কবর ভেঙে ফেলার আহ্বান ইসরায়েলি মন্ত্রীর
Published: 12th, August 2025 GMT
ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলনের নেতা ইজ্জ আল-দিন আল-কাসসামের কবর ভেঙে ফেলার আহ্বান জানিয়েছেন ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রী ইতামার বেন-গভির। মঙ্গলবার নেসেট অভ্যন্তরীণ কমিটির শুনানিতে বক্তৃতাকালে তিনি এ আহ্বান জানিয়েছেন।
ইজ্জ আল-দিন আল-কাসসাম হাইফায় একজন বিশিষ্ট ধর্মপ্রচারক এবং ব্রিটিশ শাসন ও ইহুদিবাদী জমি অধিগ্রহণের বিরুদ্ধে সশস্ত্র প্রতিরোধের সংগঠক হওয়ার আগে ফরাসি ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন। ১৯৩৫ সালে জেনিনের কাছে ব্রিটিশ বাহিনীর হাতে তিনি নিহত হন এবং উপনিবেশবিরোধী সংগ্রামের প্রতীক হয়ে ওঠেন। হামাস তার সম্মানে তার সামরিক শাখার নামকরণ করে ইজ্জ আল-দিন আল-কাসসাম ব্রিগেড।
বেন-গভির আল-কাসসামকে ‘একজন বড় অপরাধী ও সন্ত্রাসবাদের প্রতীক’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন এবং হাইফার কাছে নেশের পৌরসভায় তার কবর ভাঙার আদেশ ‘দ্রুত’ বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছেন।
ইসরায়েলের এই চরমপন্থী মন্ত্রী বলেছেন, “সমস্যাটি স্পষ্ট, এটি শহরের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করে এবং এর ক্ষতি করে। আমাদের এই অপমান দূর করতে হবে, শহরের নিরাপত্তা ও সমৃদ্ধিতে অবদান রাখতে হবে এবং একটি স্পষ্ট বার্তা পাঠাতে হবে: সন্ত্রাসী, খুনি ও প্রধান নাশকতাকারীরা, তাদের মৃত্যুর পরেও শান্তি উপভোগ করতে পারবে না।”
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ফিলিপাইনে ৬ দশমিক ৯ তীব্রতার ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬৯
ফিলিপাইনের মধ্যাঞ্চলে ৬ দশমিক ৯ তীব্রতার শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহত হওয়ার সংখ্যা বেড়ে ৬৯ জন হয়েছে। দেশটির দুর্যোগ-সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা আজ বুধবার এ খবর জানান। বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা ও পানি-বিদ্যুতের সংযোগ আবার চালু করার চেষ্টা করছে ফিলিপাইন সরকার।
দেশটির সিভিল ডিফেন্স কর্মকর্তা রাফি আলেজান্দ্রো সাংবাদিকদের বলেন, স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার রাত ১০টার আগে সেবু প্রদেশের উত্তরে বোগো শহরের কাছে ভূমিকম্পটির উৎপত্তি হয়। স্থানীয় হাসপাতালগুলো আহত মানুষের ভিড়ে রীতিমতো উপচে পড়ছে।
আঞ্চলিক সিভিল ডিফেন্স দপ্তরের তথ্য কর্মকর্তা জেন আবাপো বলেন, সেবুর প্রাদেশিক দুর্যোগ দপ্তরের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ভূমিকম্পে নিহত হওয়ার সংখ্যা এখন পর্যন্ত ৬৯ জন। অন্য একজন কর্মকর্তা জানান, আহত হয়েছেন ১৫০ জনের বেশি।
দেশটির প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের দ্রুত সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি জানান, মন্ত্রিপরিষদ সচিবেরা ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। প্রিয়জন হারানো ব্যক্তিদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন তিনি।
সেবু ফিলিপাইনের জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্যগুলোর একটি। সেখানে প্রায় ৩৪ লাখ মানুষের বসবাস। ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও ম্যাকতান-সেবু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্যক্রম চালু রয়েছে। এটা ফিলিপাইনের দ্বিতীয় ব্যস্ততম বিমানবন্দর।
ভূমিকম্পে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সান রেমিগিও শহরটিও। উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রমে সহায়তার জন্য এ শহরে ‘দুর্যোগপূর্ণ অবস্থা’ ঘোষণা করা হয়েছে। শহরের ভাইস মেয়র আলফি রেইনেস বলেন, উদ্ধারকর্মীদের জন্য খাবার ও পানি, সেই সঙ্গে ভারী সরঞ্জাম প্রয়োজন।
স্থানীয় ডিজেডএমএম রেডিওকে আলফি রেইনেস বলেন, ‘ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। বিদ্যুৎ নেই। আমাদের সত্যিই সহায়তা দরকার। বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলে পানির তীব্র সংকট রয়েছে। ভূমিকম্পে সেখানে সরবরাহ লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’
আরও পড়ুনফিলিপাইনে শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহত অন্তত ২৬, চলছে উদ্ধারকাজ৫ ঘণ্টা আগে