ওসিকে ‘উলঙ্গ করে’ এলাকা ছাড়া করার হুমকি, বিএনপি নেতার পদ স্থগিত
Published: 14th, August 2025 GMT
কক্সবাজারের মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনজুরুল হককে ‘উলঙ্গ করে’ এলাকা থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি দেওয়ার ঘটনায় সেই বিএনপি নেতার পদ স্থগিত করেছে কেন্দ্র।
বৃহস্পতিবার (১৩ আগস্ট) বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। হুমকি দেওয়া ওই নেতার নাম আকতার হোসেন। তিনি মহেশখালী পৌরসভা বিএনপির আহ্বায়ক ছিলেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মহেশখালী থানার ওসিকে অশোভন গালাগাল করে হুমকি এবং সংগঠনবিরোধী কার্যলাপের জন্য কক্সবাজার জেলা বিএনপির সদস্য ও মহেশখালী পৌর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক আকতার হোসেনকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত তার প্রাথমিক সদস্য পদসহ সব পর্যায়ের পদ স্থগিত করা হয়েছে।
আরো পড়ুন:
সারজিসের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার না হলে আন্দোলনের হুমকি
রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা হারালে ওয়ান ইলেভেন সৃষ্টি হতে পারে: খোকন
এর আগে, গত বুধবার এক স্মরণসভায় মনজুরুল হককে হুমকি দেন আকতার হোসেন। তিনি বলেন, ‘‘ওসির চেম্বার এক ধরনের দোকানে পরিণত হয়েছে। টাকা দিলে মামলা নেওয়া হয়, যে টাকা বেশি দেবে তার মামলা নেবে।’’
আকতার হোসেন অভিযোগ করে বলেন, ‘‘ওসি মনজুরুল হক স্থানীয় আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ মহল ও প্রভাবশালী মহলের সঙ্গে মিলে বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন।’’
এ সময় তিনি মাইকে প্রকাশ্যে বলেন, “ওসি সাহেব, ন্যাংটা করে মহেশখালী ছাড়তে বাধ্য করব।” বিএনপি নেতার এই বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর তার দলীয় সব পদ স্থগিত করেছে বিএনপি।
এ বিষয়ে জানতে আকতার হোসেনের মোবাইলে ব্যবহৃত নম্বরে কল দিলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।
বিএনপি নেতার বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে ওসি মনজুরুল হক বলেন, ‘‘ভিডিওটি এখনো দেখিনি।’’ এ সময় বিএনপি নেতার মামলা বাণিজ্য বা আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পর্কের অভিযোগকে ‘সত্য নয়’ বলে মন্তব্য করেন তিনি।
কক্সবাজার জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক ইউসুফ বদরী বলেন, “সংগঠনবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকায় আকতার হোসেনের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সব পদ স্থগিত করা হয়েছে। রাজনীতিতে এখন অনেক পরিবর্তন এসেছে। বিএনপির কোনো নেতা অশ্লীল ও শালীনতাবর্জিত বক্তব্য দিয়ে পার পেয়ে যাবেন এমন সুযোগ আর নেই।”
ঢাকা/তারেকুর/রাজীব
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ আকত র হ স ন ব এনপ র মনজ র ল
এছাড়াও পড়ুন:
মুন্নী সাহা ও তার স্বামীকে সম্পদ বিবরণীর নোটিশ
সাংবাদিক মুন্নী সাহা ও তার স্বামী মো. কবীর হোসেনের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তারই ধারাবাহিতকায় তাদের সম্পদের হিসাব বিবরণী জমা দিতে নোটিশ দিয়েছে কমিশন।
বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় প্রধান কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে কমিশনের মহাপরিচালক আক্তার হোসেন এ তথ্য জানান।
দুদক জানায়, মুন্নী সাহার নামে ২০২৪-২০২৫ করবর্ষ পর্যন্ত ১,৮৫,৩২,৪০০ টাকার স্থাবর সম্পদ এবং ১১,৯৬,১৭,৭৪৯ টাকার অস্থাবর সম্পদসহ মোট ১৩,৮১,৫০১৪৯ টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়া যায়।
আরো পড়ুন:
জুলাই আন্দোলনের হামলা মামলার আসামি পেলেন ‘সাহসী সাংবাদিক’ সম্মাননা
গোবিপ্রবিতে সাংবাদিকতা বিষয়ে সেমিনার
২০২৪-২০২৫ করবর্ষ পর্যন্ত তার গ্রহণযোগ্য আয় ৩,২৪,২৩,৫১৩ টাকা এবং ব্যয় ২,৫০,৩০,২৫৬ টাকা। ব্যয় বাদে সঞ্চয় ৭৩,৯৩,২৫৭ টাকা। অর্থাৎ তার সঞ্চয় অপেক্ষা সম্পদের পরিমাণ টাকা বেশি, যা তার জ্ঞাত আয়ের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ মর্মে অনুসন্ধানকালে প্রাপ্ত রেকর্ডপত্র ও তথ্য পর্যালোচনায় প্রতীয়মান হয় বলে দুদক জানায়।
অন্যদিকে, মুন্নী সাহার স্বামী মো. কবীর হোসেনের নামে ২০২৪-২০২৫ করবর্ষ পর্যন্ত ২,১২,০৪,১৩৫ টাকার স্থাবর সম্পদ এবং ১৪,৫৫,৮৯,২০৫ টাকার অস্থাবর সম্পদসহ মোট ১৬,৬৭,৯৩,৩৪০ টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়া যায়। ২০২৪-২০২৫ করবর্ষ পর্যন্ত তার গ্রহণযোগ্য আয় ৮,১৭,৪২,৭২৫ টাকা এবং ব্যয় ৮৩,৮৬,৪০২ টাকা। ব্যয় বাদে সঞ্চয় ৭,৩৩,৫৬,৩২৩ টাকা। অর্থাৎ তার সঞ্চয় অপেক্ষা সম্পদের পরিমাণ ৯,৩৪,৩৭,০১৭ টাকা বেশি, যা তার জ্ঞাত আয়ের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ মর্মে অনুসন্ধানকালে প্রাপ্ত রেকর্ডপত্র ও তথ্য পর্যালোচনায় প্রতীয়মান হয়।
অভিযোগ সংশ্লিষ্ট মুন্নী সাহা ও তার স্বামী মো. কবীর হোসেনের নামে অর্জিত সম্পদের পূর্ণাঙ্গ তথ্য এবং উক্ত সম্পদের আয়ের উৎসের সঠিকতা যাচাইয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬ (১) ধারায় সম্পদ বিবরণী আদেশ জারির সিদ্ধান্ত হয়েছে।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/এসবি