ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গুপ্ত রাজনীতি নিষিদ্ধে প্রশাসন নীতিগতভাবে একমত: ছাত্রদল
Published: 14th, August 2025 GMT
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গুপ্ত রাজনীতি নিষিদ্ধের বিষয়ে প্রশাসন নীতিগতভাবে একমত হয়েছে বলে দাবি করেছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খানের সঙ্গে এক বৈঠক শেষে সংগঠনটির সভাপতি রাকিবুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন এ দাবি করেন।
সম্প্রতি উপাচার্যের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, শিক্ষক এবং দেশের ২৩টি ছাত্রসংগঠনের প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি জরুরি বৈঠক হয়েছিল। বৈঠকে বেশির ভাগ সংগঠন ক্যাম্পাসে গুপ্ত রাজনীতি বন্ধ করার প্রস্তাব দেয়। শুধু ছাত্র অধিকার পরিষদ এই প্রস্তাবের বিপক্ষে অবস্থান নেয়।
ওই বৈঠক শেষে সিদ্ধান্ত হয় ক্যাম্পাস, আবাসিক হল এবং সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোতে কীভাবে ছাত্ররাজনীতি চলবে এবং এর ধরন কী হবে, সে বিষয়ে একটি রূপরেখা তৈরি করা হবে।
আজকের বৈঠকে ছাত্রদলের ১৩ সদস্যের প্রতিনিধিদল ওই রূপরেখা প্রণয়নের অগ্রগতি, গুপ্ত রাজনীতি নিষিদ্ধের সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের ভোটার তালিকায় ‘ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের’ অন্তর্ভুক্তির অভিযোগ এবং নারী শিক্ষার্থীদের হয়রানির বিষয়গুলো নিয়ে উপাচার্যের সঙ্গে আলোচনা করে।
ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন বলেন, সাম্প্রতিক ডাকসু ভোটার তালিকায় ১৫০ জনের বেশি ছাত্রলীগের ‘সক্রিয় সন্ত্রাসীর’ নাম রয়েছে। এর মধ্যে কারাগারে থাকা এসএম হল ছাত্রলীগ সভাপতির নামও আছে। তিনি বলেন, ‘আমরা এক বছর ধরে প্রশাসনকে অনুরোধ করেছি ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের বিচারের আওতায় আনতে; কিন্তু তারা তা করেনি। ফলে তারাই ভোটার তালিকায় রয়ে গেছে।’
নাছির উদ্দিন আরও বলেন, ছাত্রদলের ঘোষিত হল কমিটিতে থাকা নারী শিক্ষার্থীদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপমানজনকভাবে হয়রানি ও বুলিং করা হচ্ছে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এখন পর্যন্ত কোনো প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা নেয়নি।
ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক অভিযোগ করেন, ফেসবুকের দুটি গ্রুপ—‘শিক্ষার্থী সংসদ ১’ এবং ‘শিক্ষার্থী সংসদ ২’ ব্যবহার করে ছাত্রদল ও এর নারী সদস্যদের বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডা চালানো হচ্ছে। এর মধ্যে ‘শিক্ষার্থী সংসদ ১’ গ্রুপের প্রশাসক হলেন ‘অতীতে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িত’ জুলিয়াস সিজার, যিনি ডাকসুর ভোটার তালিকায়ও অন্তর্ভুক্ত।
নাছির উদ্দিনের অভিযোগ, ক্যাম্পাসের বেশির ভাগ সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের গঠনতন্ত্রে স্পষ্টভাবে বলা আছে, রাজনীতির সঙ্গে জড়িত কেউ এসব সংগঠনের নেতৃত্বে থাকতে পারবেন না। কিন্তু সম্প্রতি এসব সংগঠনে ‘গুপ্ত শিবির’ পরিচয় গোপন করে অনুপ্রবেশ করছে এবং দখলদারত্ব কায়েম করছে। তিনি বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যেই প্রমাণসহ উপাচার্যের কাছে বিষয়টি উপস্থাপন করেছি।’
ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম বলেন, উপাচার্য তাঁদের আশ্বস্ত করেছেন যে একটি বিশেষ কমিটি গঠন করা হচ্ছে, যেটি ক্যাম্পাস, হল এবং সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোতে ছাত্ররাজনীতির ধরন ও কার্যপদ্ধতি নির্ধারণ করবে। তিনি বলেন, ‘আমাদের আলোচনায় উপাচার্য ও অন্য শিক্ষকেরা একবাক্যে স্বীকার করেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বড় সমস্যাগুলোর পেছনে গুপ্ত রাজনীতি জড়িত।’
রাকিবুল ইসলাম দাবি করেন, উপাচার্য গুপ্ত রাজনীতির একটি সংজ্ঞা ও কয়েকটি মানদণ্ডও তুলে ধরেছেন। এর মধ্যে অন্যতম হলো যেকোনো ছাত্রসংগঠনকে তাদের প্রাথমিক সদস্যদের তালিকা প্রকাশ্যে জানাতে হবে, যাতে গোপন পরিচয়ে রাজনীতি করার সুযোগ না থাকে।
ছাত্রদল সভাপতি বলেন, বৈঠকে গুপ্ত রাজনীতি নিষিদ্ধ করার পাশাপাশি সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনে অনুপ্রবেশ রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে উপাচার্য প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। বুলিংয়ে জড়িত সংশ্লিষ্ট ফেসবুক গ্রুপগুলোর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ এবং ভবিষ্যতে অপসংস্কৃতি বন্ধে কঠোর নজরদারি চালানো হবে। এ ছাড়া কমিটি দ্রুত কাজ শেষ করে রূপরেখা প্রণয়ন করবে এবং সাধারণ শিক্ষার্থীদের মতামতও অন্তর্ভুক্ত করবে।
ডাকসু নির্বাচন নিয়ে প্রশাসনের প্রস্তুতি নিয়েও ছাত্রদল অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। সংগঠনের সভাপতি বলেন, ‘আমরা ডাকসু নির্বাচনে অংশ নিতে চাই, কিন্তু প্রশাসন এক বছরের প্রস্তুতিতেও ছাত্রলীগের চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের বাদ দিতে পারেনি। ৫ আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানের পর ছাত্রলীগের জড়িত ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনা প্রধান দাবি ছিল। এ বিষয়ে প্রশাসনের গাফিলতির জন্য পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে।’ তিনি আরও জানান, শাহবাগ থানায় দায়ের করা মামলায় এই চিহ্নিত ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্ত করার জন্য প্রশাসন কাজ করছে বলে তাঁদের জানানো হয়েছে।
এদিকে ছাত্রদলের ঘোষিত হল কমিটিগুলো থাকবে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে রাকিবুল ইসলাম বলেন, ‘অবশ্যই, এটা তো স্যাররাই বলেছেন হল কমিটি থাকবে।’
উল্লেখ্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণার প্রতিবাদে ৮ আগস্ট মধ্যরাতে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। প্রতিবাদের মুখে হলে প্রকাশ্য ও গুপ্ত রাজনীতি নিষিদ্ধ থাকবে বলে ওই সময় জানিয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দীন আহমেদ।
আরও পড়ুনঢাবির হলে প্রকাশ্য ও গুপ্ত রাজনীতি নিষিদ্ধ থাকবে, প্রক্টরের আশ্বাসে বিক্ষোভ থামালেন শিক্ষার্থীরা০৮ আগস্ট ২০২৫.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: স ক ত ক স গঠন র ক ব ল ইসল ম গ প ত র জন ত ছ ত রদল র উপ চ র য স গঠন র প রস ত প রক শ
এছাড়াও পড়ুন:
গাজায় নতুন শান্তি পরিকল্পনায় একমত ট্রাম্প ও নেতানিয়াহু
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, তারা গাজার জন্য একটি নতুন শান্তি পরিকল্পনায় একমত হয়েছেন। রবিবার হোয়াইট হাউজে বৈঠক শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে নতুন নেতা এই ঘোষণা দেন।
বিবিসি জানিয়েছে, নতুন পরিকল্পনায় গাজায় সামরিক অভিযান অবিলম্বে বন্ধ করার প্রস্তাব করা হয়েছে, এর আওতায় হামাস ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ২০ জন জীবিত ইসরায়েলি জিম্মি এবং দুই ডজনেরও বেশি জিম্মির দেহাবশেষ হস্তান্তর করবে, যাদের মৃত বলে মনে করা হচ্ছে এবং ইসরায়েলে শত শত আটক গাজার নাগরিককে মুক্তি দেওয়া হবে।
আরো পড়ুন:
গাজায় নিহতের সংখ্যা ৬৬ হাজার ছাড়াল
ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিল ইউরোপের আরেক দেশ
যুদ্ধবিরতি আলোচনার সঙ্গে পরিচিত একটি ফিলিস্তিনি সূত্র বিবিসিকে জানিয়েছে, গাজায় যুদ্ধ বন্ধে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেয়া ২০-দফা শান্তি প্রস্তাব হামাস কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
প্রস্তাবে বলা হয়েছে, গাজা শাসনে হামাসের কোনো ভূমিকা থাকবে না এবং একটি চূড়ান্ত ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের দরজা খোলা থাকবে।
হোয়াইট হাউজে নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠকের পর এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প নতুন এই পদক্ষেপকে ‘শান্তির জন্য একটি ঐতিহাসিক দিন’ বলে অভিহিত করেছেন।
তবে তিনি বলেছেন, হামাস যদি এই পরিকল্পনায় সম্মত না হয় তাহলে হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের যেকোনো পদক্ষেপে যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ণ সমর্থন থাকবে।
এরপর নেতানিয়াহু বলেন, যদি হামাস এই প্রস্তাবটি প্রত্যাখ্যান করে অথবা গ্রহণ করে পরে পিছু হটে তাহলে ইসরায়েল একাই কাজটা শেষ করে দেবে।
ইসরায়েল-অধিকৃত পশ্চিম তীর পরিচালনাকারী ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ মার্কিন প্রেসিডেন্টের প্রচেষ্টাকে ‘আন্তরিক এবং দৃঢ়’ বলে অভিহিত করেছে।
এক যৌথ বিবৃতিতে, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব, কাতার, মিশর, জর্ডান, তুরস্ক, ইন্দোনেশিয়া এবং পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা বলেছেন, তারা ট্রাম্পের নেতৃত্ব এবং গাজায় যুদ্ধ শেষ করার জন্য তার আন্তরিক প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানাচ্ছেন।
দেশগুলো জানিয়েছে, তারা চুক্তিটি চূড়ান্ত ও বাস্তবায়নের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত, যা তাদের মতে ‘একটি দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানের দিকে পরিচালিত করবে, যার অধীনে গাজা একটি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রে পশ্চিম তীরের সঙ্গে সম্পূর্ণরূপে একীভূত হবে’।
যে হামাস যদি এই পরিকল্পনা প্রত্যাখ্যান করে বা তা অনুসরণ না করে তবে ইসরায়েল "কাজ শেষ করবে"।
ইসরায়েল-অধিকৃত পশ্চিম তীর পরিচালনাকারী ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ মার্কিন রাষ্ট্রপতির প্রচেষ্টাকে "আন্তরিক এবং দৃঢ়" বলে অভিহিত করেছে।
তাদের ওয়াফা সংবাদ সংস্থা কর্তৃক প্রকাশিত এক বিবৃতিতে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে তারা গাজার বিরুদ্ধে যুদ্ধ শেষ করতে, গাজায় পর্যাপ্ত মানবিক সহায়তা সরবরাহ নিশ্চিত করতে এবং জিম্মি ও বন্দীদের মুক্তি দিতে "মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, আঞ্চলিক রাষ্ট্র এবং অংশীদারদের সাথে কাজ করার জন্য তাদের যৌথ প্রতিশ্রুতি পুনর্নবীকরণ করছে"।
এক যৌথ বিবৃতিতে, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব, কাতার, মিশর, জর্ডান, তুরস্ক, ইন্দোনেশিয়া এবং পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা বলেছেন যে তারা ট্রাম্পের "নেতৃত্ব এবং গাজায় যুদ্ধ শেষ করার জন্য তার আন্তরিক প্রচেষ্টা"কে স্বাগত জানিয়েছেন।
তারা বলেছে যে তারা চুক্তিটি চূড়ান্ত ও বাস্তবায়নের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে যোগাযোগ করতে প্রস্তুত, যা তাদের মতে "একটি দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানের দিকে পরিচালিত করবে, যার অধীনে গাজা একটি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রে পশ্চিম তীরের সাথে সম্পূর্ণরূপে একীভূত হবে।"
ট্রাম্পের পরিকল্পনার অধীনে, হামাস তাদের অস্ত্র সমর্পণ করবে এবং তাদের সুড়ঙ্গ এবং অস্ত্র উৎপাদন কেন্দ্র ধ্বংস করা হবে।
পরিকল্পনায় আরো বলা হয়েছে, উভয় পক্ষই প্রস্তাবে সম্মত হলে ‘পূর্ণ সাহায্য অবিলম্বে গাজা উপত্যকায় পাঠানো হবে’।
যুক্তরাষ্ট্র গাজার ভবিষ্যৎ শাসনব্যবস্থার জন্য তাদের পরিকল্পনার রূপরেখাও প্রকাশ করেছে।
এতে বলা হয়েছে, গাজার শাসন ব্যবস্থা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নেতৃত্বে একটি আন্তর্জাতিক কমিটির মাধ্যমে পরিচালিত হবে। যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারসহ অন্যান্য নেতারা পরিচালনা কমিটিতে থাকবেন। টনি ব্লেয়ার এই পরিকল্পনাকে ‘সাহসী এবং বুদ্ধিদীপ্ত’ বলে অভিহিত করেছেন।
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার এই পরিকল্পনাকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, আমরা সকল পক্ষকে একত্রিত হয়ে মার্কিন প্রশাসনের সাথে কাজ করার আহ্বান জানাই যাতে তারা এই চুক্তি চূড়ান্ত করে এবং এটি বাস্তবে রূপ দেয়।
তিনি আরো বলেন, হামাসের এখন এই পরিকল্পনায় সম্মত হওয়া উচিত এবং অস্ত্র ছেড়ে ও অবশিষ্ট সব জিম্মিকে মুক্তি দিয়ে দুর্দশার অবসান ঘটানো উচিত।
ইউরোপীয় কাউন্সিলের সভাপতি আন্তোনিও কস্তা বলেছেন, তিনি মার্কিন প্রস্তাবের প্রতি ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর ইতিবাচক প্রতিক্রিয়ায় আশাবাদী। তিনি আরো বলেন, সব পক্ষকে শান্তির জন্য একটি প্রকৃত সুযোগ দেওয়ার জন্য এই মুহূর্তটি কাজে লাগাতে হবে।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ প্রস্তাবটির প্রশংসা করে বলেছেন, যুদ্ধের অবসান এবং জিম্মিদের মুক্তির প্রচেষ্টায় ফ্রান্স অবদান রাখতে প্রস্তুত।
মার্কিন পরিকল্পনায় আরো বলা হয়েছে যে, হামাসের ‘প্রত্যক্ষ, পরোক্ষভাবে বা কোনোভাবেই’ শাসনব্যবস্থায় কোনো ভূমিকা থাকবে না।
এতে আরো বলা হয়েছে, ইসরায়েল গাজা দখল করবে না বা তাদের সাথে সংযুক্ত করবে না এবং সময়ের সাথে সাথে তাদের বাহিনী পর্যায়ক্রমে এই অঞ্চল থেকে সরে যাবে।
এই পরিকল্পনাটি একটি চূড়ান্ত ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের দরজাও উন্মুক্ত রেখেছে।
যুদ্ধবিরতি আলোচনার সঙ্গে পরিচিত একটি ফিলিস্তিনি সূত্র বিবিসিকে জানিয়েছে, কাতার এবং মিশরের কর্মকর্তারা গাজায় যুদ্ধ শেষ করার জন্য হোয়াইট হাউসের পরিকল্পনা দোহার হামাস কর্মকর্তাদের কাছে হস্তান্তর করেছেন।
ঢাকা/ফিরোজ