সাতক্ষীরায় কাউন্সিল ঘিরে বিএনপির সংঘর্ষে ৩ নেতা সাময়িক বহিষ্কার
Published: 12th, August 2025 GMT
কাউন্সিলর তালিকা নিয়ে বিরোধের জেরে সাতক্ষীরার শ্যামনগরে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় তিন নেতাকে দল থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। গতকাল সোমবার বিকেলে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক রহমতুল্লাহ ও সদস্যসচিব আবু জাহিদ স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এই তথ্য জানানো হয়।
বহিষ্কৃত তিনজন হলেন শ্যামনগর সদর ইউনিয়ন (বর্তমান পৌরসভা) যুবদলের সদস্যসচিব মোতালেব হোসেন খাঁ, পৌর বিএনপির সার্চ কমিটির সদস্য মফিজুর রহমান ও হায়বদপুর গ্রামের বিএনপি কর্মী সরতে বাবু। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন জেলা বিএনপির সদস্যসচিব আবু জাহিদ।
চিঠিতে বলা হয়েছে, ২৫ জুলাই বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশে জেলা বিএনপির উদ্যোগে গণতান্ত্রিক উপায়ে তৃণমূল কর্মীদের সরাসরি ভোটে শ্যামনগর পৌরসভার ওয়ার্ড নেতা নির্ধারণের কাউন্সিলে তিনজনের বিরুদ্ধে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ, ভোটে বাধা, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও সিদ্ধান্ত অমান্যের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। এ কারণে তাঁদের সাময়িক বহিষ্কার করা হলো।
২৭ জুলাই ওই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে শ্যামনগর উপজেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমানসহ ১৩ নেতা-কর্মীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় জেলা বিএনপি।
দলীয় সূত্র জানায়, ২৫ জুলাই বিকেলে শ্যামনগরের নকিপুর সরকারি হরিচরণ পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় চত্বরে কাউন্সিল চলাকালে তালিকা নিয়ে বিরোধে দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়। এতে পৌর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক শেখ লিয়াকত আলী, আনোয়ার-উস সাহাদাৎ, আশরাফ বাবু, সাদিকুল ইসলাম, নজরুল ইসলাম ও মহসীন কলেজ ছাত্রদলের সদস্য আশিক হোসেন আহত হন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব এনপ র স শ য মনগর ক উন স ল র সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
সীমান্তবর্তী মানুষের যেকোনো সংকটে বিজিবি পাশে থাকবে: মহাপরিচালক
বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী বলেছেন, বিজিবি হবে সীমান্তের আস্থা ও নিরাপত্তার প্রতীক। সীমান্তবর্তী মানুষের যেকোনো সংকটে বিজিবি পাশে থাকবে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার কৈখালী ইউনিয়নের এসআর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠে সুপেয় পানির প্রকল্পের উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
সুন্দরবনসংলগ্ন ভারতীয় সীমান্তবর্তী উপকূলীয় জনপদে নিরাপদ পানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে বিজিবি ৫৬ লাখ টাকা ব্যয়ে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে। প্রকল্পের আওতায় সৌরচালিত গভীর নলকূপ, পানি বিশুদ্ধকরণ ইউনিট ও সংরক্ষণ ট্যাংক স্থাপন করা হয়েছে।
বিজিবির মহাপরিচালক বলেন, ‘সীমান্ত সুরক্ষার পাশাপাশি বিজিবি মানবিক সহায়তার অংশ হিসেবে দুর্গম ও জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় কাজ করে যাচ্ছে। উপকূলীয় জনপদের বিশুদ্ধ পানির সংকট দূর করতে আমরা এই প্রকল্প হাতে নিয়েছি। জলবায়ু পরিবর্তন ও লবণাক্ততার কারণে উপকূলের মানুষ পানি সংকটের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। উপকূলীয় মানুষদের প্রধান সমস্যা সুপেয় খাবার পানি।’
পানির প্রকল্প উদ্বোধন শেষ শতাধিক দুস্থ অসহায় মানুষের মধ্যে খাদ্যসহায়তা দেওয়া হয়। এ ছাড়া শতাধিক মানুষকে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়।
এ সময় বিজিবির অতিরিক্ত মহাপরিচালক সৈয়দ নওফেল মাহমুদ, সোহরাব হোসেন ভূঁইয়া, শরীফুল ইসলাম, নীলডুমুর ব্যাটালিয়নের (১৭ বিজিবি) অধিনায়ক লে. কর্নেল শাহরিয়ার রাজীব, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম, শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. রনী খাতুন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।