ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র বিতরণ শুরু হয়েছে। মনোনয়নপত্রের ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০০ টাকা।
মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) সকাল ১০টা মনোনয়নপত্র বিতরণ শুরু হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে জানানো হয়, আজ থেকে শুরু হয়ে ১৮ আগস্ট পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করতে পারবেন প্রার্থীরা। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ১৯ আগস্ট বিকেল ৩টা।
আরো পড়ুন:
ডাকসু নির্বাচনে শিবিরের প্যানেলে ভিপি-জিএস প্রার্থী চূড়ান্ত
জবিতে র্যাগিংয়ের নামে ‘অমানবিক’ নির্যাতনের অভিযোগ
প্রার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনের তৃতীয় তলায় অবস্থিত চিফ রিটার্নিং কর্মকর্তার অফিস থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও দাখিল করতে পারবেন। একই সময়ে হল সংসদের মনোনয়নপত্র প্রার্থীকে সংশ্লিষ্ট হল রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কাছ থেকে সংগ্রহ ও দাখিল করতে হবে।
ডাকসু ও হল সংসদ আচরণ বিধিমালা-২০২৫ অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমাদানের সময় কোনো মিছিল বা শোভাযাত্রা করা যাবে না এবং পাঁচ জনের বেশি সমর্থক নিয়ে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ বা জমা দেওয়া যাবে না।
এদিকে, গতকাল রাতে ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। চূড়ান্ত ভোটার তালিকায় বাদ পড়েছেন ১৫৭ জন।
চূড়ান্ত ভোটার তালিকা অনুযায়ী এবারের ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে মোট ভোটার ৩৯ হাজার ৭৭৫ জন। এরমধ্যে ছাত্র ভোটার ২০ হাজার ৮৭৩ জন ও ছাত্রী ভোটার ১৮ হাজার ৯০২ জন।
এক বিজ্ঞপ্তিতে নির্বাচন কমিশন থেকে জানানো হয়েছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন ২০২৫-এর চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশের পরও তালিকায় বহিষ্কৃত ও মামলায় অভিযুক্ত কোনো শিক্ষার্থীর নাম অন্তর্ভুক্ত থাকলে উপযুক্ত তথ্য-প্রমাণ পাওয়া সাপেক্ষে তার নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হবে।
শতবর্ষী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এখন পর্যন্ত ৩৭ বার ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয়েছে। এর মধ্যে ২৯ বারই হয়েছে ব্রিটিশ ও পাকিস্তান আমলের ৫০ বছরে। স্বাধীন বাংলাদেশের ৫৩ বছরে নির্বাচন হয়েছে মাত্র মাত্র আটবার।
১৯৭৩ সালের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ অনুসারে, প্রতি বছর ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন হওয়ার কথা। ডাকসু মনোনীত পাঁচ শিক্ষার্থী প্রতিনিধি বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিনেটের সদস্য হন। তারা শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সমস্যা ও সুযোগের বিষয় তুলে ধরেন সিনেটে।
২০১৯ সালে সর্বশেষ ডাকসু নির্বাচন হয়েছিল।
ঢাকা/সৌরভ/ইভা
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
এভারকেয়ার হাসপাতালে বিশ্ব হার্ট দিবস ২০২৫ পালন
ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ‘বিশ্ব হার্ট ডে ২০২৫’ পালন করা হয়েছে। সম্প্রতি হাসপাতালের মিলনায়তনে ‘ডোন্ট মিস আ বিট’ প্রতিপাদ্যে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
আয়োজনের ‘পেশেন্ট ফোরাম’–এ রোগী ও তাঁদের স্বজনেরা উপস্থিত ছিলেন। হৃদ্রোগ বিশেষজ্ঞরা রোগীদের হৃদ্রোগবিষয়ক সমস্যা ও রোগসংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেন। এ সময় হৃদ্রোগ বিশেষজ্ঞরা বুকে ব্যথা, শ্বাসকষ্ট বা অনিয়মিত স্পন্দনের মতো উপসর্গ অবহেলা না করার পরামর্শ দেন। তাঁরা বলেন, নিয়মিত চেকআপের মাধ্যমে প্রাথমিক অবস্থায় রোগ শনাক্ত করা গেলে জীবন বাঁচানোর সম্ভাবনা অনেকাংশে বেড়ে যায়। দৈনন্দিন জীবনযাপনে ইতিবাচক পরিবর্তন, যেমন সুষম খাদ্য গ্রহণ, নিয়মিত শরীরচর্চা, স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট, ধূমপান বর্জন, পর্যাপ্ত ঘুম ইত্যাদির মাধ্যমে হার্ট সুস্থ রাখা সম্ভব বলে তাঁরা পরামর্শ দেন।
পেশেন্ট ফোরামে অংশ নেন হাসপাতালের ক্লিনিক্যাল অ্যান্ড ইন্টারভেনশনাল কার্ডিওলজি বিভাগের কো–অর্ডিনেটর ও সিনিয়র কনসালট্যান্ট এ কিউ এম রেজা, সিনিয়র কনসালট্যান্ট অধ্যাপক মো. শাহবুদ্দিন তালুকদার, সিনিয়র কনসালট্যান্ট শামস মুনওয়ার, সিনিয়র কনসালট্যান্ট আতিকুর রহমান, সিনিয়র কনসালট্যান্ট তামজীদ আহমেদ, এভারকেয়ার হসপিটালস, বাংলাদেশের (ঢাকা ও চট্টগ্রাম) ক্লিনিক্যাল ও ইন্টারভেনশনাল পেডিয়াট্রিক কার্ডিওলজি বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা সিনিয়র কনসালট্যান্ট ও কো–অর্ডিনেটর তাহেরা নাজরীন, হার্ট ফেইলিউর ও অ্যারিদমিয়া ইউনিটের সিনিয়র কনসালট্যান্ট অধ্যাপক এম আতাহার আলী, নন-ইনভেসিভ কার্ডিওলজি বিভাগের কনসালট্যান্ট নিঘাত ইসলাম, কার্ডিওথোরাসিক ও ভাসকুলার সার্জারির সিনিয়র কনসালট্যান্ট ও কো–অর্ডিনেটর মো. জুলফিকার হায়দার, সিনিয়র কনসালট্যান্ট সোহেল আহমেদ এবং কার্ডিওথোরাসিক অ্যানেস্থেসিয়ার সিনিয়র কনসালট্যান্ট ও কো–অর্ডিনেটর নিয়াজ আহমেদ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন এভারকেয়ার হসপিটালস বাংলাদেশের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও রত্নদীপ চাস্কার এবং গ্রুপ মেডিকেল ডিরেক্টর আরিফ মাহমুদ।
এ সময় মা ও শিশুর হার্টের যত্ন নিয়েও সচেতনতা বৃদ্ধির আহ্বান জানানো হয়। জন্মগত হৃদ্রোগ প্রতিরোধে গর্ভধারণের তিন মাস আগে এমএমআর টিকা, ডায়াবেটিস মেলাইটাস নিয়ন্ত্রণ, উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ এবং গর্ভাবস্থায় টেরাটোজেনিক ওষুধ পরিহারের মাধ্যমে প্রতিরোধ করার পরামর্শ দেওয়া হয়।