ইউরোপের কোন লিগ কবে শুরু, কারা কোথায় এলেন–গেলেন
Published: 15th, August 2025 GMT
ইউরোপীয় ফুটবলে ২০২৪–২৫ মৌসুমের লিগের খেলা শেষ হয়েছে মে মাসে। কাছাকাছি সময়ে শেষ হয়েছে উয়েফা আয়োজিত মহাদেশীয় ফুটবল টুর্নামেন্টেও।
তবে অনেক ক্লাব আর ফুটবলারদের ব্যস্ততা এরপরও শেষ হয়নি। জুনের মাঝামাঝিতে শুরু হয়েছিল ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ, যা ১৩ জুলাই শেষ হওয়ার মাধ্যমে মৌসুমের সমাপ্তি ঘটেছে।
প্রতিযোগিতামূলক ফুটবলবিহীন এক মাস পর ২০২৫–২৬ মৌসুম শুরু হচ্ছে আজ। দলগুলোর মতো সমর্থকেরাও প্রিমিয়ার লিগ, লা লিগাসহ শীর্ষস্তরের ফুটবল ম্যাচে আবারও বুঁদ হয়ে থাকার অপেক্ষায়। দেখে নিন ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগের কোনটি কবে শুরু।
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগশুরু: ১৫ আগস্ট
বর্তমান চ্যাম্পিয়ন: লিভারপুল (২০ শিরোপা)
উন্নীত: লিডস, বার্নলি, সান্ডারল্যান্ড
অবনমিত: লেস্টার, ইপসউইচ, সাউদাম্পটন
উল্লেখযোগ্য নতুন খেলোয়াড়: ফ্লোরিয়ান ভির্টৎস (লেভারকুসেন থেকে লিভারপুল), উগো একিতিকে (ফ্রাঙ্কফুর্ট থেকে লিভারপুল), জেরেমি ফ্রিমপং (লেভারকুসেন থেকে লিভারপুল), ভিক্টর ইয়োকেরেস (লিসবন থেকে আর্সেনাল), তিজানি রাইন্ডার্স (এসি মিলান থেকে ম্যান সিটি)।
জেনে রাখা ভালো
এটি ইংলিশ ফুটবলের শীর্ষ প্রতিযোগিতার ১২৭তম আর প্রিমিয়ার লিগের ৩৪তম আসর। অন্যান্যবারের মতো এবারও খেলবে ২০টি ক্লাব। ১৫ আগস্ট শুরু হয়ে চলবে ২০২৬ সালের ২৪ মে পর্যন্ত। এবারের প্রিমিয়ার লিগের শুরু থেকেই সেমি–অটোমেটেড অফসাইড প্রযুক্তির ব্যবহার থাকবে, যা গত মৌসুমের শেষ দিকে মাসখানেক ছিল। ২০২৫–২৬ প্রিমিয়ার লিগে অফিশিয়াল বল বদলাচ্ছে। নাইকের বদলে বল সরবরাহ করবে পুমা।
ইউরোপে খেলবে কারা
চ্যাম্পিয়নস লিগ: লিভারপুল,আর্সেনাল, ম্যানচেস্টার সিটি, চেলসি ও নিউক্যাসল, টটেনহাম।
ইউরোপা লিগ: অ্যাস্টন ভিলা, নটিংহাম ফরেস্ট।
কনফারেন্স লিগ: ক্রিস্টাল প্যালেস।
শুরু: ১৫ আগস্ট
বর্তমান চ্যাম্পিয়ন: বার্সেলোনা (২৮ শিরোপা)
উন্নীত: এলচে, লেভান্তে, রিয়াল ওভিয়েদো
অবনমিত: ভায়াদোলিদ, লাস পালমাস, লেগানেস
উল্লেখযোগ্য নতুন খেলোয়াড়: ডিন হাউসেন (বোর্নমাউথ থেকে রিয়াল মাদ্রিদ), আলভারো কারেরাস (বেনফিকা থেকে রিয়াল মাদ্রিদ), ফ্রাঙ্কো মাস্তানতুয়োনো (রিভার প্লেট থেকে রিয়াল মাদ্রিদ), মার্কাস রাশফোর্ড (ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড থেকে বার্সেলোনা)।
জেনে রাখা ভালো
স্প্যানিশ লা লিগায় এটি হতে যাচ্ছে ৯৫তম মৌসুম। ৩৮ ম্যাচের এই লিগ চলবে ২০২৬ সালের ২৪ মে পর্যন্ত।
ইউরোপে খেলবে কারা
চ্যাম্পিয়নস লিগ: বার্সেলোনা, রিয়াল মাদ্রিদ, আতলেতিকো মাদ্রিদ, অ্যাথলেটিক বিলবাও, ভিয়ারিয়াল।
ইউরোপা লিগ: রিয়াল বেতিস, সেল্তা ভিগো।
কনফারেন্স লিগ প্লে-অফ: রায়ো ভায়েকানো।
শুরু: ১৫ আগস্ট
বর্তমান চ্যাম্পিয়ন: পিএসজি (১৩ বার চ্যাম্পিয়ন)
উন্নীত: লরিয়াঁ, মেজ, প্যারিস এফসি
অবনমিত: মঁপেলিয়ে, সেঁত এতিয়েন, রেঁস
উল্লেখযোগ্য নতুন খেলোয়াড়: পিয়েরে-এমিল হইবিয়া (টটেনহাম থেকে মার্শেই), এরিক ডায়ার (বায়ার লেভারকুসেন থেকে মোনাকো), অলিভিয়ে জিরু (এলএ এফসি থেকে লিল)।
জেনে রাখা ভালো
ফ্রান্সের লিগ ‘আঁ’য় ৮৮তম আসর এটি। ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়ন পিএসজির এই লিগে দলের সংখ্যা ১৮টি, ম্যাচ ৩৪টি করে। ১৫ আগস্ট শুরু হয়ে শেষ হবে ১৬ মে।
ইউরোপে খেলবে কারা
চ্যাম্পিয়নস লিগ: পিএসজি, মার্শেই, মোনাকো।
চ্যাম্পিয়নস লিগ কোয়ালিফায়ার: নিস।
ইউরোপা লিগ: লিল, লিওঁ।
কনফারেন্স লিগ প্লে-অফ: স্ত্রাসবুর্গ।
শুরু: ২২ আগস্ট
বর্তমান চ্যাম্পিয়ন: বায়ার্ন মিউনিখ (৩৩ শিরোপা)
উন্নীত: কোলন, হামবুর্গ।
অবনমিত: বোখুম, হোলস্টাইন কিল।
উল্লেখযোগ্য নতুন খেলোয়াড়: লুইস দিয়াস (লিভারপুল থেকে বায়ার্ন), জ্যারেল কোয়ানসা (লিভারপুল থেকে লেভারকুসেন), জোব বেলিংহাম (সান্ডারল্যান্ড থেকে ডর্টমুন্ড)।
না জানলে নয়
জার্মানির শীর্ষ ফুটবল প্রতিযোগিতা বুন্দেসলিগায় ২০২৫–২৬ মৌসুম হতে চলেছে ৬৩তম আসর। এই লিগের দল ১৮টি, ম্যাচ ৩৪টি করে। কম দল ও কম ম্যাচ হওয়ায় লিগের ব্যাপ্তি অন্যদের তুলনায় কম। ২২ আগস্ট বুন্দেসলিগা শুরু হয়ে চলবে ২০২৬ সালের ১৬ জুন পর্যন্ত।
ইউরোপে খেলবে কারা
চ্যাম্পিয়নস লিগ: বায়ার্ন, লেভারকুসেন, ফ্রাঙ্কফুর্ট, ডর্টমুন্ড।
ইউরোপা লিগ: ফ্রাইবুর্গ, স্টুটগার্ট।
কনফারেন্স লিগ প্লে-অফ: মাইনৎস।
শুরু: ২৩ আগস্ট
বর্তমান চ্যাম্পিয়ন: নাপোলি (৪ শিরোপা)
উন্নীত: ক্রেমোনেসে, পিসা, সাসসুয়োলো।
অবনমিত: মোনৎসা, ভেনেৎসিয়া, এম্পোলি।
উল্লেখযোগ্য নতুন খেলোয়াড়: ফ্রান্সিসকো কনসেইসাও (পোর্তো থেকে জুভেন্টাস), কেভিন ডি ব্রুইনা (ম্যান সিটি থেকে নাপোলি), লুকা মদরিচ (রিয়াল মাদ্রিদ থেকে এসি মিলান)।
জেনে রাখা ভালো
ইতালির শীর্ষ প্রতিযোগিতায় ২০২৫–২৬ মৌসুম হতে চলেছে ১২৪তম আসর। আর সিরি আ–র অধীনে যাওয়ার পর ১৬তম। ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগের মধ্যে এটিই শুরু হবে সবার শেষে—২৩ আগস্ট। ২০ দলের এই লিগ শেষ হবে ২৪ মে। এ বছর লিগে উঠে এসেছে সাসুলো, পিসা ও ক্রেমোনেসে।
ইউরোপে খেলবে কারা
চ্যাম্পিয়নস লিগ: নাপোলি, ইন্টার, আতালান্তা, জুভেন্টাস।
ইউরোপা লিগ: রোমা, বোলোনিয়া।
কনফারেন্স লিগ প্লে-অফ: ফিওরেন্তিনা।
লিগের বাইরে ক্লাবগুলোর বড় ব্যস্ততা মহাদেশীয় প্রতিযোগিতা নিয়ে। ইউরোপের ফুটবল নিয়ন্ত্রক উয়েফা আয়োজিত টুর্নামেন্ট আছে তিনটি—চ্যাম্পিয়নস লিগ, ইউরোপা লিগ ও কনফারেন্স লিগ। ২০২৫–২৬ মৌসুমের চ্যাম্পিয়নস লিগ ৩৬ দল নিয়ে চূড়ান্ত পর্ব শুরু হবে ১৬ সেপ্টেম্বর, ফাইনাল হবে আগামী বছরের ৩০ মে হাঙ্গেরির বুদাপেস্টে।
চ্যাম্পিয়নস লিগের দিন দশেক পর ২৪ সেপ্টেম্বর শুরু হবে উয়েফার দ্বিতীয় শীর্ষ প্রতিযোগিতা ইউরোপা লিগ। শেষ হবে ২০ মে।
উয়েফার তৃতীয় সর্বোচ্চ প্রতিযোগিতা কনফারেন্স লিগের চূড়ান্ত পর্ব শুরু হবে ২ অক্টোবর, চলবে ২০২৬ সালের ২৭ মে পর্যন্ত।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ক র চ য ম প য়নস ল গ কনফ র ন স ল গ প ল ২০২৫ ২৬ ম স ম ২০২৬ স ল র ল ভ রক স ন ১৫ আগস ট ইউর প র অবনম ত উন ন ত এই ল গ ফ টবল
এছাড়াও পড়ুন:
রোনালদো কি সত্যিই বিশ্বকাপে ১-২ ম্যাচ মিস করবেন
পর্তুগাল আজ বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচ খেলবে আর্মেনিয়ার বিপক্ষে। ম্যাচটা পর্তুগিজদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। জিতলে ২০২৬ বিশ্বকাপে খেলা নিশ্চিত হবে, এমনকি ড্র করলেও সমূহ সম্ভাবনা। কিন্তু হারলে নেমে যেতে হতে পারে প্লে-অফের পরীক্ষায়। এমন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচটিতে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে পাচ্ছে না পর্তুগাল। বৃহস্পতিবার আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে লাল কার্ড দেখায় আজ দর্শক হয়ে থাকতে হচ্ছে তাঁকে।
তবে রোনালদো ও পর্তুগালের জন্য বড় বিপদ সামনে। লাল কার্ডের জন্য এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা সবাইকেই কাটাতে হয়। শাস্তির মূল পরিমাণ ঠিক কত ম্যাচের বা দিনের, সেটি অপরাধের মাত্রার ওপর নির্ভর করে পরে ঘোষণা করা হয়। আর এখানেই শঙ্কা রোনালদোকে নিয়ে।
আইরিশ ফুটবলার দারা ও’শেয়ারকে আঘাতের দায়ে রোনালদো যদি দুই থেকে তিন ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা পান, তাহলে পর্তুগাল বিশ্বকাপে উঠলে গ্রুপ পর্বের একটি বা দুটি ম্যাচই তিনি মিস করবেন। আর গ্রুপ পর্বে ম্যাচ যেহেতু মাত্র তিনটি, দল আগেভাগে খারাপ করে বিদায় নিশ্চিত হলে রোনালদোর বিশ্বকাপ শুরুর আগেই শেষ হয়ে যাবে।
প্রশ্ন হচ্ছে, এমন পরিস্থিতি কি সত্যিই তৈরি হতে পারে? রোনালদোর বিশ্বকাপে ১-২ মিস করার সম্ভাবনা কতটুকু? ২০২৬ বিশ্বকাপ শুরু হবে জুনে, যা এখনো ছয় মাসেরও বেশি সময় বাকি। এর মধ্যে পর্তুগাল ম্যাচও খেলবে। আর রোনালদোকে আসলে কত ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা কাটাতে হবে, সেটি জানা যাবেই–বা কবে?
রোনালদোর অপরাধ কী ছিলআয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচের ৬১তম মিনিটে ও’শেয়ারকে কনুই দিয়ে মেরেছেন রোনালদো। রেফারি গ্লেন নাইবার্গ এ ঘটনায় তাঁকে হলুদ কার্ড দেখান। তবে ভিএআরে ঘটনা পর্যালোচনার পর রেফারি সিদ্ধান্ত পাল্টান, দেখান লাল কার্ড। রিপ্লে দেখে সিদ্ধান্ত বদলের অর্থ হচ্ছে, রেফারির কাছে ঘটনাটি গুরুতরই মনে হয়েছে।
শাস্তি কীলাল কার্ডের ন্যূনতম শাস্তি এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা। এরপর ফিফার ডিসিপ্লিনারি কমিটি ঠিক করে সেটি এক ম্যাচে সীমাবদ্ধ থাকবে, নাকি বাড়বে। বাড়লে কতটা? ফিফা তাদের শৃঙ্খলাবিধির ১৪.১ ধারা অনুসারে নিষেধাজ্ঞা দেয়। এই ধারার ‘ই’ অনুচ্ছেদ অনুসারে, গুরুতর ফাউল খেলার জন্য দুই ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে। এই নিয়মটি বল দখলের জন্য অতিরিক্ত আক্রমণাত্মক চ্যালেঞ্জের আওতায় পড়ে।
উদাহরণ হিসেবে অঁরেলিয়ে চুয়ামেনির কথা বলা যেতে পারে। রিয়াল মাদ্রিদের এই মিডফিল্ডার সেপ্টেম্বরে ফ্রান্সের হয়ে আইসল্যান্ডের বিপক্ষে সরাসরি লাল কার্ড দেখেছিলেন। এ ঘটনায় তাঁকে দুই ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়—একটি লাল কার্ডের জন্য, অন্যটি গুরুতর ফাউলের জন্য।
পর্তুগালের জন্য বিপদ হচ্ছে রোনালদোর পরিস্থিতি আরও গুরুতর হতে পারে। ফিফা আইনের অধীনে তাঁর কনুই মারাকে সহিংস আচরণ হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করা যেতে পারে। অনুচ্ছেদ ১৪.১ ধারার ‘এইচ’ এবং ‘আই’ অনুচ্ছেদে তিন ম্যাচের নিষেধাজ্ঞার কথা বলা আছে।
এইচ. সহিংস আচরণের জন্য কমপক্ষে তিন ম্যাচ।
আই. আক্রমণাত্মক আচরণের জন্য কমপক্ষে তিন ম্যাচ বা উপযুক্ত সময়ের জন্য নিষেধাজ্ঞা, যার মধ্যে কনুই মারা, ঘুষি মারা, লাথি মারা, কামড়ানো, থুতু দেওয়া, বা কোনো খেলোয়াড় বা রেফারি নন এমন কাউকে আক্রমণ করা অন্তর্ভুক্ত।
যেহেতু রোনালদো আইরিশ ডিফেন্ডারকে কনুই দিয়ে আঘাত করেছেন, তাই তিন ম্যাচের নিষেধাজ্ঞার খড়্গে পড়তে পারেন, যার ফলে বিশ্বকাপের প্রথম দুটি ম্যাচ মিস করবেন তিনি। এর আগে চলতি মৌসুমের শুরুতে আর্মেনিয়ার তিগরান বারসেঘিয়ানকে উত্তর আয়ারল্যান্ডের এক খেলোয়াড়কে সামান্য মাথা দিয়ে আঘাত করার দায়ে তিন ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল ফিফা।
পর্তুগাল আজই বিশ্বকাপ নিশ্চিত করলে কী হবেআজ আর্মেনিয়ার বিপক্ষে জিতলে বা ড্র করলে বিশ্বকাপের টিকিট কাটা হয়ে যাবে পর্তুগালের। এর অর্থ হচ্ছে, পর্তুগাল তাদের পরবর্তী প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ খেলবে আগামী বছরের জুনে বিশ্বকাপের মূল পর্বে। সে ক্ষেত্রে রোনালদো গ্রুপ পর্বের প্রথম একটি বা দুটি ম্যাচ (মোট নিষেধাজ্ঞা দুই বা তিন ম্যাচ সাপেক্ষে) মিস করবেন। এর আগে মার্চে ফিফা উইন্ডো আছে। তবে সে সময় পর্তুগাল খেললেও তা হবে ‘প্রীতি ম্যাচ’। রোনালদোকে শাস্তি ভোগ করতে হবে প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচেই।
কবে জানা যাবে রোনালদোর নিষেধাজ্ঞা কত ম্যাচেরঘটনার কত দিনের মধ্যে ফিফা ডিসিপ্লিনারি কমিটি শাস্তি ঘোষণা করবে, সে বিষয়ে কোনো বিধান নেই। সাধারণত, ঘটনার পরবর্তী মাসের শুরুতে রায় পাওয়া যায়। এখানে গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন হচ্ছে আগামী ৫ ডিসেম্বর। সে দিন ওয়াশিংটন ডিসিতে ২০২৬ বিশ্বকাপের সূচি চূড়ান্ত (ড্র) হবে। এর কাছাকাছি সময়েই রোনালদো তাঁর নিষিদ্ধ ম্যাচসংখ্যার খবর পেয়ে যাবেন।
বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে খেলার কি কোনো উপায়ই থাকবে নাপ্রথম কথা, রোনালদো এখন পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা পাননি। যদি অন্তত দুই ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা পান, তবেই বিশ্বকাপের প্রথম থেকে না খেলার প্রশ্ন আসবে। তবে অপরাধের ধরনের কারণে ধরে নেওয়া যায় নিষেধাজ্ঞা তিনি পেতে যাচ্ছেন। সে ক্ষেত্রে পর্তুগালের বিশ্বকাপে জায়গা করাও একটা বিষয়। আজ পর্তুগাল যদি আর্মেনিয়াকে হারাতে না পারে এবং একই গ্রুপে হাঙ্গেরি আয়ারল্যান্ডকে হারায়, তাহলে পর্তুগাল গ্রুপে পিছিয়ে ইউরোপিয়ান প্লে-অফে নেমে যাবে।
সে ক্ষেত্রে পর্তুগালের পরবর্তী দুটি প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ হবে প্লে-অফ সেমিফাইনাল এবং ফাইনাল। নিষেধাজ্ঞা পেলে রোনালদো এই ম্যাচগুলো মিস করবেন। দল বিশ্বকাপে গেলে সেখানে শুরু থেকেই খেলতে পারবেন ‘সিআরসেভেন’। কিন্তু যে প্লে-অফের ওপরে বিশ্বকাপে খেলা, না খেলা নির্ভর করবে, সেই ম্যাচে না খেলতে পারাও তো রোনালদো এবং পর্তুগালের জন্য ধাক্কা।