শারীরিক সক্ষমতা না থাকলে কাউকে হজে নেওয়া যাবে না: ধর্ম উপদেষ্টা
Published: 14th, August 2025 GMT
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, কেবল শারীরিকভাবে সুস্থ ব্যক্তিদেরকেই হজের জন্য নিবন্ধন করাতে হবে। শারীরিক সক্ষমতা না থাকলে কাউকে হজে নেওয়া যাবে না।
বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় পর্যায়ে হজ ও ওমরাহ ফেয়ার ২০২৫-এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
হজ গমনেচ্ছু ব্যক্তিদের সঙ্গে হজ এজেন্সির যোগসূত্র তৈরির লক্ষ্যে এ হজ ও ওমরাহ মেলার আয়োজন করেছে হজ এজেন্সিগুলোর সংগঠন হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব)।
আরো পড়ুন:
ছবি ও ভিডিও বিকৃতি নিয়ে সোচ্চার মেহজাবীন
অস্ট্রেলিয়ায় ‘ইন্ডিয়ান চলচ্চিত্র উৎসবে’ বাংলাদেশ
অসুস্থ ও শারীরিক সক্ষমতা নেই, এরকম ব্যক্তিদেরকে হজে নেওয়া হলে সরকারকে বিব্রত হতে হয়, জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, শারীরিকভাবে অক্ষম হাজিদের জন্য নানারূপ বিড়ম্বনার শিকার হতে হয়। এজন্য শারীরিকভাবে অক্ষম ও দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদেরকে হজের জন্য ফিটনেস সার্টিফিকেট না দেওয়ার জন্য সিভিল সার্জনদেরকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
তিনি দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত ও শারীরিক সক্ষমতাবিহীন ব্যক্তিদেরকে হজে না নেওয়ার জন্য হজ এজেন্সিগুলোকে অনুরোধ করেছেন।
আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, “২০২৫ সালে আমরা একটি সুন্দর হজ উপহার দিতে পেরেছি। ইতোমধ্যে ২০২৬ সালের হজের কার্যক্রম শুরু হয়েছে।“ ২০২৬ সালের হজ আরো ভালো হবে বলে আশা ব্যক্ত করেছেন তিনি।
হজ ও ওমরাহ মেলার গুরুত্ব তুলে ধরে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, হজ ও ওমরাহ ফেয়ার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর মাধ্যমে হজ এজেন্সির সঙ্গে হজ গমনেচ্ছু ব্যক্তিদের পারস্পরিক মিথস্ক্রিয়া বৃদ্ধি পাবে। হজ ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে জনসচেতনতা তৈরি হবে। ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা তাদের সামর্থ্য অনুসারে হজ প্যাকেজ বাছাই করতে পারবেন।” তিনি হাবের এ মেলা আয়োজনের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান।
হাবের সঙ্গে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের বিরোধ নেই, জানিয়ে আ ফম খালিদ হোসেন বলেছেন, “আমরা পারস্পরিক সম্মান, মর্যাদা ও ভ্রাতৃত্বের সাথে কাজ করে যাচ্ছি। আগামীতেও আমরা হজযাত্রীদের স্বার্থে একসাথে কাজ করব।” তিনি মন্ত্রণালয়ের পক্ষ হতে হাবকে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
হজ এজেন্সির উদ্দেশে ড.
উপদেষ্টা বলেন, “হজযাত্রী নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় দালালদের দৌরাত্ম্য আছে। এদের কারণে হজের খরচ বেড়ে যায়, আবার হজযাত্রীদের প্রতারিত হওয়ার ঘটনাও ঘটে থাকে।”
হজ গমনেচ্ছুক ব্যক্তিদেরকে এজেন্সি মালিক কিংবা তার বৈধ প্রতিনিধির সঙ্গে যোগাযোগ করে হজে যাওয়ার অনুরোধ করেন উপদেষ্টা। এছাড়া, তিনি হজ এজেন্সির সঙ্গে হজযাত্রীদেরকে চুক্তি সম্পাদন এবং হজযাত্রীদের প্রশিক্ষণের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
এর আগে ধর্ম উপদেষ্টা হজ ও ওমরাহ ফেয়ার ২০২৫ উপলক্ষে প্রকাশিত হাবের মুখপত্র ‘হজ্জ বার্তা’র মোড়ক উন্মোচন করেন।
তিন দিনব্যাপী এ মেলায় মোট ১৫৪ টি স্টল আছে। ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়, হজ এজেন্সি এবং হজ কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ত বাংকগুলো এ মেলায় হজ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন কার্যক্রম ও তথ্য সেবা প্রদর্শন করছে। এছাড়া, হজের প্রাথমিক নিবন্ধনের সুযোগও আছে মেলার স্টলগুলোতে। ১৬ আগস্ট বিকেলে সমাপনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এ মেলা শেষ হবে।
হাবের সভাপতি সৈয়দ গোলাম সরওয়ারের সভাপতিত্বে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ধর্ম সচিব এ কে এম আফতাব হোসেন প্রামানিক, ঢাকাস্থ সৌদি দূতাবাসের উপ-মিশন প্রধান ইব্রাহিম আবদুল্লাহ আল-আহমারী ও হাবের মহাসচিব ফরিদ আহমদ মজুমদার বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন। উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে উপদেষ্টা মেলার স্টলগুলো ঘুরে দেখেন।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/রফিক
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হজ হজয ত র দ র হজ ও ওমর হ অন ষ ঠ ন উপদ ষ ট র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
২০২৬ সালে ব্যাংক বন্ধের তালিকা প্রকাশ
২০২৬ সালে ছুটির তালিকা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আগামী বছর ব্যাংকগুলোর জন্য ২৮ দিন ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
রবিবার (১৬ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব অফ-সাইট সুপারভিশন থেকে এই তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।
নতুন তালিকা অনুযায়ী, আগামী বছর প্রথম সরকারি ছুটির দিন হবে শবে-বরাত উপলক্ষ্যে। ৪ ফেব্রুয়ারি একদিন ব্যাংক বন্ধ থাকবে। ওই মাসে ভাষা শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২১ ফেব্রুয়ারি ব্যাংক বন্ধ থাকবে। এরপর শবে কদর উপলক্ষে ১৭ মার্চ ব্যাংক বন্ধ থাকবে। জুমাতুল বিদা ও পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ১৯ থেকে ২৩ মার্চ পর্যন্ত পাঁচদিন ব্যাংক বন্ধ থাকবে। এরপর স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে ২৬ মার্চ ব্যাংক বন্ধ থাকবে।
চৈত্র সংক্রান্তি (রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দারবান পার্বত্য জেলার জন্য প্রযোজ্য) ১৩ এপ্রিল ব্যাংক বন্ধ থাকবে। এরপর বাংলা নববর্ষ উপলক্ষ্যে ১৪ এপ্রিল, মে দিবস ও বৌদ্ধপূর্ণিমা উপলক্ষ্যে ১ মে, ২৬ থেকে ৩১ মে পাঁচদিন ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে ব্যাংক বন্ধ থাকবে।
এদিকে, আশুরা উপলক্ষ্যে ২৬ জুন, ১ জুলাই ব্যাংক হলিডে উপলক্ষ্যে একদিন, জুলাই গণঅভ্যুত্থান ৫ আগস্ট, ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষ্যে ২৬ আগস্ট, জন্মাষ্টমী ৪ সেপ্টেম্বর, দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে ২০ ও ২১ অক্টোবর, বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে ১৬ ডিসেম্বর, বড়দিন উপলক্ষ্যে ২৫ ডিসেম্বর ও ব্যাংক হলিডে উপলক্ষ্যে ৩১ ডিসেম্বর ব্যাংক বন্ধ থাকবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব অফ-সাইট সুপারভিশন থেকে বলা হয়েছে, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের চলতি বছরের ৯ নভেম্বর প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী সব তফসিলি ব্যাংকের জন্য এ ছুটি কার্যকর হবে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ব্যাংকের তালিকায় দেখা গেছে, চলতি বছর দেশের তফসিলি ব্যাংকগুলোর জন্য ছুটি ছিল ২৭ দিন, আগের বছর ব্যাংকগুলোর জন্য ছুটি ছিল ২৪ দিন।
ঢাকা/নাজমুল//