এখনও হৃতিক সুজানের বন্ধুত্ব রয়ে গেছে
Published: 14th, August 2025 GMT
বলিউডের এক সময়ের জনপ্রিয় তারকা জুটি হৃতিক রোশন ও সুজান খান। ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন। এই জুটির দুই সন্তানও রয়েছে। কিন্তু সম্পর্কটি বিচ্ছেদে গড়িয়েছে। তবে বন্ধুত্ব টিকে আছে তাদের।
১৪ বছরের দাম্পত্য সম্পর্ক ছিন্ন করে দুইজন আলাদা হন। ২০১৪ সালে তাদের আনুষ্ঠানিকভাবে বিচ্ছেদ হয়। তবে তাদের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক এখনও রয়েছে। প্রায়ই তাদের সন্তানদের নিয়ে একসঙ্গে ঘুরতে দেখা যায়।
বলা হয়ে থাকে, তারকাদের বিচ্ছেদ মানেই কোটি কোটি টাকার মামলা। হেভি ওয়েট তারকা হৃতিক রোশনের বেলায় মামলাটা যে অনেক বেশি টাকায় মেটাতে হবে, তাতো বোঝাই যাচ্ছে। হৃতিক-সুজান জুটি বিয়ে যেমন আলোচিত হয়েছিল, তেমনই তাদের বিচ্ছেদ নিয়েও আলোচনায় এসেছেন। ভারতীয় গণমাধ্যম জানিয়েছেন, এটিই বলিউডের সবচেয়ে ব্যয়বহুল বিচ্ছেদ।
আরো পড়ুন:
হৃতিকের ছেলেকে পাপারাজ্জিদের তাড়া, ভিডিও ভাইরাল
আলোচনায় হৃতিক-কিয়ারার চুম্বন দৃশ্য
বিভিন্ন ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘‘হৃতিক-সুজান জুটির বিচ্ছেদ নিষ্পত্তিতে সুজান ৩৮০ কোটি রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৫২৭ কোটি টাকা) পেয়েছেন। তবে বলা হচ্ছে, এটিই বলিউডের ইতিহাসে সবচেয়ে ব্যয়বহুল বিচ্ছেদ হিসেবে রেকর্ড গড়ে।’’
উল্লেখ্য, নির্মাতা রাকেশ রোশনের ছেলে হৃতিক আর অভিনেতা সঞ্জয় খানের মেয়ে সুজান দুইজন-দুইজনের শৈশবের বন্ধু। ২০০০ সালে ‘কাহো না পেয়ার হ্যায়’ সিনেমা দিয়ে হৃতিক যখন বলিউডে অভিষেকের অপেক্ষায়, তখনই সুজানের সঙ্গে তার প্রেম চলছিল। চার বছর প্রেমের পর বিয়ে করেন তারা। ২০১০ সালের ‘কাইটস’ সিনেমার শুটিং চলাকালে হৃতিক ও সুজানের সম্পর্কে ফাটল ধরে।
দুইজনই নতুন প্রেমে রয়েছেন। হৃতিক প্রেম করছেন অভিনেত্রী সাবা আজাদের সঙ্গে, আর সুজান প্রেম করছেন আর্সলান গোনির সঙ্গে।
ঢাকা/লিপি
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হ ত ক র শন
এছাড়াও পড়ুন:
বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তির সঙ্গে কঠিন আইনি লড়াইয়ে বিবিসি, এরপর কী
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে বিবিসি দুঃখ প্রকাশ করায় তিনি প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে আর মামলার হুমকি দেবেন না—এমনটা যাঁরা ভেবেছিলেন, তাঁরা হয়তো ভুলের মধ্যে আছেন।
বিবিসির সংস্কৃতি ও গণমাধ্যমবিষয়ক সম্পাদক কেটি রাজালকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিবিসির চেয়ারম্যান সামির শাহ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে মামলাবাজ ব্যক্তি হিসেবে আখ্যা দেন। বিবিসির মহাপরিচালক ও বার্তা বিভাগের প্রধানের পদত্যাগের পরদিন তিনি এ সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন।
যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের বিরুদ্ধে ট্রাম্প যত মামলা করেছেন, তা থেকে সহজেই সামির শাহর বলা ‘মামলাবাজ’ কথার প্রমাণ পাওয়া যায়।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম জিবি নিউজকে ট্রাম্পের দেওয়া এক সাক্ষাৎকার থেকে বোঝা যায়, বিবিসি ‘বিভ্রান্তিকরভাবে’ তাঁর বক্তব্য সম্পাদনা করায় তিনি খুবই মর্মাহত হয়েছেন।
বিবিসির বিরুদ্ধে ট্রাম্প যে পরিমাণ ক্ষতিপূরণের জন্য মামলা করবেন বলে জানিয়েছিলেন, সেটির পরিমাণও এখন বাড়িয়েছেন তিনি।
এখন পরিস্থিতিটা এমন যে বিবিসি আদালতে একটি দীর্ঘমেয়াদি ও ব্যয়বহুল লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়তে যাচ্ছে। যে সময়টাতে বিবিসিকে তাদের রয়েল চার্টার পরিবর্তনের দিকে শতভাগ মনোযোগ দেওয়া উচিত, সে সময়টাতে তাদের আইনি লড়াইয়ের বিষয়ে ভাবতে হচ্ছে। রয়েল চার্টার হলো বিবিসির সাংবিধানিক ভিত্তি। এ চার্টারের আওতায় বিবিসির লক্ষ্য নির্ধারিত হয়।শুক্রবার এয়ারফোর্স ওয়ানে বসে ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, ১০০ থেকে ৫০০ কোটি ডলার পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ চাওয়া হতে পারে।
উল্লেখ্য, গত বছর লাইসেন্স ফি বাবদ বিবিসির বার্ষিক আয়ের পরিমাণ ছিল ৩৮০ কোটি পাউন্ড (৫০০ কোটি ডলার)।
শুক্রবার ট্রাম্প বলেছেন, ‘আমার মুখ থেকে বের হওয়া কথাগুলো তারা (বিবিসি) পরিবর্তন করেছে।’
বিবিসির প্যানোরমা অনুষ্ঠানে প্রচারিত তথ্যচিত্রে নিজের বক্তব্যের খণ্ডিত অংশকে জোড়া দিয়ে কেন একেবারে ভিন্ন অর্থ তৈরি করা হলো, সে ব্যাপারে জানতে চেয়েছেন ট্রাম্প। এটিকে অনিচ্ছাকৃত বলে বিবিসি যে ব্যাখ্যা দিয়েছে, তা মানতে রাজি নন তিনি।
এখন বিবিসির শীর্ষ পর্যায়ে থাকা ব্যক্তিদের ট্রাম্পের বিষয়টি নিয়ে ভাবতে হবে। তাঁর সঙ্গে অস্তিত্বের লড়াইয়ে নামতে হবে তাঁদের। এ লড়াই অত্যন্ত ব্যয়বহুলও হবে। শুধু লিগ্যাস ফি বাবদই প্রচুর খরচ হবে।বিবিসির ইতিহাসে এটি খুবই গুরুতর এক মুহূর্ত। কারণ, বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি যখন মানুষের আস্থা কমছে, তখন বিবিসি নির্ভরযোগ্য সংবাদমাধ্যম হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছে। তাঁরা প্রতিষ্ঠানটিকে নিরপেক্ষ হিসেবে বিবেচনা করছিলেন।
কিন্তু এখন বিবিসিকে অভিযোগের মুখে পড়তে হয়েছে। আর অভিযোগকে কেন্দ্র করে বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাশালী ব্যক্তির সঙ্গে ব্যয়বহুল ও প্রকাশ্য লড়াইয়ের মুখোমুখি হতে হচ্ছে।
এখন প্রশ্ন—এরপর কীট্রাম্প প্রথম বিবিসির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দেওয়ার পর থেকেই পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল যে প্রতিষ্ঠানটি তাঁকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা বলতে চায় না। বিবিসি কর্তৃপক্ষ মনে করে, প্যানোরমা অনুষ্ঠানে যে ভুলভ্রান্তি ঘটেছে, তাতে ট্রাম্পের কোনো ক্ষতি হয়নি।
বিবিসি আরও বলেছে, অনুষ্ঠানটি সম্প্রচার হওয়ার পর ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন। অনুষ্ঠানটি যুক্তরাষ্ট্রের কোনো চ্যানেলে সম্প্রচারিত হয়নি। তাহলে এটা কীভাবে তাঁর ক্ষতি করল?
কেটি রাজাল বলেন, প্রতিষ্ঠানের ভেতর ও বাইরে অনেকে মনে করেন, লাইসেন্স ফি হিসেবে পাওয়া অর্থ ব্যবহার করে ট্রাম্পের সঙ্গে মীমাংসা করাটা মোটেও মেনে নেওয়া যায় না।
কেটি রাজাল আরও বলেন, বিবিসি ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রস্তাব অস্বীকার করার পর প্রতিষ্ঠানটির সাবেক এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে। ওই কর্মকর্তা বলেছেন, বিবিসি সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যদি ট্রাম্প মামলা করার সিদ্ধান্ত নেন, তবে বিবিসিকে প্রস্তুত হতে হবে ও ফ্লোরিডার সেরা আইনজীবীদের নিয়োগ দিতে হবে।
তবে ট্রাম্পের সঙ্গে মীমাংসা করার ক্ষেত্রে যুক্তি হলো, এতে বিবিসি দীর্ঘমেয়াদি খরচ কমাতে পারবে।
আরও পড়ুন৫০০ কোটি ডলার পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ চেয়ে বিবিসির বিরুদ্ধে মামলা করার ঘোষণা ট্রাম্পের১৫ নভেম্বর ২০২৫BBC 2: এয়ারফোর্স ওয়ানে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ১৪ নভেম্বর ২০২৫