সাবেক গভর্নর ও ডেপুটি গভর্নরদের পরিবারের সদস্যদের হিসাব তলব
Published: 14th, August 2025 GMT
বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) সাবেক ৩ গভর্নর, ডেপুটি গভর্নর, সাবেক বিএফআইইউ প্রধান এবং তাদের পরিবারের সদস্য তথা স্ত্রী-সন্তান-জামাতা-পূত্রবধূর হিসাবও তলব করেছে। এসব ব্যক্তির হিসাবের যাবতীয় তথ্য জানাতে দেশের সব তফসিলি ব্যাংককে এ সংক্রান্ত চিঠি দিয়েছে বিএফআইইউ।
বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) বিএফআইইউর একজন কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনুরোধে সাবেক গভর্নর, ডেপুটি গভর্নর এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক কর্মকর্তাদের হিসাব তলব সংক্রান্ত চিঠি বুধবার ব্যাংকগুলোকে দিয়েছে বিএফআইইউ।
আরো পড়ুন:
সাবেক ৩ গভর্নর ও ৬ ডেপুটি গভর্নরের ব্যাংক হিসাব তলব
১২ দিনে দেশে রেমিট্যান্স এল ১০৫ কোটি ডলার
বাংলাদেশ ব্যাংকের শীর্ষ পদে দায়িত্ব পালন করা এসব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আর্থিক খাতের বিভিন্ন অনিয়ম, ব্যাংক দখলের মাধ্যমে অর্থ লোপাট এবং অতিরিক্ত টাকা ছাপিয়ে ঋণ বিতরণের মতো গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে দুদক তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে। হিসাবের যাবতীয় তথ্য পাওয়ার পর এসব ব্যক্তির হিসাবে অস্বাভাবিক কোন লেনদেন হয়েছে কিনা সে বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে।
যাদের হিসাব তলব করা হয়েছে তাদের মধ্যে আছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর আতিউর রহমান, ফজলে কবির এবং আব্দুর রউফ তালুকদার। অভিযোগ অনুযায়ী, ফজলে কবিরের মেয়াদে রাষ্ট্রায়ত্ত ও বেসরকারি ব্যাংকগুলোর দখল নিয়ে লুটপাট শুরু হয় এবং তা অব্যাহত থাকে আব্দুর রউফ তালুকদারের সময়েও। বিশেষ করে রউফ তালুকদারের সময় টাকা ছাপিয়ে ব্যাংক খাতে ঋণ বিতরণের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ লোপাটের সুযোগ তৈরি হয়েছিল বলে তদন্তে উঠে এসেছে।
হিসাব তলব করা সাবেক ডেপুটি গভর্নরদের মধ্যে রয়েছেন এস কে সুর চৌধুরী, এস এম মনিরুজ্জামান, কাজী ছাইদুর রহমান এবং আবু ফরাহ মো.
অন্যদিকে সাবেক ডেপুটি গভর্নর এস এম মনিরুজ্জামানের বিরুদ্ধে সরকারি ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীদের অবৈধ আর্থিক সুবিধা দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। আর আবু ফরাহ মো. নাছেরের বিরুদ্ধে নীতিমালা শিথিল করে বিশেষ সুবিধা দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
বিএফআইইউর সাবেক প্রধান আবু হেনা মো. রাজী হাসান এবং মো. মাসুদ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। বিএফআইইউ থেকে ব্যাংকগুলোকে পাঠানো চিঠিতে তাদের পরিবারের সদস্যদের ব্যাংক হিসাব, লেনদেন বিবরণী, হিসাব খোলার ফরম এবং পরিচয় সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য ব্যাংকগুলোর কাছে চাওয়া হয়েছে। কোনো হিসাব বর্তমানে বন্ধ থাকলেও, সেটির তথ্য আলাদাভাবে জানাতে বলা হয়েছে।
ঢাকা/নাজমুল/সাইফ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এফআইইউ হ স ব তলব
এছাড়াও পড়ুন:
সাবেক গভর্নর ও ডেপুটি গভর্নরদের পরিবারের সদস্যদেরও হিসাব তলব
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক তিন গভর্নর ও চার ডেপুটি গভর্নরের পাশাপাশি তাঁদের স্ত্রী–সন্তান ও সন্তানদের স্বামী বা স্ত্রীর হিসাবও তলব করা হয়েছে। একই সঙ্গে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) সাবেক প্রধান আবু হেনা মোহাম্মদ রাজী হাসান ও মাসুদ বিশ্বাস এবং তাঁদের স্ত্রী–সন্তান ও সন্তানদের স্বামী বা স্ত্রীর হিসাবও তলব করা হয়েছে।
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় তাঁরা বাংলাদেশ ব্যাংকের শীর্ষ পদের দায়িত্বে ছিলেন। তাঁদের কারও কারও বিরুদ্ধে ব্যাংক দখল করে অর্থ লোপাটে সহায়তার পাশাপাশি বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে টাকা ছাপিয়ে দেওয়ার অভিযোগ আছে। এমন নানা অভিযোগে তাঁদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের অনুরোধে গতকাল বুধবার ব্যাংকগুলোকে হিসাব তলবসংক্রান্ত চিঠি দিয়েছে বিএফআইইউ। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের এক বছর পর এখন আর্থিক খাতের শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে।
যাঁদের পরিবারের হিসাব তলব করা হয়েছে, তাঁরা হলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর আতিউর রহমান, ফজলে কবির ও আব্দুর রউফ তালুকদার। এর মধ্যে ফজলে কবিরের মেয়াদে ব্যাংক দখল করে লুটপাট শুরু হয়। এই প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকে আব্দুর রউফ তালুকদারের মেয়াদেও। এ ছাড়া আব্দুর রউফ তালুকদারের মেয়াদে টাকা ছাপিয়ে ঋণ দিয়ে ব্যাংকগুলো থেকে অর্থ লোপাটের সুযোগ দেওয়া হয়।
এ ছাড়া সাবেক যেসব ডেপুটি গভর্নরের ব্যাংক হিসাব তলব করা হয়েছে, তাঁরা হলেন সরকার পতনের পর দুদকের মামলায় কারাগারে থাকা এস কে সুর চৌধুরী, সাবেক ডেপুটি গভর্নর এস এম মনিরুজ্জামান, কাজী ছাইদুর রহমান ও আবু ফরাহ মো. নাছের। এর মধ্যে এস এম মনিরুজ্জামানের বিরুদ্ধে আওয়ামী–ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীদের অবৈধ সুবিধা ও আবু ফরাহ মো. নাছেরের বিরুদ্ধে নীতিমালা শিথিল করে সুবিধা দেওয়ার অভিযোগ আছে।
এ ছাড়া বিএফআইইউর সাবেক প্রধান আবু হেনা মো. রাজী হাসান ও সরকার পতনের পর বিএফআইইউর প্রধান থেকে পদত্যাগে বাধ্য হওয়া মো. মাসুদ বিশ্বাসের পরিবারের হিসাব তলব করা হয়েছে। এর মধ্যে দুদকের মামলায় এস কে সুর চৌধুরী ও মাসুদ বিশ্বাস কারাগারে। সব ব্যাংকে চিঠি দিয়ে তাঁদের ব্যাংক হিসাবে অর্থ লেনদেন, হিসাব খোলার ফরমসহ যাবতীয় তথ্য চাওয়া হয়েছে। কোনো হিসাব বন্ধ থাকলে, সেই তথ্যও জানাতে বলা হয়েছে।