কক্সবাজারের মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনজুরুল হককে ‘উলঙ্গ করে’ এলাকা থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি দেওয়ার ঘটনায় সেই বিএনপি নেতার পদ স্থগিত করেছে কেন্দ্র।

বৃহস্পতিবার (১৩ আগস্ট) বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। হুমকি দেওয়া ওই নেতার নাম আকতার হোসেন। তিনি মহেশখালী পৌরসভা বিএনপির আহ্বায়ক ছিলেন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মহেশখালী থানার ওসিকে অশোভন গালাগাল করে হুমকি এবং সংগঠনবিরোধী কার্যলাপের জন্য কক্সবাজার জেলা বিএনপির সদস্য ও মহেশখালী পৌর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক আকতার হোসেনকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত তার প্রাথমিক সদস্য পদসহ সব পর্যায়ের পদ স্থগিত করা হয়েছে।

আরো পড়ুন:

সারজিসের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার না হলে আন্দোলনের হুমকি 

রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা হারালে ওয়ান ইলেভেন সৃষ্টি হতে পারে: খোকন 

এর আগে, গত বুধবার এক স্মরণসভায় মনজুরুল হককে হুমকি দেন আকতার হোসেন। তিনি বলেন, ‘‘ওসির চেম্বার এক ধরনের দোকানে পরিণত হয়েছে। টাকা দিলে মামলা নেওয়া হয়, যে টাকা বেশি দেবে তার মামলা নেবে।’’

আকতার হোসেন অভিযোগ করে বলেন, ‘‘ওসি মনজুরুল হক স্থানীয় আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ মহল ও প্রভাবশালী মহলের সঙ্গে মিলে বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন।’’

এ সময় তিনি মাইকে প্রকাশ্যে বলেন, “ওসি সাহেব, ন্যাংটা করে মহেশখালী ছাড়তে বাধ্য করব।” বিএনপি নেতার এই বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর তার দলীয় সব পদ স্থগিত করেছে বিএনপি।

এ বিষয়ে জানতে আকতার হোসেনের মোবাইলে ব্যবহৃত নম্বরে কল দিলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।

বিএনপি নেতার বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে ওসি মনজুরুল হক বলেন, ‘‘ভিডিওটি এখনো দেখিনি।’’ এ সময় বিএনপি নেতার মামলা বাণিজ্য বা আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পর্কের অভিযোগকে ‘সত্য নয়’ বলে মন্তব্য করেন তিনি।

কক্সবাজার জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক ইউসুফ বদরী বলেন, “সংগঠনবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকায় আকতার হোসেনের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সব পদ স্থগিত করা হয়েছে। রাজনীতিতে এখন অনেক পরিবর্তন এসেছে। বিএনপির কোনো নেতা অশ্লীল ও শালীনতাবর্জিত বক্তব্য দিয়ে পার পেয়ে যাবেন এমন সুযোগ আর নেই।”

ঢাকা/তারেকুর/রাজীব

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ আকত র হ স ন ব এনপ র মনজ র ল

এছাড়াও পড়ুন:

মোহাম্মদপুরে বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ২৯

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের কয়েকটি অপরাধপ্রবণ এলাকায় বুধবার দিনভর বিশেষ অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত অভিযোগে ২৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে তিনটি ছুরি, দুটি ধারালো চাকু, দুটি লোহার রড, একটি সাইকেল ও ৩০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়।

বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে নিয়মিত মামলা, মাদক মামলা, পরোয়ানাভুক্ত আসামি ও বিভিন্ন অপরাধে জড়িত অপরাধী রয়েছে।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন হীরা (১৯), রফিক (২১), আবদুর রহমান (৩৯), নাবিদ হাসান ওরফে চয়ন (২৬), খোকন (৩১), মনসুর (৩৫), জুয়েল (৩২), সানজু (২২), মিলন (৪২), শাওন (৩৬), নোয়াজ শরীফ (২৮), সেলিম (৩৪), আসাদুজ্জামান ওরফে ইমন (২৩), আনোয়ার হোসেন (৩৬), সজল (৩০), বরকত গাজী (২৮), জুয়েল (৩৮), আরমান (৩০), বাদল (৩৮), কোরবান (২৮), নয়ন (২৭), মাসরুফ (২৩), আল আমিন (২৭), রাকিব (১৮), মিলন (২৫), ওয়াজিদ (৩৬), এরশাদ (২৫), ছালাম ওরফে সামাদ (৩৭) ও দিলসার (৩০)।

সম্পর্কিত নিবন্ধ