জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেছেন,“ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে না। সে সময় নির্বাচন হলে-যারা শহীদ হয়ে কবরে আছেন, তাদের জীবন ফিরিয়ে দিতে হবে। আর যে ভাইটি হাত হারিয়েছে, তার হাত ফিরিয়ে দিতে হবে।”

মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর খামার বাড়িতে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে এনসিপির যুব উইং জাতীয় যুবশক্তির সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

পাটওয়ারী বলেন, “আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি ছাড় পাবে না। জাতীয় পার্টি ফ্যাসিবাদকে প্রতিষ্ঠা করতে চায়। দেশবিরোধী কিছু করতে হলে আমাদের লাশের ওপর দিয়ে করতে হবে।”

আরো পড়ুন:

গাজীপুরে সারজিসের বিরুদ্ধে বিএনপি নেতার মামলা 

ফরিদপুরে এনসিপি নেতার পদত্যাগ

তিনি অভিযোগ করে বলেন, “বর্তমানে কিছু নেতা টাকার কাছে বিক্রি হচ্ছে। গণমাধ্যমের সম্পাদকরা দালালি করছেন। আগে ছিল হাসিনা মাধ্যম। এখন কী মাধ্যম তা বলার অপেক্ষা রাখে না।”

এনসিপির এই নেতা বলেন, “সামনে কোনো আয়নাঘর করলে ডিজিএফআইয়ের হেডকোয়ার্টার ভেঙে ফেলব। দেশে দালাল ব্যবসায়ী তৈরি হয়েছে। শেখ হাসিনাকে ধরে এনে বিচার করতে হবে। জুলাই সনদ আমাদের সন্তানের জন্য ভালো হবে।”

ঢাকা/এসবি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর জ ত য় ন গর ক প র ট এনস প

এছাড়াও পড়ুন:

বন্দরে শ্বশুড় বাড়ির সন্ত্রাসী হামলায় মা ও ছেলে জখম  

বন্দরে পারিবারিক কলহের জের ধরে প্রতিপক্ষ শ^শুর বাড়ির সন্ত্রাসী হামলায় মা ও ছেলে রক্তাক্ত জখম হয়েছে। ওই সময় হামলাকারিরা বসত ঘরে অনাধিকার ভাবে প্রবেশ করে ঘরের ওয়ারড্রপে রক্ষিত নগদ ২ লাখ টাকা ও আড়াই ভরি স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায়।

 সন্ত্রাসী হামলায় আহতরা হলো- মা সেলিনা বেগম (৫৫) ও ছেলে সেলিম (৩০)। স্থানীয়রা আহতদের রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে বন্দর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে  কর্তব্যরত চিকিৎসক সেলিমকে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করে সে সাথে তার মা আহত সেলিনা বেগমকে উন্নত চিকিৎসার জন্য  ঢামেক হাসপাতালে রেফার্ড করে।

এ ব্যাপারে আহত জামাতা সেলিম মিয়া বাদী হয়ে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার রাতেই হামলাকারি শশুড়  নান্টু মোল্লা ও তার ৩ সন্ত্রাসী ছেলে জুয়েল, মেহেদী, সোহাগ, স্ত্রী নিশী, শাশুড়ী পাখী, তন্নী ও মহনাকে আসামী করে বন্দর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।

এর আগে গত রোববার (১০ আগস্ট) সন্ধ্যা ৬টায় বন্দর থানার সোনাকান্দা এনায়েতনগরস্থ জালাল মিয়ার বসত বাড়ি সামনে এ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনাটি ঘটে। এ ব্যাপারে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

জানা গেছে, গত রোববার সন্ধ্যা পারিবারিক কলহের জের ধরে বিবাদী শশুড়  নান্টু মোল্লা ও তার ৩ সন্ত্রাসী ছেলে জুয়েল, মেহেদী, সোহাগ, স্ত্রী নিশী, শাশুড়ী পাখী, তন্নী ও মহনাগং দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে জামাতা সেলিমের বাড়িতে অতর্কিত হামলা চালায়।

ওই সময় হামলাকারি মেহেদী সেলিমের গালের বাম পাশে সজোরে কামড় মেরে রক্তাক্ত জখম করে। এ ছাড়াও শশুড় নান্টু মোল্লা, জুয়েল, সোহাগ, ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্য সেলিনা বেগমের মাথায়  এলোপাতাড়ি ভাবে কুপিয়ে জখম করে

এ ছাড়াও অন্যান্য বিবাদী নিশী,তন্নী, মহনা লাঠিসোটা দিয়ে পিটিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলাফুলা জখম করে উল্লেখিত টাকা ও স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নেয়। 
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ