সম্পর্ক অস্বীকার, ‘বাচ্চা চোর’ অপবাদ দিয়ে নারীকে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন
Published: 14th, August 2025 GMT
চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে এক নারীকে ‘বাচ্চা চোর’ অপবাদ দিয়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনায় মামলা হয়েছে। গতকাল বুধবার রাতে ভুক্তভোগী ওই নারী বাদী হয়ে ৯ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতপরিচয় আরও ৮০-৯০ জনের বিরুদ্ধে বোয়ালখালী থানায় মামলা করেছেন। এরপর একজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।
এদিকে এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। ২৬ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে দেখা যায়, বাচ্চা চোর আখ্যা দিয়ে ওই নারীকে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন করছেন একদল লোক। ওই নারী তখন বারবার বাঁচার আকুতি জানান। এর মধ্যে এক ব্যক্তিকে গ্যাসের সিলিন্ডার দিয়ে ওই নারীকে আঘাত করতে দেখা যায়।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি বুধবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার। ভুক্তভোগী ওই নারীর সঙ্গে শাকপুরা ইউনিয়নের আজিজুল হকের এক বছর আগে পরিচয় হয়। একপর্যায়ে তাঁদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তাঁরা দুজনই নগরের হালিশহর এলাকায় থাকতেন। দুই সপ্তাহ আগে আজিজুল উধাও হয়ে যান। বন্ধ করে দেন যোগাযোগও।
মামলার এজাহারে ওই নারী উল্লেখ করেন, খোঁজ নিয়ে বুধবার বিকেলে আজিজুলের বাড়িতে গেলে তিনি ওই নারীকে চেনেন না বলে মারধর শুরু করেন। এতে আজিজুলের পরিবারের লোকজনও যোগ দেন এবং ওই নারীর সঙ্গে থাকা মুঠোফোন, ব্যাগ, সোনার গয়না কেড়ে নিয়ে মুখে টেপ লাগিয়ে দেন। এরপর তাঁকে বাচ্চা চোর বলে চিৎকার করতে থাকেন। লোকজন জড়ো হয়ে একটি রাস্তার পাশে গাছের সঙ্গে বেঁধে তাঁকে নির্যাতন করা হয়।
এ ব্যাপারে বক্তব্য জানতে আজিজুল হকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।
বোয়ালখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ লুৎফুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯–এ ফোন পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ওই নারীকে উদ্ধার করে। ওই নারী বাদী হয়ে মামলা করেছেন। পুলিশ এজাহারভুক্ত এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
হালুয়াঘাটে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ
ময়মনসিংহের সীমান্তবর্তী হালুয়াঘাট উপজেলায় এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক অটোরিকশাচালকের বিরুদ্ধে। খবর পেয়ে পুলিশ তাৎক্ষণিক অভিযান চালায়। তবে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আটক করতে পারেনি।
পুলিশ, স্থানীয় বাসিন্দা কিশোরীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মেয়েটি উপজেলার একটি উচ্চবিদ্যালয়ে নবম শ্রেণিতে পড়ে। সোমবার দুপুরে সে তার বন্ধুর সঙ্গে একটি পার্কে বেড়াতে যায়। বিকেলের দিকে সেখান থেকে বাড়ি পৌঁছে দিতে কিশোরীকে একটি অটোরিকশায় তুলে দেয় বন্ধু। এ সময় অটোরিকশাচালক হালুয়াঘাট উপজেলা শহরে পূজামণ্ডপ দেখানোর কথা বলে মেয়েটিকে নিয়ে ঘুরতে থাকেন। একপর্যায়ে মেয়েটিকে একটি নির্জন স্থানে নিয়ে ধর্ষণ করেন। এরপর রাত ১১টার দিকে গামারীতলা এলাকায় মেয়েটিকে নামিয়ে দিয়ে অটোরিকশাচালক চলে যায়। এরপর মেয়েটিকে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যান।
খবর পেয়ে পুলিশ সোমবার রাতেই অভিযুক্ত আবুল বাশারের (২৫) বাড়িতে যায়। তবে তাঁকে পাওয়া যায়নি। ওই সময় পুলিশ তাঁর অটোরিকশাটি জব্দ করে থানায় নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় থানায় অভিযোগ দিতে যায় মেয়েটির পরিবার। এ বিষয়ে রাতে হালুয়াঘাট থানার ওসি হাফিজুল ইসলাম বলেন, ‘নিজেদের কমিউনিটির লোকজনের সঙ্গে আলোচনা করে মেয়েটির মা বাদী হয়ে অভিযোগ দিচ্ছেন। অভিযোগ হাতে পেলেই আমরা রাতেই মামলা হিসেবে গ্রহণ করব। অভিযুক্তকেও আমরা ধরে ফেলব।’