এশিয়া কাপের আগে বাংলাদেশের বিপক্ষে সাদা বলের সিরিজ খেলার কথা থাকলেও সেটি পিছিয়ে গেছে আগামী বছরে। ফলে টুর্নামেন্টের আগে আর কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ পাচ্ছে না ভারত। কিন্তু ম্যাচ না খেলেও নির্বাচকদের মাথাব্যথা কম নয়। বিশেষ করে ওপেনিং পজিশন নিয়ে চলছে ‘মধুর সমস্যা’।

শুভমান গিল ইংল্যান্ডে টেস্ট সিরিজে দারুণ নেতৃত্ব দিয়ে ফিরেছেন। তবে প্রায় এক বছর ধরে টি–টোয়েন্টি দলে নেই। এবারও তার সুযোগ পাওয়া অনিশ্চিত। একই অবস্থা আইপিএলে ঝলক দেখানো যশস্বী জয়সওয়াল ও লোকেশ রাহুলের ক্ষেত্রেও। অজিত আগারকারের নেতৃত্বাধীন নির্বাচক কমিটি ২০ আগস্টের মধ্যে চূড়ান্ত দল ঘোষণা করবে। তবে তার আগে খেলোয়াড়দের ফিটনেস রিপোর্ট হাতে আসা জরুরি।

গত এক বছরে অভিষেক শর্মা ও সঞ্জু স্যামসনের ওপর ভরসা করেছে ভারত। অভিষেক বর্তমানে বিশ্বের এক নম্বর টি–টোয়েন্টি ব্যাটার, আর স্যামসন গত বছর ব্যাট ও গ্লাভস দুদিকেই উজ্জ্বল ছিলেন। বিসিসিআইয়ের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, “টপ অর্ডারে এত পারফরমার থাকায় কাকে বাদ দেওয়া হবে, সেটাই এখন সবচেয়ে কঠিন সিদ্ধান্ত।”

আরো পড়ুন:

এফবিসিসিআইয়ের নির্বাচন পেছাল

এশিয়া কাপ থেকে সরে দাঁড়ানোর বিষয়টিকে ‘গুজব’ বলল বিসিসিআই

সহ–অধিনায়ক নিয়েও রয়েছে অনিশ্চয়তা। অক্ষর প্যাটেল ও জাসপ্রিত বুমরাহ এগিয়ে আছেন সেই দৌড়ে। যেহেতু ভারতের সব ম্যাচ দুবাইয়ে। তাই স্পিনারদের প্রাধান্য বেশি হতে পারে। অক্ষরের সঙ্গে দেখা যেতে পারে বরুণ চক্রবর্তী, কুলদীপ যাদব ও ওয়াশিংটন সুন্দরকে। পেস আক্রমণে বুমরাহর সঙ্গী হতে পারেন অর্শদ্বীপ সিং, হরশিত রানা বা প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা। অধিনায়কত্বের দায়িত্ব থাকবে সূর্যকুমার যাদবের কাঁধে।

১০ সেপ্টেম্বর আরব আমিরাতের বিপক্ষে এশিয়া কাপ অভিযান শুরু করবে ভারত। ১৪ সেপ্টেম্বর পাকিস্তানের বিপক্ষে মহারণ। এরপর ১৯ সেপ্টেম্বর ওমানের মুখোমুখি হবে তারা।

ঢাকা/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব স স আই

এছাড়াও পড়ুন:

বন্দরে শ্বশুড় বাড়ির সন্ত্রাসী হামলায় মা ও ছেলে জখম  

বন্দরে পারিবারিক কলহের জের ধরে প্রতিপক্ষ শ^শুর বাড়ির সন্ত্রাসী হামলায় মা ও ছেলে রক্তাক্ত জখম হয়েছে। ওই সময় হামলাকারিরা বসত ঘরে অনাধিকার ভাবে প্রবেশ করে ঘরের ওয়ারড্রপে রক্ষিত নগদ ২ লাখ টাকা ও আড়াই ভরি স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায়।

 সন্ত্রাসী হামলায় আহতরা হলো- মা সেলিনা বেগম (৫৫) ও ছেলে সেলিম (৩০)। স্থানীয়রা আহতদের রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে বন্দর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে  কর্তব্যরত চিকিৎসক সেলিমকে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করে সে সাথে তার মা আহত সেলিনা বেগমকে উন্নত চিকিৎসার জন্য  ঢামেক হাসপাতালে রেফার্ড করে।

এ ব্যাপারে আহত জামাতা সেলিম মিয়া বাদী হয়ে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার রাতেই হামলাকারি শশুড়  নান্টু মোল্লা ও তার ৩ সন্ত্রাসী ছেলে জুয়েল, মেহেদী, সোহাগ, স্ত্রী নিশী, শাশুড়ী পাখী, তন্নী ও মহনাকে আসামী করে বন্দর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।

এর আগে গত রোববার (১০ আগস্ট) সন্ধ্যা ৬টায় বন্দর থানার সোনাকান্দা এনায়েতনগরস্থ জালাল মিয়ার বসত বাড়ি সামনে এ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনাটি ঘটে। এ ব্যাপারে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

জানা গেছে, গত রোববার সন্ধ্যা পারিবারিক কলহের জের ধরে বিবাদী শশুড়  নান্টু মোল্লা ও তার ৩ সন্ত্রাসী ছেলে জুয়েল, মেহেদী, সোহাগ, স্ত্রী নিশী, শাশুড়ী পাখী, তন্নী ও মহনাগং দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে জামাতা সেলিমের বাড়িতে অতর্কিত হামলা চালায়।

ওই সময় হামলাকারি মেহেদী সেলিমের গালের বাম পাশে সজোরে কামড় মেরে রক্তাক্ত জখম করে। এ ছাড়াও শশুড় নান্টু মোল্লা, জুয়েল, সোহাগ, ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্য সেলিনা বেগমের মাথায়  এলোপাতাড়ি ভাবে কুপিয়ে জখম করে

এ ছাড়াও অন্যান্য বিবাদী নিশী,তন্নী, মহনা লাঠিসোটা দিয়ে পিটিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলাফুলা জখম করে উল্লেখিত টাকা ও স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নেয়। 
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ