বন্দরে বৈদ্যুতিক শট সার্কিট থেকে বসত বাড়িতে অগ্নিকাণ্ড
Published: 15th, August 2025 GMT
বন্দরে বৈদ্যুতিক শট সার্কিট থেকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৩টি বসত ঘর পুড়ে গিয়ে ৩ লাখ টাকা ক্ষতি সাধন হয়েছে। তবে এ ঘটনায় হতাহতের কোন খবর পাওয়া যায়নি।
বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) রাত পৌনে ৮টায় বন্দর থানার ২৩ নং ওয়ার্ডের খানাবাড়ী মোড়স্থ ইয়ামিন খন্দকারের বসত বাড়ীতে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এলাকাবাসী মাধ্যমে খবর পেয়ে বন্দর ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট প্রায় ১ ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে।
বন্দর ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, অগ্নিকান্ডের ঘটনার খবর পেয়ে আমাদের একটি ইউনিট দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে প্রায় ১ ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রন আনতে সক্ষম হয়। এ
ঘটনায় প্রায় ৩ লাখ টাকা ক্ষতি সাধনসহ অগ্নিকান্ডের স্থান থেকে ১০ লাখ টাকা মালামাল উদ্ধার করতে সক্ষম হই। অগ্নিকান্ডের ঘটনার খবর পেয়ে বন্দর থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ড র ঘটন খবর প
এছাড়াও পড়ুন:
কোটিপতি হলেও পরিচ্ছন্নতা কর্মীর কাজ করেন তিনি
পর্যাপ্ত অর্থ সঞ্চয় করতে পারলেই আমাদের অনেকে কায়িক পরিশ্রম ছেড়ে দেন। আরাম-আয়েশে জীবন কাটান। কিন্তু সবাই তা করেন না। এমন একজন জাপানের কোইচি মাতসুবারা। ৫৬ বছর বয়সী এই জাপানি নাগরিকের বার্ষিক আয় প্রায় ৩ কোটি ইয়েন (প্রায় ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা) হওয়া সত্ত্বেও তিনি এখনো নিয়মিত পরিচ্ছন্নতাকর্মীর কাজ করেন।
মাতসুবারা সপ্তাহে তিন দিন, প্রতিদিন চার ঘণ্টা করে কাজ করেন। তিনি সরকারি পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে কাজ করেন। এ কাজের অংশ হিসেবে তাঁকে ছোটখাটো রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পালন করতে হয়।
এ কাজ থেকে মাতসুবারা মাসে ১ লাখ ইয়েন (প্রায় ৮২ হাজার ৬৪ টাকা) আয় করেন, যা টোকিওর গড় বেতনের তুলনায় অনেক কম। তারপরও তিনি এ কাজ করেন। কারণ, তিনি এটাকে শারীরিক সক্রিয়তা ও মানসিক প্রশান্তির উপায় হিসেবে দেখেন।
মাতসুবারা ছোটবেলা থেকেই সঞ্চয়ী ছিলেন। মাধ্যমিকের পর তিনি একটি কারখানায় মাসে ১ লাখ ৮০ হাজার ইয়েন (প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা) বেতনে কাজ শুরু করেন। খরচ বাঁচিয়ে কয়েক বছরে প্রায় ৩০ লাখ ইয়েন (২৯ লাখ ২৫ হাজার টাকা) সঞ্চয় করে তিনি প্রথম স্টুডিও ফ্ল্যাট কিনেছিলেন।
পরে বাড়ি কেনার ঋণ আগেভাগে পরিশোধ করে ধীরে ধীরে আরও ফ্ল্যাট কেনেন এবং বিনিয়োগ বৃদ্ধি করেন মাতসুবারা। এখন টোকিও ও এর শহরতলিতে তাঁর সাতটি ফ্ল্যাট রয়েছে, যার সবই ভাড়া দিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করেছেন।
ধনবান হলেও মাতসুবারা সাদাসিধে জীবন যাপন করেন। এখনো তিনি সস্তা ফ্ল্যাটে থাকেন, নিজের খাবার নিজে বানান, নতুন জামাকাপড় কেনেন না, সাধারণ স্মার্টফোন ব্যবহার করেন এবং প্রধানত সাইকেলে চলাচল করেন। তাঁর জীবনদর্শন—‘প্রতিদিন কিছু না কিছু করার আশা করি, সুস্থ থাকতে চাই এবং নিজেকে নিয়ে চিন্তা করতে চাই।’
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে মাতসুবারাকে ‘অদৃশ্য কোটিপতি’ বলে উল্লেখ করা হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁর গল্প ছড়িয়ে পড়েছে। জাপানে ধনীদের এমন সাধারণ জীবনধারা অস্বাভাবিক নয়। দেশটিতে সাদাসিধে জীবনযাপন অনেকের মধ্যে দেখা যায়।