গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের সাবেক নেতা মো. রায়হান হাবীব ইয়েনকে পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক করার ঘটনায় টুঙ্গিপাড়ার রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা ও সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।

মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন নাসির স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

রায়হান হাবীব ইয়েন ২০১৯ সালে টুঙ্গিপাড়া পৌর ছাত্রলীগের নুরুল-নাজমুল কমিটির উপ-ত্রাণ ও দুর্যোগ বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। ওই সময়ের আওয়ামী লীগের বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার ছবি এবং পদে থাকার প্যাডের কপি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

আরো পড়ুন:

টাঙ্গাইলে জুয়ার আসর থেকে গ্রেপ্তার বিএনপি নেতাসহ ৩৪ জনের জামিন

টাঙ্গাইলে জুয়ার আসর থেকে বিএনপি নেতাসহ আটক ৩৫

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ছাত্রলীগ নেতা বলেন, ‘‘রায়হান হাবীব ইয়েন ছাত্রলীগের নিবেদিত প্রাণ ছিলেন এবং বিভিন্ন সময় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার টুঙ্গিপাড়া আগমনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন। নিজ উদ্যোগে তোরণ, ফেস্টুন ও ব্যানার বানাতেন। তার এভাবে দল পরিবর্তনের কারণ জানা নেই।’’

গোপালগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মো.

মিকাইল হোসেন বলেন, ‘‘ইয়েনের ছাত্রলীগে থাকার কিছু পোস্টার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখেছি। এ কমিটি অনুমোদন কেন্দ্রীয়ভাবে হয়েছে। জেলা ছাত্রদল এ বিষয়ে অবগত ছিল না।’’

তিনি আরো বলেন, ‘‘বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশ আছে, যারা দলের প্রতি নিবেদিত এবং দুঃসময়ে ছাত্রদলের রাজনীতি করেছে তাদের মূল্যায়ন করতে হবে। ছাত্রলীগ থেকে আসা কোনো অনুপ্রবেশকারীকে দলে স্থান দেওয়া হবে না।’’

এ বিষয়ে জানতে রায়হান হাবীব ইয়েনের মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সম্ভব হয়নি।

ঢাকা/বাদল/রাজীব

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ ছ ত রদল র

এছাড়াও পড়ুন:

লিখিত পরীক্ষায় প্রতারণা, মৌখিক পরীক্ষায় এসে ধরা, ৮ জনকে কারাদণ্ড

কারারক্ষী নিয়োগ পরীক্ষায় প্রতারণার আশ্রয় নেওয়ায় ৮ জনের ১০ মাস করে কারাদণ্ড হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সাক্ষাৎকার দিতে আসার পর তাঁরা ধরা পড়েন। বিষয়টি আজ বুধবার কারা কর্তৃপক্ষ সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছে।

কারা কর্তৃপক্ষ জানায়, গতকাল মঙ্গলবার সাক্ষাৎকারের সময় জানা যায় ৮ জন প্রার্থী লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেননি। তাঁদের নাম করে অন্যরা লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেন। কিন্তু প্রকৃত প্রার্থীরা সাক্ষাৎকার দিতে এলে বিষয়টি ধরা পড়ে। লিখিত পরীক্ষার সময় কারা কর্তৃপক্ষ সব চাকরিপ্রার্থীর ছবি তুলে সংরক্ষণ করে রাখে। সাক্ষাৎকার নেওয়ার সময় সেই ছবি মিলিয়ে দেখা হয়। এভাবে জালিয়াতির বিষয়টি ধরা পড়ে।

কারা কর্তৃপক্ষ আরও জানিয়েছে, জালিয়াতিতে যুক্ত ৮ জন প্রার্থীকে শনাক্ত করার পর বিষয়টি চকবাজার থানা-পুলিশকে জানানো হয়। থানা কর্তৃপক্ষ তাঁদের আটক করে স্পেশাল মেট্রোপলিটন আদালত লালবাগে উপস্থিত করলে বিচারক তাঁদের কারাদণ্ড দেন।

আসামিদের জবানবন্দি থেকে দালাল চক্রের সঙ্গে জড়িত অনেক ব্যক্তির নাম পাওয়া গেছে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। তাঁদের ভাষ্য, চক্রের সদস্যরা নিয়োগপ্রার্থীদের বাবা, মা, ভাই বা নিকট আত্মীয়দের সঙ্গে ৫ থেকে ২০ লাখ টাকা পর্যন্ত চুক্তি করেন। কেউ কেউ সন্তানের পক্ষে অলিখিত স্টাম্পে স্বাক্ষর দিয়ে এবং ব্ল্যাঙ্ক চেক দালালদের কাছে জমা দিয়ে চুক্তি করেছেন। ঘটনার সঙ্গে জড়িত প্রকৃত দালালদের বিরুদ্ধে তদন্ত ও আইনগত ব্যবস্থা নিতে আদালত চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে একটি এজাহার দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ