৮৭০ খ্রিষ্টাব্দ, হিজরি ২৫৬ সন। মুহাম্মদ ইবন ইসমাঈল বুখারি (রহ.), যিনি ইমাম বুখারি নামে সুপরিচিত, তখন মুসলিম বিশ্বে একজন কিংবদন্তি। তাঁর রচিত সহিহ বুখারি, বিশুদ্ধ হাদিসের এক অমর গ্রন্থ, তাঁর নাম আরব থেকে আজম পর্যন্ত ছড়িয়ে দিয়েছে (আজ-জাহাবি, মুহাম্মদ ইবন আহমদ, ১৯৮৫, সিয়ার আ‘লাম আন-নুবালা, বৈরুত: মুয়াসসাসাতুর রিসালাহ, ১২/৪০০)
যেখানেই তিনি যেতেন, মানুষ তাঁকে সম্মান ও শ্রদ্ধার সঙ্গে বরণ করে নিতেন। তাঁর বয়স তখন প্রায় ৬০ বছর। এই সময়ে ইরানের নিশাপুর শহরের মানুষ তাঁকে তাঁদের শহরে আমন্ত্রণ জানান। তাঁরা ইমামের মুখ থেকে হাদিস শুনতে এবং সহিহ বুখারি সংকলনের গল্প জানতে আগ্রহী ছিলেন (আল-খতিব আল-বাগদাদি, আহমদ ইবন আলী, ২০০১, তারিখে বাগদাদ, বৈরুত: দারুল গারব আল-ইসলামি, ১০/৩০০)। তাঁদের আবদার রক্ষায় ইমাম বুখারি নিশাপুরে পৌঁছান।
ইরানের নিশাপুর শহরের মানুষ তাঁকে তাঁদের শহরে আমন্ত্রণ জানান। তাঁরা ইমামের মুখ থেকে হাদিস শুনতে এবং সহিহ বুখারি সংকলনের গল্প জানতে আগ্রহী ছিলেন।নিশাপুরে বিতর্কের সূচনানিশাপুরে তখন শাইখ আবু আবদুল্লাহ মুহাম্মদ ইবন ইয়াহইয়া নামের একজন প্রখ্যাত আলেম হাদিসের দরস দিতেন। তিনি ইমাম বুখারিকে সম্মান করতেন এবং তাঁর ছাত্রদের বলেছিলেন, ‘যাও, এই মহান হাদিসবিদের কাছ থেকে জ্ঞানার্জন করো’ (আজ-জাহাবি, মুহাম্মদ ইবন আহমদ, ১৯৮৫, সিয়ার আ‘লাম আন-নুবাল,.
কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই ইমাম বুখারির দরসে ছাত্রদের ভিড় বাড়তে থাকে। নিশাপুরের অধিকাংশ ছাত্র তাঁর মজলিশে যোগ দিতে শুরু করেন। এই জনপ্রিয়তা দেখে মুহাম্মদ ইবন ইয়াহইয়ার মনে হিংসার সূচনা হয়।
তখন মুসলিম বিশ্বে ‘কোরআন মাখলুক বা সৃষ্ট কি না’ এ নিয়ে তীব্র বিতর্ক চলছিল। এই বিতর্কের জেরে ইমাম আহমদ ইবন হাম্বল (রহ.)–সহ অনেক আলেম কারাবরণ ও নির্যাতন সহ্য করেছিলেন। মুহাম্মদ ইবন ইয়াহইয়া এই সুযোগে ইমাম বুখারির বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন, তিনি ‘কোরআন মাখলুক’ বলে স্বীকৃতি দিয়েছেন (ইবন আবি হাতিম, আবদুর রহমান, ২০০২, আল-জারহ ওয়াত-তাআদিল, বৈরুত: দারুল কুতুব আল-ইলমিয়্যাহ, ৪/২৫০)
আরও পড়ুনইমাম মালিক (রহ.)-এর জ্ঞানচর্চা ও শিক্ষার আদর্শ০৬ মে ২০২৫এই অভিযোগে নিশাপুরের মানুষের মনে ইমাম বুখারির প্রতি নেতিবাচক ধারণা তৈরি হয়। জনতা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন।
বিষয়টি নিশাপুরের গভর্নরের কাছে পৌঁছায়। তিনি বিতর্কিত পরিস্থিতির মুখে ইমাম বুখারির কাছে ফরমান পাঠান, ‘আপনাকে অবিলম্বে নিশাপুর ত্যাগ করতে হবে। আমি আমার শহরে কোনো বিতর্কিত ব্যক্তিকে আশ্রয় দিতে রাজি নই।’ (আজ-জাহাবি, মুহাম্মদ ইবন আহমদ, ১৯৮৫, সিয়ার আ‘লাম আন-নুবালা, বৈরুত: মুয়াসসাসাতুর রিসালাহ, ১২/৪১০)
নিশাপুর ত্যাগ ও বুখারায় প্রত্যাবর্তনইমাম বুখারি তাঁর আদর্শ ও সম্মানের সঙ্গে আপস করতে রাজি ছিলেন না। তিনি কোনো প্রতিবাদ না করে নিশাপুর থেকে তাঁর কিতাব ও প্রয়োজনীয় সামগ্রী নিয়ে প্রায় ৯০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে নিজ শহর বুখারায় ফিরে আসেন। (আল-খতিব আল-বাগদাদি, আহমদ ইবন আলী, ২০০১, তারিখে বাগদাদ, বৈরুত: দারুল গারব আল-ইসলামি, ১০/৩০৫)
বুখারায় ফিরে তিনি পুনরায় হাদিসের দরস শুরু করেন। তাঁর মজলিশে বিভিন্ন শহর থেকে হাজার হাজার ছাত্র জ্ঞানার্জনের জন্য ভিড় জমান।
হাদিসের জ্ঞান মজলিশে বসে অর্জন করতে হয়, ঘরে ঘরে বিলি করা হয় না। হাদিসের জ্ঞান রাসুলের উত্তরাধিকার, যা সবার জন্য সমান। এখানে ধনী-গরিবের পার্থক্য নেই।ইমাম মুহাম্মদ ইবন ইসমাঈল বুখারি (রহ.), বুখারি শরিফের সংকলককিন্তু বুখারায়ও তিনি বিতর্ক থেকে মুক্ত থাকতে পারলেন না। বুখারার গভর্নর খালিদ ইবন আহমদ জাহলি তাঁর কাছে ফরমান পাঠান, তিনি যেন গভর্নরের বাসভবনে গিয়ে তাঁর সন্তানদের হাদিস পড়ান। ইমাম বুখারি উত্তরে বলেন, ‘হাদিসের জ্ঞান মজলিশে বসে অর্জন করতে হয়, ঘরে ঘরে বিলি করা হয় না। আপনার সন্তানেরা আমার মজলিশে এসে জ্ঞানার্জন করতে পারে।’ (ইবন আবি ইয়ালা, আহমদ, ১৯৯৭, তাবকাতুল হানাবিলা, বৈরুত: দারুল কুতুব আল-ইলমিয়্যাহ, ২/১৮০)
গভর্নর খালিদ ইবন আহমদ জাহলি তখন বলেন, ‘আমার সন্তানেরা যখন আপনার দরসে বসবে, তখন অন্য ছাত্রদের প্রবেশ করতে দেওয়া যাবে না। আমার দারোয়ানরা আপনার মজলিশের দরজায় পাহারা দেবে।’ (আজ-জাহাবি, মুহাম্মদ ইবন আহমদ, ১৯৮৫, সিয়ার আ‘লাম আন-নুবালা, বৈরুত: মুয়াসসাসাতুর রিসালাহ, ১২/৪১৫)
ইমাম বুখারি এই অপমানজনক শর্ত মেনে নিতে পারলেন না। তিনি বলেন, ‘হাদিসের জ্ঞান রাসুলের উত্তরাধিকার, যা সবার জন্য সমান। এখানে ধনী-গরিবের কোনো পার্থক্য নেই।’ (ইবন আবি ইয়ালা, আহমদ, ১৯৯৭, তাবকাতুল হানাবিলা, বৈরুত: দারুল কুতুব আল-ইলমিয়্যাহ, ২/১৮৫)
এই জবাবে গভর্নর ক্রুদ্ধ হয়ে ফরমান জারি করেন, ইমাম বুখারিকে বুখারা ত্যাগ করতে হবে, অন্যথায় তাঁকে কারারুদ্ধ করা হবে। (আল-খতিব আল-বাগদাদি, আহমদ ইবন আলী, ২০০১, তারিখে বাগদাদ, বৈরুত: দারুল গারব আল-ইসলামি, ১০/৩১০)।
আরও পড়ুনকে ছিলেন ইমাম নববি২৩ জুন ২০২৫নিঃসঙ্গ যাত্রা ও মৃত্যুবাধ্য হয়ে ইমাম বুখারি তাঁর জন্মভূমি বুখারা ত্যাগ করেন। তখন তাঁর গন্তব্য ছিল অনিশ্চিত। তাঁর একমাত্র সঙ্গী ছিলেন তাঁর শিষ্য ইব্রাহিম ইবন মাকিল। তিনি দোয়া করেন, ‘হে আল্লাহ! পৃথিবী আমার জন্য সংকীর্ণ হয়ে গেছে, আমাকে নিজের কাছে তুলে নাও।’ (আজ-জাহাবি, মুহাম্মদ ইবন আহমদ, ১৯৮৫, সিয়ার আ‘লাম আন-নুবালা, বৈরুত: মুয়াসসাসাতুর রিসালাহ, ১২/৪২০)
ক্লান্তি ও অসুস্থতায় তিনি বেশি দূর এগোতে পারেননি। রাস্তার পাশে বসে পড়েন এবং শুয়ে পড়েন। শিষ্য ইব্রাহিম তাঁকে ডাকলে কোনো সাড়া পাননি।ইমাম বুখারি সমরকন্দের কাছে খাতরাঙ্গ নামক একটি নিভৃত গ্রামে তাঁর এক আত্মীয়ের কাছে আশ্রয় নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু সেখানেও তাঁর বিরোধীদের চক্রান্ত পিছু ছাড়ল না। সমরকন্দের গভর্নরের কাছে তাঁর অবস্থান জানিয়ে তাঁকে বহিষ্কারের আবেদন জানানো হয়। গভর্নর ফরমান জারি করেন, ইমাম বুখারিকে অবিলম্বে সমরকন্দ ত্যাগ করতে হবে। (আল-খতিব আল-বাগদাদি, আহমদ ইবন আলী, ২০০১, তারিখে বাগদাদ, বৈরুত: দারুল গারব আল-ইসলামি, ১০/৩১৫)
সেদিন ছিল পবিত্র ঈদুল ফিতরের রাত, ২৫৬ হিজরির শাওয়াল মাসের প্রথম রাত। ফরমানে বলা হয়, ঈদের পরে নয়, সেই রাতেই তাঁকে সমরকন্দ ত্যাগ করতে হবে।
অসুস্থ শরীর নিয়ে ইমাম বুখারি তাঁর শিষ্য ইব্রাহিম ইবন মাকিলের সঙ্গে যাত্রা শুরু করেন। কিন্তু ক্লান্তি ও অসুস্থতায় তিনি বেশি দূর এগোতে পারেননি। রাস্তার পাশে বসে পড়েন এবং শুয়ে পড়েন। শিষ্য ইব্রাহিম তাঁকে ডাকলে কোনো সাড়া পাননি। ইমাম বুখারি ততক্ষণে আল্লাহর ডাকে সাড়া দিয়ে জান্নাতের পথে চলে গেছেন। (আজ-জাহাবি, মুহাম্মদ ইবন আহমদ, ১৯৮৫, সিয়ার আ‘লাম আন-নুবালা, বৈরুত: মুয়াসসাসাতুর রিসালাহ, ১২/৪২৫)
৮৭০ খ্রিষ্টাব্দের ১ সেপ্টেম্বর, হিজরি ২৫৬ সনের শাওয়াল মাসের প্রথম রাতে, সমরকন্দের খাতরাঙ্গ গ্রামে, রাস্তার পাশে নিঃসঙ্গ অবস্থায় হাদিসশাস্ত্রের এই মহান ইমাম ইন্তেকাল করেন।
আরও পড়ুনবুখারি শরিফের অপার মহিমা১৮ জুলাই ২০২৫উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ত য গ করত আজ জ হ ব ত য গ কর র মজল শ ব তর ক র জন য ফরম ন ন করত র শহর
এছাড়াও পড়ুন:
সিলেট-৪ আসনে বিএনপির দুই মনোনয়নপ্রত্যাশীর পাল্টাপাল্টি ‘শোডাউন’
সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলা সদরে আট ঘণ্টার ব্যবধানে সিলেট-৪ (গোয়াইনঘাট–কোম্পানীগঞ্জ–জৈন্তাপুর) আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী দুই নেতার সমর্থনে কর্মসূচি পালিত হয়েছে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে দুই নেতার এসব কর্মসূচিকে স্থানীয় লোকজন ‘পাল্টাপাল্টি শোডাউন’ হিসেবে মনে করছেন।
আজ শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সিলেট সিটি করপোরেশনের দুবারের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী মতবিনিময় সভা করেন। এর প্রতিক্রিয়ায় সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে উপজেলা সদরে মিছিল ও সমাবেশ করেছেন গোয়াইনঘাট উপজেলা পরিষদের দুবারের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল হাকিম চৌধুরীর সমর্থকেরা।
স্থানীয় বিএনপি সূত্রে জানা যায়, সিলেট-১ আসনে মনোনয়নবঞ্চিত হন আরিফুল হক চৌধুরী। এ অবস্থায় তাঁকে দলের উচ্চপর্যায় থেকে ঢাকায় জরুরি তলব করা হয়। পরে ৫ নভেম্বর দলের চেয়ারপারসনের সঙ্গে তাঁর বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের জানান, দলের চেয়ারপারসন তাঁকে সিলেট-৪ আসনে নির্বাচন করার নির্দেশ দিয়েছেন। শিগগির এ-সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হবে।
আরিফুল হকের এমন ঘোষণার পর ‘স্থানীয় প্রার্থী’ হিসেবে আসনটিতে জেলা বিএনপির উপদেষ্টা আবদুল হাকিম চৌধুরীকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে টানা কর্মসূচি পালন করছেন তাঁর কর্মী–সমর্থকেরা। একই দাবিতে সভা–সমাবেশ করছেন জেলা বিএনপির আরেক উপদেষ্টা হেলাল উদ্দিন আহমদের অনুসারীরাও।
বেলা সাড়ে ১১টার দিকে গোয়াইনঘাট উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, তাঁতী দল, শ্রমিক দলসহ অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় ও আলোচনা সভা হয়। বেলা একটা পর্যন্ত চলা এ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন আরিফুল হক চৌধুরী। সভায় তিনি বলেন, ‘আমি বিএনপির সঙ্গে প্রায় ৪৭ বছর ধরে আছি। কোনো দিন বিএনপির সিদ্ধান্তের বাইরে যাইনি। দলের সিদ্ধান্তে আমি আপনাদের খেদমতে এসেছি। কারণ, বিগত ১৭ বছর যে উন্নয়ন হওয়ার কথা, এর ছিটেফোঁটাও গোয়াইনঘাটে লাগেনি। খনিজ সম্পদে ভরপুর এ এলাকার মানুষ উন্নয়ন এবং কর্মসংস্থান থেকে বঞ্চিত। নির্বাচিত হলে এক বছরের মধ্যে এই এলাকার চিত্র বদলে যাবে।’
সভা শেষে উপজেলা সদরে আরিফুল হকের নেতৃত্বে মিছিল বের করা হয়। পরে তিনি গোয়াইনঘাট ও জৈন্তাপুর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে গণসংযোগ করেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে জেলা বিএনপির সহসভাপতি মাহবুব রব চৌধুরী ও ইকবাল আহমদ, মহানগর বিএনপির সহসভাপতি সাদিকুর রহমান, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম আহমদ, জেলা বিএনপির উপদেষ্টা আবদুস শুকুর ও কাজী মুজিবুর রহমান, জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি সুরমান আলী, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুস সামাদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে গোয়াইনঘাট উপজেলা সদরের শহীদ মিনারের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে স্থানীয় বিএনপির একাংশ। মিছিল থেকে সিলেট-৪ আসনে আবদুল হাকিম চৌধুরীকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়ার দাবি জানানো হয়। মিছিলটি উপজেলা সদরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এ সময় তাঁরা ‘লোকাল না বাইরা, লোকাল লোকাল’, ‘হাকিম ভাই হাকিম ভাই, হাকিম ছাড়া উপায় নাই’, ‘মানি না মানব না, হাকিম ছাড়া মানব না’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।
যোগাযোগ করলে আবদুল হাকিম চৌধুরী বলেন, ‘সিলেট-৪ আসনে জামায়াত শক্তিশালী প্রার্থী দিয়েছে। তিনি জৈন্তাপুর উপজেলার বাসিন্দা। তাঁর বিপরীতে জয় পেতে হলে বিএনপিকে একজন “স্থানীয় ও শক্তিশালী” প্রার্থী দেওয়া উচিত। যেহেতু আমি গোয়াইনঘাট উপজেলার বাসিন্দা, তাই স্থানীয়রা আমাকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দেওয়ার দাবিতে সভা, সমাবেশ, মিছিল করছেন। তবে দল যে সিদ্ধান্ত দেবে, সেটাই চূড়ান্ত।’
স্থানীয় বিএনপির সূত্রে জানা গেছে, আরিফুল, হাকিম ও হেলাল ছাড়াও সিলেট-৪ আসনে বিএনপির কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ সিদ্দিকী, সাবেক সংসদ সদস্য দিলদার হোসেন সেলিমের স্ত্রী জেবুন্নাহার সেলিম, মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক বদরুজ্জামান সেলিম, কেন্দ্রীয় বিএনপির সাবেক সহস্বেচ্ছাসেবক-বিষয়ক সম্পাদক সামসুজ্জামান মনোনয়নপ্রত্যাশী। এখানে জামায়াতের প্রার্থী হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে মাঠে কাজ করছেন দলটির জেলা কমিটির সেক্রেটারি জয়নাল আবেদীন।