ভোট পর্যবেক্ষণ করতে ৩১৮ সংস্থার আবেদন
Published: 13th, August 2025 GMT
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে নিবন্ধনের জন্য ৩১৮টি পর্যবেক্ষক সংস্থা নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আবেদন করেছে।
মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) ইসির জনসংযোগ শাখার কর্মকর্তা মো. আশাদুল হক গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, “ভোট পর্যবেক্ষণ করতে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পর্যবেক্ষণ সংস্থা হিসেবে ইসির নিবন্ধন পেতে ৩১৮টি সংস্থা আবেদন করেছে। নির্ধারিত সময়ের পর ১৩টি আবেদন এসেছে।”
আরো পড়ুন:
পুরো আসনের ফল বাতিল করতে পারবে ইসি, ফিরছে ‘না’ ভোট
হারল পাকিস্তান, র্যাংকিংয়ে অবনমন বাংলাদেশের!
গত ২৭ জুলাই পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধন আবেদন আহ্বান করে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে ইসি। এক্ষেত্রে আইন অনুযায়ী আবেদন জমা দেওয়ার জন্য ১৫ দিন সময় দেওয়া হয়েছিল, যা গত রবিবার (১০ আগস্ট) শেষ হয়েছে।
গত ১৭ জুলাই দেশীয় পর্যবেক্ষক নীতিমালা-২০২৫ জারি করা হয়। বাতিল করা হয় ২০২৩ সালের নীতিমালা। পাশাপাশি ওই সময়ের সংস্থাগুলোর নিবন্ধনও বাতিল হয়েছে।
জানা যায়, ২০০৮ সাল থেকে ভোট পর্যবেক্ষণের জন্য পর্যবেক্ষক নিবন্ধন দিচ্ছে ইসি। সে সময় ১৩৮টি সংস্থা নিবন্ধন পেয়েছিল। ২০১৮ সালে ১১৮টি সংস্থাকে নিবন্ধন দেয় ইসি। ২০২৩ সালে ৯৬টি পর্যবেক্ষক সংস্থাকে নিবন্ধন দেওয়া হয়।
প্রতি সংসদ নির্বাচনের আগে নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য দেশীয় সংস্থাগুলোকে নিবন্ধন নেওয়ার জন্য আহ্বান জানায় নির্বাচন কমিশন। এক্ষেত্রে নিবন্ধন পেয়ে সংস্থাগুলো পরবর্তী পাঁচ বছর স্থানীয় নির্বাচনও পর্যবেক্ষণ করতে পারে।
গত সংসদ নির্বাচনে দেশীয় বিভিন্ন সংস্থার ২০ হাজার ৭৭৩ জন নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে আবেদন করেন। ইসি কেন্দ্রীয়ভাবে ৪০টি পর্যবেক্ষক সংস্থার ৫১৭ জন এবং স্থানীয়ভাবে ৮৪টি পর্যবেক্ষণ সংস্থার ২০ হাজার ২৫৬ জনকে ভোট পর্যবেক্ষণের অনুমোদন দিয়েছিল।
২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ওআইসি ও কমনওয়েলথ থেকে ৩৮ জন, বিভিন্ন মিশনের ৬৪ জন এবং বাংলাদেশস্থ বিভিন্ন দূতাবাসে বা হাইকমিশনে কর্মরত বাংলাদেশি ৬১ জনসহ মোট ১৬৩ জন পর্যবেক্ষক ভোট পর্যবেক্ষণ করেন।
২০০৮ সাল থেকে ভোট পর্যবেক্ষণের জন্য পর্যবেক্ষক নিবন্ধন দিচ্ছে ইসি। সে সময় ১৩৮টি সংস্থা নিবন্ধন পেয়েছিল। আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য নতুন নীতিমালার আলোকে নিবন্ধন দেবে সাংবিধানিক সংস্থাটি।
ঢাকা/হাসান/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যের বাসভবনের ফটকে তালা দিলেন ছাত্রদলের সাবেক নেতা
হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উর্দু বিভাগের শিক্ষক নিয়োগপ্রক্রিয়া শুরু করার অভিযোগ তুলে উপাচার্যের বাসভবনের ফটকে তালা দিয়েছেন ছাত্রদলের সাবেক এক নেতা। গতকাল সোমবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আধা ঘণ্টা পর সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল দলের সদস্যরা গেটের তালা খুলে দেন।
বাসভবনে তালা দিয়েছেন বুলবুল রহমান। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও উর্দু বিভাগের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
বুলবুল রহমানের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন হাইকোর্টের আদেশ অমান্য করে ২০২৫ সালের নতুন সার্কুলারে উর্দু বিভাগে ৩ জন নিয়োগের কথা উল্লেখ করে ৬ জনকে নিয়োগ দেওয়ার কার্যক্রম চলমান রেখেছে। সোমবার সিন্ডিকেট সভায় সেই নতুন নিয়োগকে অনুমোদন দেওয়া হবে। এর পরিপ্রেক্ষিতে তিনি উপাচার্য ভবনের ফটকে তালা দিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
ছাত্রদল নেতা বুলবুল রহমান বলেন, ‘উর্দু বিভাগের শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তিতে তিনজনের কথা বলা হলেও লিখিত পরীক্ষায় ছয়জনকে উত্তীর্ণ করে সাক্ষাৎকারের জন্য ডাকা হয়েছে। ২০২৩ সালের বিজ্ঞপ্তিটিই ২০২৫ সালে পুনরায় প্রকাশ করা হয়েছে এবং বিভাগে কোনো পদ শূন্য নেই। এ বিষয়ে উপাচার্যের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছিলাম। তিনি বিষয়টিকে গোপনীয় বলে এড়িয়ে যান। এর প্রতিবাদেই উপাচার্যের বাসভবনে তালা দিয়েছি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সহ–উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান বলেন, ২০২৩ এবং ২০২৫ সালের পৃথক দুটি বিজ্ঞপ্তির ভিত্তিতে ছয়জনকে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আদালতের নির্দেশনা অক্ষরে অক্ষরে মেনেই নিয়োগপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে। উপাচার্য বাসভবনে সোমবার সিন্ডিকেট সভা বসবে। সেখানে বেশ কিছু বিভাগের শিক্ষক নিয়োগের অনুমোদন দেওয়া হবে। সেই সভাকে বাধা দেওয়ার জন্য তিনি (বুলবুল রহমান) উপাচার্যের বাসভবনে তালা মেরেছেন। একজন সাবেক শিক্ষার্থী হিসেবে তাঁর এ ধরনের কাজ করা মোটেও সমীচীন হয়নি।’
উল্লেখ্য, গতকাল সোমবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনে সিন্ডিকেট সভা শুরু হয়। কয়েকটি বিভাগের শিক্ষক নিয়োগ চূড়ান্তভাবে অনুমোদন দেওয়ার কথা রয়েছে।