবার) বিশ্ববিদ্যালয় টেকনিক্যাল কমিটির মিটিং হওয়ার কথা রয়েছে। সেখানে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
এদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়কে র্যাগিংমুক্ত রাখতে কঠোর অবস্থানে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ইতোমধ্যে মাইকিং করে র্যাগিংবিরোধী প্রচার প্রচারণা চালান হয়েছে। নবীনদের র্যাগিংয়ে জড়িতদের বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামান।
তিনি বলেন, “আমরা র্যাগিং নিয়ে ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছি। তিনদিন ধরে আমরা র্যাগিং সচেতনায় মাইকিং করছি। এছাড়া বিভাগগুলোতে কাউন্সিলর নিয়োগ, সচেতনতামূলক আলোচনা সভা এবং পোস্টার লাগানো হবে। কোনো র্যাগিংয়ের ঘটনা ঘটলে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেব।”
ঢাকা/তানিম/মেহেদী