খুলনা আইনজীবী সমিতির ২৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ হয়েছে: অডিট
Published: 14th, August 2025 GMT
বিগত পাঁচ বছরে খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতির প্রায় ২৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ হয়েছে বলে অডিট রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। এ অনিয়ম ও টাকা আত্মসাতের সাথে জড়িত সমিতির তৎকালীন সভাপতি ও খুলনা সদর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. সাইফুল ইসলামসহ ওই আমলে সমিতির নেতৃত্বে থাকা আইনজী বীদের বিরুদ্ধে মানিস্যুট মামলার সিদ্ধান্ত হয়েছে সমিতির বিশেষ সাধারণ সভায়।
বুধবার (১৩ আগস্ট) দুপুরে খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত বিশেষ সাধারণ সভায় এ অডিট রিপোর্ট উপস্থাপন করেন সমিতির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট নূরুল হাসান রুবা।
সভায় সমিতির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ হোসেন বাচ্চু উক্ত টাকা আত্মসাতকারীদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া যায়- তা জানতে চাইলে সাধারণ সদস্যরা সকলেই মামলার ব্যাপারে সম্মতি দেন। এসময় সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুল মালেকের প্রস্তাবে সিনিয়র সিভিল আইনজীবীদের দিয়ে ১১ সদস্যের প্যানেল করে মামলার আরজি লেখার সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত হয়।
এসময় জেলা পিপি অ্যাডভোকেট তৌহিদুর রহমান তুষার, আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট মাসুদ হোসেন রনিসহ অনেক সিনিয়র আইনজীবী ও সমিতির সাবেক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সভা চলাকালে অর্থ আত্মসাতের ধরন দেখে অনেকেই বিষ্মিত হন। সমিতির নামে ভুয়া ব্যাংক অ্যাকাউন্ট করেও কোটি কোটি টাকার লেনদেন যেমন করা হয়েছে- তেমনি ভুয়া ভাউচারের মাধ্যমে অসামঞ্জস্য লেনদেন এমনকি কারণ ও যৌক্তিক সিদ্ধান্ত ছাড়াই নামে বেনামে টাকা আত্মসাতের চিত্র ফুটে ওঠে সভায়।
আবার ব্যাংক হিসাব থেকে ৫ আগস্টের সরকার পরিবর্তনের দিন এবং পরদিনও (৬ আগস্ট) টাকা উত্তোলনের প্রমাণ মেলে। ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৬ আগস্ট পর্যন্ত অডিটে এমন তথ্যও সাধারণ সভায় অডিটের বিস্তারিত প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়।
অডিটে ২৬ ধরনের অনিয়ম ধরা পড়ে। ৭৮ পৃষ্ঠার অডিট প্রতিবেদনে ২৬ দফা অনিয়মের বিস্তারিত তুলে ধরে বলা হয়, গঠনতন্ত্র লঙ্ঘন, ভুয়া বিল, অনুমোদনবিহীন বিনিয়োগ এবং ব্যক্তিগত ঋণের নামে সমিতির তহবিল থেকে মোট ২৪ কোটি ৭৩ লাখ ৯৮ হাজার ৭২৯ টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে।
অডিট প্রতিবেদনে যেসব অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রমাণ মিলেছে, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- এফডিআর ও ডিপিএস বিনিয়োগে অনিয়ম, নির্বাহী পরিষদের অনুমোদন ছাড়া একাধিক এফডিআর ভেঙে নগদ উত্তোলন এবং নতুন এফডিআর খোলা হয়েছে। যার কোনোটির নথি নেই।
কয়েকজন সাধারণ সদস্য ও কর্মকর্তা ব্যক্তিগত কাজে কয়েক লাখ টাকা ঋণ নিয়েছেন। কিন্তু ফেরতের কোনো প্রমাণ নেই। অফিস রক্ষণাবেক্ষণের নামেও অর্থ আত্মসাতের চিত্র তুলে ধরে বলা হয়- সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, সাংগঠনিক কার্যক্রম ও নির্মাণকাজের জন্য ভুয়া বিল তৈরি এবং বাজার দরের তুলনায় অতিরিক্ত অর্থ প্রদানের প্রমাণ মিলেছে। গঠনতন্ত্রবিরোধী ব্যয়ও হয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। নির্বাহী পরিষদের সিদ্ধান্ত ছাড়াই নগদ উত্তোলন ও খরচ, এমনকি কিছু ক্ষেত্রে কোনো নথি পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।
ব্যালেন্স শিটে প্রদর্শিত নগদ অর্থ ও ব্যাংক স্টেটমেন্টের হিসাব মেলেনি। আর্থিক রেজিস্টার, বিল ভাউচার ও চেক কাউন্টারফয়েল অডিট টিমকে সরবরাহ করা হয়নি। প্রাথমিক হিসাবে অনিয়মের আর্থিক পরিমাণ ২৪ কোটি ৭৩ লাখ ৯৮ হাজার ৭২৯ টাকা হলেও অডিট টিম জানিয়েছে, লুকানো বা অসম্পূর্ণ নথি পরীক্ষা করলে প্রকৃত ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে।
প্রতিবেদনে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও আইনগত তদন্ত শুরুর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ভবিষ্যতে তহবিল ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে নিয়মিত বাৎসরিক অডিট অনলাইন অ্যাকাউন্টিং সিস্টেম চালু, আর্থিক লেনদেন সদস্যদের জন্য উন্মুক্ত করার সুপারিশ করা হয়েছে। তবে অডিট প্রতিবেদনের এমন চিত্র সাধারণ সভার মাধ্যমে উপস্থাপন করা হলেও অভিযুক্তদের কারও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
চব্বিশের ৫ আগস্টের পর অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলামসহ তৎকালীন কেবিনেটের অনেকেই গা ঢাকা দিলেও ৬ আগস্ট ব্যাংক লেনদেন কীভাবে হয়েছে সেটি নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। অধিকাংশ ব্যাংক হিসাবে দেখা যায়, সরকার পরিবর্তনের সাথে সাথেই টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতি দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অন্যতম প্রভাবশালী আইনজীবী সংগঠন। যেখানে সদস্য সংখ্যা এক হাজার ২০০ জনেরও বেশি এবং বার্ষিক লেনদেন কয়েক কোটি টাকা ছাড়ায়। তহবিল ব্যবহৃত হয় সাংগঠনিক কার্যক্রম, সদস্য কল্যাণ, অবকাঠামো উন্নয়ন ও আইন সহায়তা তহবিলের জন্য।
অডিট প্রতিবেদন প্রকাশের পর খুলনার আইনজীবী মহলে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। জ্যেষ্ঠ আইনজীবীরা বলছেন, এ ঘটনায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার জন্য বৃহত্তর আন্দোলনের প্রস্তুতি চলছে।
ঢাকা/নুরুজ্জামান/এস
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আইনজ ব র জন য ল নদ ন উল ল খ তহব ল আগস ট উপস থ সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
পুলিশের অভ্যন্তরীণ তত্ত্বাবধান ও জবাবদিহি ভেঙে পড়েছিল: হাইকোর্ট
এক দশকের বেশি সময় আগে পল্লবীতে পুলিশি হেফাজতে থাকা অবস্থায় নির্যাতনে গাড়িচালক ইশতিয়াক হোসেন ওরফে জনির মৃত্যু হয়। তাঁকে আটক, থানাহাজতের পরিবর্তে দ্বিতীয় তলায় নিয়ে রাখা এবং আটকে রেখে নির্যাতন সম্পূর্ণ বেআইনি। নির্দিষ্ট এ ঘটনার ক্ষেত্রে পুলিশের অভ্যন্তরীণ তত্ত্বাবধান, তদারকি ও জবাবদিহি পুরোপুরি ভেঙে পড়েছিল। নিরপরাধ একজন যুবকের মূল্যবান জীবন ও অন্যদের নির্যাতন থেকে সুরক্ষায় পুলিশ বিভাগ নৈতিক দায় এড়াতে পারে না বলে রায়ে পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান ও বিচারপতি এ কে এম রবিউল হাসানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ সোমবার এ রায় দেন। হেফাজতে থাকা অবস্থায় নির্যাতনে জনির মৃত্যুতে করা মামলায় তিন আসামির আপিলের ওপর শুনানি শেষে আজ দ্বিতীয় দিনে রায় ঘোষণা শেষ করেন আদালত।
ঘটনা, পারিপার্শ্বিকতা ও সাক্ষ্য পর্যালোচনা করে আদালত বলেন, নিরপরাধ যুবকের মূল্যবান জীবন ও অন্যদের নির্যাতন থেকে সুরক্ষায় পুলিশ বিভাগ তাদের নৈতিক দায় এড়াতে পারে না। যেখানে জনিসহ চারজনকে হেফাজতে নিয়ে অমানবিক নির্যাতন করা হয়। পুলিশ বিভাগ বা সরকার ভুক্তভোগীর (জনি) বিধবা মা, বিধবা স্ত্রী এবং দুই সন্তানের পুনর্বাসনের জন্য এগিয়ে আসতে পারে।
২০১৩ সালে নির্যাতন এবং হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইন প্রণয়ন করা হয়। জনিকে নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যুর ঘটনায় ২০১৪ সালের ৭ আগস্ট মামলা করা হয়। এটা ওই আইনে করা প্রথম কোনো মামলা। এ মামলায় ২০২০ সালের ৯ সেপ্টেম্বর রায় দেন ঢাকার মহানগর দায়রা জজ।
বিচারিক আদালতের রায়ে পাঁচ আসামির মধ্যে তিনজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, জরিমানা ও ক্ষতিপূরণ দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। রায়ে পল্লবী থানার তৎকালীন এসআই জাহিদুর রহমান, এএসআই রাশেদুল হাসান ও কামরুজ্জামানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়। তাঁদের প্রত্যেককে দুই লাখ টাকা করে বাদী বা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতেও নির্দেশ দেওয়া হয়। অপর দুই আসামি পুলিশের তথ্যদাতা (সোর্স) সুমন ও রাসেলের ৭ বছর করে কারাদণ্ড এবং ২০ হাজার টাকা করে জরিমানার আদেশ দেন বিচারিক আদালত।
বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে তিন আসামি হাইকোর্টে পৃথক আপিল করেন। তাঁরা হলেন জাহিদুর, রাশেদুল ও রাসেল। রাষ্ট্রপক্ষের তথ্য অনুসারে, বিচারিক আদালতে দণ্ডিত পাঁচ আসামির মধ্যে কামরুজ্জামান শুরু থেকে পলাতক। অপর আসামি সুমন সাজা ভোগ করে বেরিয়েছেন।
তিন আসামির পৃথক আপিলের ওপর একসঙ্গে গত ৯ জুলাই হাইকোর্টে শুনানি শুরু হয়। ৭ আগস্ট শুনানি শেষে আদালত রায়ের জন্য ১০ আগস্ট তারিখ নির্ধারণ করেন। ১০ আগস্ট রায় ঘোষণা শুরু করেন আদালত, যা আজ শেষ হয়।
এক আসামির যাবজ্জীবন বহাল, অন্যজনের ১০ বছর, খালাস এক
হাইকোর্ট রায়ে রাজধানীর পল্লবী থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) জাহিদুর রহমানের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল রেখেছেন। বিচারিক আদালতের রায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত পল্লবী থানার তৎকালীন সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) রাশেদুল হাসানের সাজা পরিবর্তন করে ১০ বছরের কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে জনির মায়ের অনুকূলে ২৫ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে নির্দেশ দিয়েছেন। বিচারিক আদালতের রায়ে সাত বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত রাসেলকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
সবই বেআইনি: হাইকোর্ট
রায় ঘোষণার এক পর্যায়ে আদালত বলেন, এ রকম সাধারণত হয় না। পৃথিবীর সব দেশেই হেফাজতে দু–একটা মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। দুর্ধর্ষ অপরাধী পুলিশ ধরে, যেমন হাজার কোটি টাকার মাদকের কারবারি। তাকে ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করার প্রক্রিয়ায় মারা যেতে পারে। এটাও অপরাধ। এ ক্ষেত্রে মনোভাব থাকে যে অপরাধী। নিরপরাধ লোকদের ধরবেন, আইনগত কারণ ছাড়া তাদের হাজতখানায় না রেখে আরেক জায়গায় নিয়ে নির্যাতন করা সবই বেআইনি। একজন মানুষকে গ্রেপ্তারের পর হাজতখানায় রাখতে হবে। ম্যাজিস্ট্রেটের অনুমতি নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে। এ ক্ষেত্রে (জনির) পুলিশ বিভাগ কিছু করল না, মিথ্যা মামলা দায়ের করে।
নথিপত্র, সাক্ষী ও তথ্যাদি পর্যালোচনা করে রায়ে আদালত বলেন, ধারাবাহিক ও নিষ্ঠুর নির্যাতনের কারণে জনির মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় ঢাকা মহানগর পুলিশের তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। এতে উল্লেখ করা হয়, পুলিশের অভ্যন্তরীণ তত্ত্বাবধান, তদারকি ও জবাবদিহি পুরোপুরি ভেঙে পড়েছিল—নির্দিষ্ট এ ঘটনার ক্ষেত্রে। জাহিদুর রহমানের নেতৃত্বে অপ্রয়োজনীয় ও বেআইনিভাবে জনি ও তাঁর ভাই রকিসহ অন্যদের আটক করা হয়। যেখানে ভুক্তভোগীর (জনির) ফৌজদারি অপরাধে জড়িত থাকার অতীত কোনো রেকর্ড নেই। বেআইনিভাবে আটক করে তাঁদের হাজতখানার পরিবর্তে থানার প্রথম তলায় (দ্বিতীয়) রাখা হয়। এভাবে আটক রেখে নির্যাতন করা হয়, যা সম্পূর্ণ বেআইনি। কিছু পুলিশ কর্মকর্তার চোখের সামনে তাঁদের নিষ্ঠুর নির্যাতন করা হয়। দুই ঘণ্টার মধ্যে তাঁদের হাসপাতালে নেওয়া হয়। কোড–বিধি ও মানবাধিকার লঙ্ঘন করে চালানো অমানবিক ও নিষ্ঠুর এ ঘটনার বিষয়ে কোনো পুলিশ কর্মকর্তা তাঁদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে কোনো রিপোর্টও করেননি। গুরুত্বপূর্ণ এ ঘটনার পর সকালে পুলিশ মামলা করে। তাতে দুই পক্ষের মারামারির কারণে ভুক্তভোগী (জনি) আহত হয়ে মারা যান উল্লেখ করা হয়, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা। এটি অপরাধী পুলিশ সদস্যদের আড়াল করার চেষ্টা, যেখানে পুলিশের অভ্যন্তরীণ তদারকি ও জবাবদিহি প্রক্রিয়া পুরোপুরি ভেঙে পড়েছিল।
আদালতে আসামিপক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান ও মো. সরওয়ার আহমেদ এবং আইনজীবী আবদুর রাজ্জাক ও নাজমুল করিম শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনীক আর হক ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বদিউজ্জামান তপাদার শুনানি করেন। বাদীপক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী এস এম রেজাউল করিম। রায় ঘোষণার দুই দিন পুরোটা সময় মামলার বাদী নিহত ইশতিয়াকের ভাই ইমতিয়াজ হোসেন ও তাঁদের পরিবারের সদস্যরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
রায়ের পর ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বদিউজ্জামান তপাদার প্রথম আলোকে বলেন, আসামি রাসেলকে খালাস দেওয়া হয়েছে, যা যুক্তিযুক্ত নয়। এ ক্ষেত্রে হাইকোর্টের রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি পাওয়া সাপেক্ষে আপিল করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।